আচ্ছা ভাবেন আপনি হিটলারের নাৎসী জার্মানীতে পাঁচ বছর বয়সী এক বালক। আরে, শোনেনই না! আর ধরেন, আপনি থাকেন ছোট একটা শহরে এবং কিছু কারণে ততদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উদ্ভাবিত হয়ে গেছে। আপনি কীভাবে পরিবেশবাদী রাজনৈতিক দলের কিছু ভাল ধারণা আর "ওহ! অবশ্যই সেইসব সমাজতন্ত্র!" সম্পর্কে সুন্দর শ্লোগান লিখবেন!
এখন কল্পনা করুন বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটাররা আগুনের বোমা বোঝা... আচ্ছা! ঠিকাছে ঠিকাছে! খারাপ রূপক।
সংক্ষেপে, সম্ভাব্য ভোটারের মধ্যে অর্ধেকও আসে নাই। অনেক অবসরভোগী জামাতের নতুন বন্ধুকে ভোট দিয়েছে। দুই ক্রাচে ভরকরা একজনও একই কাজ করলো! আমি তাকে করতে দেখেছি!
আরেকজন চুনোপুঁটি ধরনের ফ্যাসিবাদী গোছের কথাবার্তা বলতে বলতে প্রাক্তন এক সংসদসদস্যকে ভোট দিলো। তারই অন্য আরেকটা ভোটারের অবশ্যই একটা জাদরেল বউ আছে। আমি অবশ্য দেখতে পাইনি সেই বউটা কাকে ভোট দিলো, কিন্তু তার গেঞ্জিতে লেখা ছিল 'মুড়ি খা!'। মোটামুটি নিশ্চিত যে তারা দুজন একই প্রার্থীকে ভোট দেয়নি যদিনা সেই স্ত্রীর চাকরিটাই এমন যে, চিড়িয়াখানায় যখন কেউ তাকাচ্ছে না তখন চিৎকার করে বলা "নিজের দেশে ফিরে যাও! পুশব্যাক!" তারপরও, আমি ঠিক নিশ্চিত না।
আমি যা নিশ্চিত তা হল, যদিও আমি সাম্যবাদীদের পক্ষে ভোট পড়তে দেখেছি মাত্র একটা, অন্যদিকে শ্রমিকদলগুলোর ভোট গণনা করতে একহাতই যথেষ্ঠ (জানেনই তো, এরা সবসময়ই বিরোধীদল), তবে হ্যাঁ, সবাই কে কাকে ভোট দিয়েছে তা তো আর দেখিনি।
কিন্তু একটা দলের ধ্বস দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল পরিষ্কার। ভাবলাম "ওহ! এটাই তো প্রতিবাদ! জয় উনারই!" এবং অন্যান্য বিভ্রান্তিকর মানসিকপ্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা।
মোটামুটি নিশ্চিত, যেসব ভোটাররা বলে "আমি আগে কখনোই নির্বাচনে ভোট দেইনি, এবারই প্রথম" তারা এটা বলছে না যে সাদা স্থাপত্যগুলোকে তারা করছে উদ্ধার।
তাই এই শুক্রবার!!! সবার দুশ্চিন্তার ওষুধগুলি ছিঁড়ে ফেলার জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার!
ভাবতে চাই, ফেইসবুক বন্ধুদের উপরই ঝালটা ঝেড়ে নেওয়া ভালো! আমার লালসবুজ মনোরম ভূমি কুসংস্কার এবং ঘৃণার একটি তীক্ষ্ণ ভাঁগাড় যা সত্যকে এমনই অস্পষ্ট করে যে কোন ভগ্ন নির্বাচন ব্যবস্থা বা আমার মত ভোট গ্রহণ প্রতিনিধি এর কিছুই করতে পারে না!
যদিও এছাড়া, দিনটি সত্যিই ভালো কাটলো এবং আমি আবারও কাজে যেতে চাই।