সাত মাসের ছোট্ট শিশুটি কাঁদছে,
হাউ মাউ করে ।
শরীরে নেই এক ছটাক মাংস
জীর্ণ-শীর্ণ আর রোগে শোকে
চোখ দিয়ে টপ-টপ করে
জলের ধারা ঝরে ।
তেলতেলে ছেঁড়া কাপড়খানির উপর
শিশুটি শোয়া বস্ত্রহীন ।
তারই পাশেই শিশুটির মা
ছোট্ট হাঁড়িতে চড়িয়েছে ভাত
এভাবেই চলে জীবন চাকার
প্রতিটি দিন ।
এই বিশাল পৃথিবীতে নেই কোন
আর আপনজন ।
রেললাইনের পাশেই জীর্ণ ছাউনিতে
বাঁচার তাগিদে শিশুটি আর মা
অনাহারে অর্ধাহারে থেকে করে,
দিন-রাত্রি যাপন ।
মায়ের পেটে বাচ্চাটি গুঁজে দিয়ে
চলে গিয়েছিল বাবা ।
তখন একাকি নিঃস্ব এক মায়ের
দেহের প্রতি লোভাতুর চোখে
নিষ্ঠুর পুরুষেরা বাড়িয়েছিল,
যৌন থাবা ।
শুধুমাত্র জন্ম নেওয়া শিশুটির
কথা ভেবে,
মা পারেনি নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে
চিরতরে বিদায় নিতে ।
যদি সে যায় চলে, নাড়ি ছেঁড়া তার
ধনকে কে নেবে ?
সেই থেকে হলো মা, পুরুষের ভোগ
রাস্তার পতিতা ।
হোকনা সে সমাজ বঞ্চিতা, কি দিয়েছে সমাজ ?
তবু নিজেকে করে উৎসর্গ, বাঁচাতে নিজ সন্তান
করেছে রচনা মহীয়সী মা-
জীবনের কবিতা ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




