somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

লক্ষণ ভান্ডারী
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন

নেতাজী স্মরণে কবিতা

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২২ তম জন্মদিন। দেশ স্বাধীনের অদম্য ইচ্ছাকে বুকে নিয়ে তাঁর যুদ্ধযাত্রার অধ্যায় আজও ভারতীয় ইতিহাস গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে। এমন এক দেশ নায়কের জন্মদিনে উদ্বোধন হতে চলেছে নেতাজিকে কেন্দ্র করে এক মিউজিয়াম। সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারী উড়িয্যার কটক শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী দেবী।



সুভাষ চন্দ্র বসুর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি হল,
Give me blood, I will give you freedom. (ইংরাজীতে, গিভ মি ব্লাড, আই উইল গিভ ইউ ফ্রিডম।) বাংলায় "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব" হিন্দিতে, तुम मुझे खून दो, मैं तुम्हें आजादी दूंगा (হিন্দিতে, তুম মুঝে খুন দো, ম্যায় তুমহে আজাদি দুঙ্গা)।
পাঞ্জাবীতে, ਮੈਨੂੰ ਖੂਨ ਦੇਵੋ, ਮੈਂ ਤੁਹਾਨੂੰ ਆਜ਼ਾਦੀ ਦਿੰਦਾ ਹਾਂ (পাঞ্জাবীতে, ম্যায়নুঁ খুন দেহো, ম্যায় তুহানুঁ আজাদী দিন্দা হাঁ ) মারাঠীতে, मला रक्त द्या मी तुला स्वातंत्र्य देईन (মারাঠীতে, মলা রক্ত ধ্যা, মী তুলা স্বাতন্ত্র্য দেঈন) গুজরাটীতে, મને લોહી આપો હું તમને મુક્તિ આપીશ (গুজরাটীতে, মনে লোহী আপো হুঁ, তমনে মুক্তি আপীশ) উড়িয়াতে, ତୁମର ମୋକେ ରକ୍ତ ଦିଅନ୍ତୁ, ମୁଁ ତୁମକ ସ୍ବାଧୀନତା ଦିବ (উড়িয়াতে, তুমর মোকে রক্ত দিয়ন্তু, মুঁ তুমক স্বাধীনতা দিব) অসমীয়াতে, আপুনি মোকে খুন দিয়ক, মই আপোন সকলোক স্বাধীনতা দিব।

৪ জুলাই ১৯৪৪ সালে বার্মাতে এক র্যা লিতে তিনি এই উক্তি করেন। তাঁর আর একটি বিখ্যাত উক্তি হল "ভারতের জয় ("জয় হিন্দ"), যা কিনা পরবর্তীতে ভারত সরকার গ্রহণ করে নেয়।

সুভাষচন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত এবং কংগ্রেসের বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করার জন্য তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়। সুভাষচন্দ্র মনে করতেন গান্ধীজির অহিংসার নীতি ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন। সুভাষচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের পূর্ণ ও সত্বর স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করেছিল। তাঁর বিখ্যাত উক্তি "তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।"



উল্লেখ্য, কংগ্রেস কমিটি যেখানে ভারতের অধিরাজ্য মর্যাদা বা ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাসের পক্ষে মত প্রদান করে, সেখানে সুভাষচন্দ্রই প্রথম ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে মত দেন। জওহরলাল নেহরু সহ অন্যান্য যুবনেতারা তাঁকে সমর্থন করেন। শেষপর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশনে কংগ্রস পূর্ণ স্বরাজ মতবাদ গ্রহণে বাধ্য হয়। ভগৎ সিংহের ফাঁসি ও তাঁর জীবন রক্ষায় কংগ্রেস নেতাদের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ সুভাষচন্দ্র গান্ধী-আরউইন চুক্তি বিরোধী একটি আন্দোলন শুরু করেন। তাঁকে কারারুদ্ধ করে ভারত থেকে নির্বাসিত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তিনি ভারতে ফিরে এলে আবার তাঁকে কারারুদ্ধ করা হয়।
মনে করা হয় ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর এই তথাকথিত দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর বিরুদ্ধ প্রমাণও বিদ্যমান।



১২২ তম জন্মদিবসে দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে সমগ্র দেশ তথা জাতির পক্ষ প্রণিপাত করি।
বাংলা কবিতা আসরের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই সংগ্রামী অভিবাদন।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়হিন্দ জয় ভারত।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!



নেতাজী স্মরণে কবিতা
লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ভারত মায়ের দামাল ছেলে নেতাজী সুভাষ তুমি,
দুই চোখে তব স্বপ্ন ছিল গড়িতে স্বদেশ জন্মভূমি।
“রক্ত দাও স্বাধীনতা দেব” বলেছিলে তুমি মুখে,
আজাদ বাহিনী করেছিলে গঠন সাহস নিয়ে বুকে।

ভারত মাতা ছিল পরাধীন ধরিয়া দুই শত বর্ষ,
ইচ্ছা ছিল করিতে স্বাধীন তব স্বদেশ ভারতবর্ষ।
স্বদেশ তব হইল স্বাধীন, দেখিলে না বীর তুমি,
ত্রিবর্ণ পতাকা উড়িছে আজি স্বাধীন ভারতভূমি।

তোমার আসন শূন্য আজিকে, পূর্ণ কবিবে কেবা?
ফিরে এসো, এসো ফিরে, করিবারে দেশের সেবা।
কত শত প্রাণ দিল বলিদান, মুক্তির সোপান তলে,
তোমার তরে দেশবাসী আজি ভাসিছে অশ্রু-জলে।

স্বদেশের লাগি স্বাধীনতা তরে করিলে তুমি সংগ্রাম,
হে বীর সাধক! কর্মী মহান, তোমারে জানাই প্রণাম।



নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর উল্লেখনীয় তথ্য :

জন্ম: জানুয়ারি ২৩, ১৮৯৭ কটক, উড়িষ্যা (অধুনা (ওড়িশা), ব্রিটিশ ভারত .
মৃত্যু: ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫ (সরকারি মতে) তাইওয়ান (সরকারি মতে)
সমাধি রেনকোজি মন্দির (সরকারি মতে, এখানে নেতাজির চিতাভষ্ম রক্ষিত)
বাসস্থান: ৩৮/২ এলগিন রোড (অধুনা লালা লাজপত রাই সরণি), কলকাতা
জাতীয়তা: ভারতীয়
পেশা: রাজনীতিবিদ
যে জন্য পরিচিত: ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগঠক ও সর্বাধিনায়ক
উচ্চতা: ৫ ফু ৮.৫ ইঞ্চি
উপাধি: নেতাজি , দেশনায়ক
রাজনৈতিক দল: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক
ধর্ম: হিন্দু
দাম্পত্য সঙ্গী: এমিলি শেঙ্কল
সন্তান: অনিতা বসু-পাফ
পিতা-মাতা(গণ): জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবী
আত্মীয়: শরৎচন্দ্র বসু, শর্মিলা বসু
*********
তথ্যসুত্র: ফেসবুক, গুগল, ও বিভিন্ন উত্স থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×