somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাজের পদ বৈষম্য- এর অবসান কোথায়?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটা বিষয় নিয়ে কিছুদিন খুব মাথা ঘামাচ্ছি। কিন্তু ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না কিভাবে পরিবেশন করবো। আমাদের দেশের শিক্ষা ও চাকুরী ব্যবস্থা নিয়ে খুব বেশী কিছু জানি না। মাথার ভেতর শুধু একটি বিষয়ই ঘুরপার খাচ্ছে তা হলো অনার্স মাষ্টার্স পাশ করে প্রাইভেট কোম্পনীর এজিএম ডিজিএম বা জিএম হওয়ার থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে সরকারী কোন অফিসের পিওন হতে পারা এদেশে অনেক বেশী ইফেক্টিভ।
অথচ এই বেসরকারী অফিসে অনির্দিষ্ট ঘন্টার পর ঘন্টা শ্রম বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ থেকে সরকারকে তারা ট্যাক্স দেয়, আর সেই ট্যাক্সের টাকায় সরকার দেশ চালায় তার প্রশাসন চালায়, অথচ সমাজের কোথাও তাদের বিন্দুমাত্র স্ট্যাটাস নাই, স্থান নাই। নাই পদ পদবীর কোন মূল্যায়ন। নাই অর্জিত শিক্ষা সনদের বিন্দু মাত্র ভেদ বিভেদ। সরকারী কোন অফিসের প্রথম আ দ্বিতীয় শ্রেনী বাদই দিলাম, একজন তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী যে ক্ষমতা রাখে বা প্রকাশ করে এই দেশে এই সমাজে, প্রাইভেট কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা তার ধারের কাছেও যেতে পারে না। কিন্তু বিষয়টা এমন হওয়া কি সুশাষনের পরিপন্থী নয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী যখন একটি মানুষ চাকুরী করার যোগ্যতা অর্জন করে, তখন সমাজে তার সম্মানও সেই অনুযায়ী ওঠা নামা করে। কিন্তু কম শিক্ষিত একজন মানুষ যখন বেশী শিক্ষিত মানুষের উপর খবরদারী করে, তখন শিক্ষার কি মূল্য থাকে? চেইন অব কমান্ডে কিভাবে শৃঙ্খলা থাকে? আর করবে নাই বা কেন? ঘুষের অপর নাম এখন স্পিডমানি। এই স্পিডমানি বড় বড় কর্মকর্তারা সরাসরী নেন না। নেন ঐ তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী মারফত। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে সে কেনো তার অফিসারকে সম্মান করতে যাবে? আর যে নিজের অফিসারকেই সম্মান করে না, সে বাইরের কাওকে তোয়ক্কা করার তো প্রশ্নই উঠে না!

এভাবেই ধীরে ধীরে দেশের মেধা মগজ মূল্য না পেতে পেতে ডাইভার্ট হয়ে ভিন দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে!! সুশাসন বিঘ্নিত হচ্ছে। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। যেমন গ্রামের একজন প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক, যে কিনা অধিক সম্মান পাবার যোগ্য, সেও ঐ গ্রামের অশিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত মেম্বার বা চেয়ারম্যানের কথায় উঠে বসে। উঠতে বসতে হয়। নইলে সমাজে চলা যায় না।

দেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমার কি অধিকার, আমার কি প্রাপ্য সেই বিচারটা হয়, আমি কি করি তার উপর ভিত্তি করে। আমি যদি কোন ক্ষমতা বান ব্যক্তির ভাগ্নে বা ভাস্তে হই, তো আমার এক ধরণের অধিকার, আর যদি আমি তেমন কিছু না হই, তবে অধিকার কি জিনিষ সেটাই বোঝা যায় না। আমরা আমাদের মূল্যায়ন করতে শিখিনি আজো। আর কবেই বা শিখবো সেটাও জানি না তবে আদৌ যে শিখবো না, তা বুঝি .... এভাবেই চলতে থাকবে, ডিগনিটি হীন জীবন যাপন!! :(
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×