শিশুর স্কুলব্যাগ তার ওজনের ১০ শতাংশের বেশি নয়,,,,,,,,
শিশুর ওজনের ১০ শতাংশের বেশি ভারী স্কুলব্যাগ বহন করতে দেয়া যাবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও আশিস রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
কথা হলো শিশুর স্কুল ব্যাগ এর ওজন কমানোর চেয়ে শিশু শিক্ষার খরচের ওজন কমানো অনেক বেশী জরুরী। বিশেষ করে ঢাকা শহরের যে কোন স্কুলে নার্সারীতে ভর্তি করাতে গেলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাগে। মাসে মাসে বেতন দিতে হয় হাজার টাকার উপরে। ঢাকা শহরের সরকারী প্রাইমারী স্কুলের যে পরিস্থিতি তাতে মধ্যবিত্ত সমাজের অনেকেই সেখানে বাচ্চাদেরকে পড়াতে আগ্রহী হন না। আর নিম্ন আয়ের মানুষ আর উচ্চ আয়ের মানুষের এই বিষয়ে কোন সমস্যাই হয় না। কারণ উচ্চবিত্ত সমাজে হাজার হাজার টাকা খরচ করে পোলাপান পড়ানো কোন ঘটনাই না। পক্ষান্তরে নিম্ন আয়ের মানুষজন যেটুকু পায়, সেটুকুই তাদের প্রাপ্তি বলে মনে করেন। কিন্তু সমস্যা হয় মধ্যবিত্ত সমাজের। মান সম্মত ও রুচিশীল পরিবেশে নিজেদের বাচ্চাকে শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নে বাধ্য হয়ে তাদেরকে অতি মাত্রায় খরচ করে অপেক্ষাকৃত ভালো মানের স্কুলে বাচ্চাদেরকে ভর্তি করাতে হয়। তাদের ড্রেস, বই খাতা, স্কুলে আনা নেওয়া, টিউটর রেখে পড়ানো সহ যৎ যাবতীয় আব্দার আহ্লাল মেটাতে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে যে কত হিসাব করে পা ফেলতে হয়, সেটা সমাজের অনেকেই হাড়ে হাড়ে টের পান। শুধু টের পান না সমাজের নীতি নির্ধারক মহল। কারণ তাদেরকে তো এত কষ্ট ক্লেষ সহ্য করতে হয় না। পাই পাই হিসাব করে সংসার চালাতে হয় না।
সুতরাং আমার মনে হয় বাচ্চাদের ব্যাগের ওজন কমাতে হলে মান সম্মত শিক্ষার ব্যয় কমাতে হবে। পাশপাশি শিক্ষার পরিবেশ ও মান সমন্বয় করতে হবে। ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন, বাংলা মিডিয়াম এভাবে শিক্ষাকে বিভক্ত করলে শ্রেনী বৈষম্য বাড়ে বৈ কমে না। সেই সাথে ব্যবসার ফন্দিও বৃদ্ধি পায়। এই ব্যপারে সবারই একটু নজর দেওয়া উচিৎ .... কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩