আপনি কি সবসময় ‘হ্যাঁ’ বলায় অভ্যস্ত? এবিষয়ে একমত হওয়ার আগে ছোট্ট একটা বিরতি নিন। খেয়াল করে দেখুন এর মাধ্যমে কি আপনি নিজের জন্য সবচেয়ে বেশী সুবিধা পেয়ে থাকেন? ভুল আশ্বাস দিয়ে হতাশ করার মাধ্যমে অন্যেদের আস্থা হারানোর চাইতে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসাবে উপস্থাপন করাই শ্রেয়। বিভিন্ন অবস্থাতেই ‘না’ বলার দরকার হয়, আপনার সুসংগত যুক্তিবোধকে ব্যবহার করে সহজেই এই জাতীয় পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। নিচের টিপসগুলো খেয়াল করুন, কিভাবে ‘না’ বলবেন তার সহজ একটা গাইডলাইন এখানে দেয়া হয়েছে।
> না দিয়েই শুরু করুন। কথোপকথনের গোড়াতেই আপনার প্রোপটকে পরিষ্কার করে দিন এবং পরবর্তিতে ঘটতে পারে এমন কোন বিভ্রান্তি থাকলে তাও কমিয়ে ফেলুন। এর মধ্য দিয়ে অপর ব্যক্তিটিকে আপনি সম্মানই দেখাচ্ছেন, এমন নয় যে আশেপাশের কাউকে মাড়িয়ে দিচ্ছেন আপনি আলগোছে।
> প্রাকটিস মেকস্ ম্যান পাফের্ক্ট । যা আপনি বলতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। সুবিধাজনক অংশ বেছে নিয়ে, অন্যান্য অংশ চাপা দিয়ে বিকৃত ভংগিতে যেন উপস্থাপিত না হয় সে জন্য আগে থেকেই নিজের মাথায় বিষয়টিকে পরিষ্কার করে রাখুন।
> আপনার যুক্তিগুলো দেখান। আলংকারিক ভাষা অথবা মিষ্টি কথার প্রলেপ দিয়ে আপনার যুক্তিবোধকে নমনীয় করার চেষ্টা করবেননা। কেন আপনি সহযোগিতা করতে পারছেননা সে বিষয়টি খোলাসা করুন। আপনার বক্তব্য যত ষ্পষ্ট হবে সেটির বোধগম্যতাও তত বড়বে।
> প্রশ্ন করুন। অপর ব্যক্তিকেও তার চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দিন, মনযোগ দিয়ে শুনুন সে কি বলতে চাইছে। এর ফলে তার চিন্তাধারা এবং আপনার বক্তব্য সে কতটুকু বুঝতে পেরেছে সেটি স্পষ্ট হবে।
> অন্যের অবস্থানকে মেনে নিন। ল্েয স্থির থেকেও আপনি তার পরিস্থিতিকে স্বীকার করতে পারেন। তাকে জানান আপনি বুঝেছেন - ‘অমি জানি তুমি কাজকর্ম আর বাচ্চাদের নিয়ে খুবই ব্যস্ত, কিন্তু আমি দু:খিত, এবার আমি তোমাকে মোটেই সময় দিতে পারছিনা।’ খেয়াল করলে দেখবেন বাস্তবতা নয় বরং অনুভূতিপ্রবণ অবস্থাগুলোই ‘না’ বলাকে কঠিন করে তোলে।
> দৃঢ় আশ্বাস দিন। প্রায়শই প্রত্যাখ্যানকে আমরা ব্যক্তিগত ভাবে নিই। বিশেষভাবে এই বিষয়টি পরিষ্কার করুন কেন তাকে ‘না’ বলা প্রয়োজন এবং সুনিশ্চিত করুন ‘না’ বলার মধ্যে দিয়ে আপনি তাকে খাটো করছেননা।
> কোন কিছু গোপন না রেখে স্বীকার করুন। আপনি কি অবাস্তব কিছুর প্রত্যাশা করছেন? দায়িত্বের সাথে আপনার অবস্থানকে পরিষ্কার করুন। আপনার হাতে সত্যিই যদি সময় কম থাকে, তাকে বলুন। আপনার সততাকে সে সম্মান করবে।
> গঠনমূলক প্রস্তাবের দিকে নজর দিন। ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলোর ধারনা দিন তাকে, তার আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন সেগুলো বাস্তবসম্মত। ধরুন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রার্থী উপযুক্ত নয়, সেেেত্র এটা বলে আলোচনার ইতি টানবেননা - আশা করছি পরবর্তিতে আবার কখনো আপনাকে আমরা ডাকবো।
> প্রয়োজনে বেশী সময় ব্যয় করুন। অপর ব্যক্তিটির তাৎণিক প্রতিক্রিয়ায় উদ্বিগ্ন হবেননা। প্রাথমিকভাবে সেও বিভ্র্ান্ত হয়ে যেতে পারে, কিন্তু সময় নিয়ে বুঝিয়ে বললে তার যুক্তিবোধ নিশ্চয়ই কাজ করবে।
আলোচিত ব্লগ
=হিংসা যে পুষো মনে=

হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।
কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন
গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন
রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি
রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি
সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।
রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।