জীবনে গতি বাড়ানোর চাইতেও বেশী কিছু করার আছে - মহাত্মা গান্ধীর এই উক্তিটি আজকের আধুনিক বিশ্বের ক্ষেত্রে অনেক বেশী প্রযোজ্য। কাজ ছাড়া জীবন যেমন একঘেঁয়েমিতে পরিণত হতে পারে অতিরিক্ত কাজের ভারে তেমনি নিজেকে দুর্বিষহ করে তোলেন অনেকেই।
জীবনে ভারসাম্য অনেক ভাবেই আনতে পারি আমরা। কোনটি আপনাকে সবচেয়ে বেশী সুখী করে এই বিষয়ে সজাগ হয়ে কিছু স্মার্ট ডিসিশান তৈরী করুন। জীবনের প্রত্যেকটি অংশের মধ্যে ব্যলান্স বজায় রেখে ছন্দময় আনন্দদায়ক লাইফস্টাইল তৈরী করা সম্ভব। এই প্রতিবেদনের টিপস গুলো ওয়ার্ক-লাইফ ব্যলান্স তৈরীতে আপনাকে সাহায্য করবে।
> মুছে ফেলুন সীমানা।
আলাদা কোন সত্তা নয়, কাজকে করে নিন জীবনের অংশ।
> প্রত্যাশাগুলোকে নিয়ন্ত্রন করুন।
কোন কাজে দেরি হবে বুঝলে স্পষ্টতা ও সততার সাথে তা আগেভাগেই জানিয়ে দিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। পরবর্তিতে হতাশ করার চাইতে প্রয়োজন হলে আগে থেকেই 'না' বলুন।
> মনকে পরিষ্কার রাখুন।
কাজের তালিকা ডেস্কে রেখে দিন। ভ্রমনের সময় মনকে খালি করে ফেলুন এবং নিজেকে প্রস্তুত করে নিন গন্তব্যের পথে।
> জীবনের অন্যান্য দিক গুলোও প্রকাশিত করুন।
অন্যদেরকে আপনার জীবনের প্রত্যেকটা অংশের হালকা আভাস দিন। বাড়ির মানুষদের সংগে দিনে অন্তত: দশ মিনিট সময় কাটান অথবা কোন উইকএন্ড পার করুন একজন কলিগের সাথে। লোকজনকে বোর করতে চাননা আপনি, তাই আড্ডাগুলোকে সংপ্তিত ও আনন্দদায়ক করুন, আর পরবর্তি কাজে এগিয়ে যান।
> নিজেকে চ্যলেঞ্জ করুন।
কাজের দায়িত্ব আসলে আমাদেরকে প্রচুর চ্যলেঞ্জের সামনে দাড় করায়, কিন্তু ঘরোয়া জীবন হতে পারে আরো বেশী একঘেয়ে এবং নীরস। নিজের জন্য সেই চ্যলেঞ্জগুলোই সেট করুন যেগুলো আপনাকে মটিভেট করবে - উদাহরন হিসাবে বলা যায়, পেইন্টিং শিখতে পারেন কিম্বা হতে পারেন ভালো কোন জিমনেসিয়ামের নিয়মিত সদস্য।
> কর্মদক্ষতার পরিবর্তন ঘটান।
আপনার জীবনের এক অংশের দক্ষতাকে কাজে লাগান অন্য অংশকে সমৃদ্ধ করতে। যদি আপনি রিপোর্ট লেখায় দক্ষ হন কেন আপনি একটি উপন্যাস লেখা শুরু করছেন না?
> ফোকাস করুন।
যার সাথেই থাকেননা কেন সম্পুর্ণ মনযোগ তাকেই দিন। বাড়িতে আগামীকালের কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার বদলে ফোকস করুন আপনার পার্টনারের প্রতি। কাজের ক্ষেত্রেও একই ব্যপার - বাজেট অনুমোদনের ব্যপারে ভাবুন, নুতন বাথরুমটির কথা নয়।
> আপনার পদপেগুলোর দিকে নজর রাখুন।
পার্ফেক্ট ব্যলান্সের জন্য নিজেকে সবসময় প্রেসারের মধ্যে রাখবেননা; বরং কয়েক মাস অথবা গোটা বছরটার দিকেই খেয়াল করুন।
> ওঠানামা থাকবেই, তবুও চেষ্টা করুন সার্বিকভাবে সঠিক ব্যলান্স বজায় রাখতে।
> কাজের মধ্যে স্বল্প সময়ের বিরতি নিন। আর যদি অতিরিক্ত পরিশ্রান্ত হন তবে ছুটি নিন। ব্যটারি রিচার্জের মাধ্যমে আসলে নিজের জন্য প্রকৃত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকেই সহায়তা করা হয়।
সূত্র : The Mind Gym : Wake Your Mind Up অবলম্বনে
তামিম আব্দুলাহ
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।