somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসরাইল-ফিলিস্তিনি কনফ্লিক্ট: (একজন ইসরাইলের বক্তব্য)

১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা যে ইতিহাস জানি এই ইতিহাস ইসরাইলিরা সঠিক বলে মনে করে না। অনেক আগের ইতিহাস , এখানে বিশাল বড় "কিংডম অফ ইসরাইল" নামে দেশ ছিল। একসময় সিরিয়া,রোমান, খ্রিস্টানরা ইহুদীদের মেরে উঠিয়ে দেয়। হাতবদল হতে হতে এই জায়গা চলে যায় অটোম্যান শাসনের (তুর্কি) আন্ডারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোম্যান শাসনের পরাজয়ের ফলে ওই জায়গাটা চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯২১ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি নামক কোন দেশ ছিল না।

১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে, ব্রিটিশরা ২০% ইহুদিদের এবং ৮০% ফিলিস্তিনিদের জায়গা দিয়ে দুইটা দেশ গঠনের প্রস্তাব করে। সে সময় ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতে চাইলেও আরব নেতারা মেনে নিতে পারে নাই । তারা কখনোই আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটা ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দিতে চায় নাই। এটা ছিল আরব নেতাদের বড় ভুল।

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৪৩% জায়গা ফিলিস্তিনিদের এবং ৫৬% জায়গা ইহুদিদের দিয়ে দুইটা দেশ গঠনের প্রস্তাব করে। এবারও ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতে চাইলেও আরব নেতারা মেনে নেয় নাই। ৫৬% জায়গা নিয়ে ইসরাইল নিজেদের স্বাধীন দেশ ঘোষণা করে। এটা মেনে নিতে না পেরে আরব লীগ ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সেসময় "গাজা" অঞ্চল মিশর দখল করে নেয় আর "ওয়েস্ট ব্যাংক" জর্ডান দখল করে নেয়। সে যুদ্ধে ইসরাইল ৭৮% জায়গা নিজেদের দখলে নেয়। এবং এর পরপরই ১৯৪৯ সালে তুরস্ক ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

১৯৬৭ সালে ইসরাইল আবার মিশর, জর্ডান, লেবানন, ইরাক... এদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং ওয়েস্ট ব্যাংক এবং গাজা ওদের কাছ থেকে দখল করে নেয়। এরপর থেকে ইসরাইল পুরো অংশটাই তারা নিজেদের হিসেবে দাবি করে আসছে। ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনিদের নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে ঐতিহাসিক অসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে ২০% জায়গা ফিলিস্তিনিরা পাবে আর ৮০% ইসরাইল পাবে। ইয়াসির আরাফাত ওই চুক্তির কারণে নোবেল পিস্ প্রাইজ পায়। এবারও ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতে চাইলেও হামাস মেনে নেয়নি। ফলে ফিলিস্তিনি ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে যায়। ওয়েস্ট ব্যাংক শাসন করে ফিলিস্তিনি গভমেন্ট "ফাতাহ" আর গাজা শাসন করে হামাস। এবং এই যুদ্ধ আজও বহাল।

*আরবরা প্রথম দিক থেকেই ভুল করছে। আজ পর্যন্ত আরবদের থেকে ভালো কোনো নেতা তৈরি হয়নি।আরব নেতাদের ভুলে ফিলিস্তিনির সাধারণ জনগণ খেসারত দিচ্ছে। ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে না নেওয়া ছিল আরব নেতাদের সবচেয়ে বড় ভুল। এখন ইসরাইলও জাতিসংঘের সেই প্রস্তাব মানছে না। তাদের দাবি, তারা যুদ্ধ করে পুরনো জায়গা দখল করছে।

এইটা একজন ইসরাইলির কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্য এবং এই ইতিহাস ওদের মতই হবে। পুরোটা বিশ্বাস করার কোন কারন নাই। জাস্ট আমি জানার চেষ্টা করছিলাম ওরা কেন ওয়েস্ট ব্যাংক (জেরুজালেম) নিজেদের বলে দাবি করে এবং সেখানে ইহুদি বসতি স্থাপন করছে।
[তথ্য: বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে, বিশেষ করে ফাতাহ সমর্থক গোষ্ঠী। ২০০৭ সালে হামাস এবং ফাতাহ মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ফিলিস্তিনিদের জনসমর্থন ছাড়াই "হামাস" গাজা শাসন করে, সেখানে সেন্টাল গভমেন্টের ( ফাতাহ) কোন কর্তৃত্ব নাই।
ইসরাইল এখন ৮০% এর বেশি ভূমি দখল করে আছে। ইসরাইলের মোট জনসংখ্যার ২১% শতাংশ মুসলিম।]

[পাদটীকা: ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে ৪৩% জায়গা ফিলিস্তিনিদের এবং ৫৬% জায়গা ইজরাইলীদের দিয়ে দুটি দেশ গঠন হবে এটাই আমার প্রত্যাশা]
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০৪
১৪টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×