somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এল এইচ, জুয়েল
সুপ্রিয় সামু ব্লগার কমিউনিটি, আমি লোকমান হোসাইন"। আমি আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আরও মানসম্মত ব্লগ পোস্ট নিয়মিত উপহার দিতে পারব বলে আশা করি। আপনারা আমার ব্লগের পোস্ট নিয়মিত পরবেন আর শেয়ার ও কমেন্টসের মাধ্যমে আপনাদের মতামত প্রকাশ করবেন

ভালোবাসি তোমায় প্রিয়তমা নিম্নী

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমার মনে আছে নিম্নী,
সেই রোজকার অফিসে আমি তোমার কাছে আসলে আমার হার্ট কাঁপত,তোমার শরীরের পারফিমের মিষ্টি গন্ধটা আমাকে আরও আকর্ষণ করত,তোমার মনে পরে ভালোবাসার অনেকটা দিন পার হবার পর তুমি আমাকে সেই পারফিউমের নামটা বলে ছিলে।
মনে পরে আমাদের ভালবাসার শুরুর দিকের কথা, তখন শীতকাল আমি প্রতিটা দিন তোমার বাসার নিচে এসে দাড়িয়ে থাকতাম তোমার সাথে অফিসে আসব বলে।তুমি বাসা থেকে আমার জন্য রান্না করে নিয়ে আসতে। তোমার মনে আছে কাজের বাহানায় তুমি আমার সঙ্গ পেতে চাইতে অফিসে, আমাকে কাছে ডাকতে তোমার পাশে বসাতে।মাঝে মাঝে আমরা আমাদের ভাবের আদান প্রদান করতাম পঙ্কজ দাদার মাধ্যমে। আহারে বেচারা।না পারত কিছু বলতে না পারত কিছু সইতে। মনে পরে আমার জ্যাকেট তুমি তোমার গায়ে পরে তোমার বাসায় যাওয়া, তখনও আমাদের ভালোবাসা শুরুই হয়নি, তারপরও তুমি পরম মমতায় সেই জ্যাকেট বাসায় নিজ গায়ে পরে নিয়ে গেছিলে, আর ফেরত দেবার সময় মেখে দিয়েছিলে একগাদা সুগন্ধী।অফিসে সিঙ্গারা খাবার আগে আমি তোমাকে বরাবরই মনে করিয়ে দিতাম ওষুধ খাবার কথা। আগে তো তোমার সব ওষুধ আমার ব্যাগে করেই রাখতাম।অফিসে বসের চোখ বাঁচিয়ে কলিগদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলত তোমার আমার অফিস প্রেম।তোমার মনে পরে অফিস বাথরুমে তোমার আটকে পরে যাওয়া, কি ভয়টাইনা তুমি পেয়েছিলে।কান্নায় আমাকে জড়িয়েও ধরতে পারছিলে না অফিস লজ্জার ভয়ে।প্রতিদিন সকালে তোমাকে অফিসে নিয়ে আসা আর অফিস থেকে তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া ছিল আমার রোজকার রুটিন।মনে পরে তোমার, মধুবনের লাড্ডু আর ছোলার কথা।
আমরা রোজ তা খেতাম আর রিক্সায় কত শত দুষ্টামি করতাম।তখন তোমার হাসিতে একটা মাধুর্যটা ছিল, ছিল নিশ্চিন্তে আমার হাত ধরে তোমার পথচলা। তুমি সবসময় চাইতে আমি তোমার পাশে থাকি।মার্চেন্ট ভিজিটে গেলে আর আসতে দুপুরের পর হলে তুমি না খেয়ে বসে থাকতে,ও হ্যাঁ অফিস শেষে টি এস সির আড্ডার কথা মনে আছে। আমি আমার জীবনেও এত ফুসকা খাই নাই যা তোমার সাথে প্রেমের সময় খেয়েছি।তোমার কমদামি খাবারের প্রতি আকর্ষণ আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করত।আমার পকেট খরচ ও বেছে যেত।মনে পরে প্রথম যেদিন অফিসে জানাজানি হল তোমার আমার ভালোবাসার কথা, অজানা ভয় তোমাকে আর আমাকে গ্রাস করেছিল।আমাদের চাকরি থেকে যখন বাছাই পর্ব এসে ছিল “হয় তুমি জব করবে না হয় আমি জব করব” তখন তুমি নির্দ্বিধায় নিজের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে আমার মতামতকেই প্রাধান্য দিয়ে ছিলে যদিও সেই সময় আমার থেকে তোমার চাকরিটা বেশি প্রয়োজন ছিল।
আর যেদিন তুমি চাকরিটা ছেড়ে দিলে আমাদের দুজনেরই মন খুব খারাপ হয়ে গেছিল।এক পর্যায়ে তুমি তো কেদেই দিয়েছিলে বসুন্ধারায় ক্যাপ্রিকনে। তোমার কান্নার মাঝে চাকরি হারানোর কোন রেশ মাত্র ছিল না ছিল শুধু আমার সাথে দুরত্ত্যের বিসাধ।
তার পর কত দিন পার হল। জীবনের কতই ঘটনা পার হয়ে গেল, অফিসে জিন্স টিশার্ট পরা মেয়েটা সালোয়ার কামিজে অভ্যস্ত হয়ে উঠল।পরিবর্তন আসল তোমার আমার চলন ভলনে,কথা বার্তায়।আমরাও হয়ে উঠলাম বাস্তববাদী ।

অবশেষে তোমার আমার বিয়ে হল।কিন্তু আমারা বদলে গেলাম।পরিবর্তন, পরিবর্ধন আমাদের ঘিরে রাখল।ভালোবাসার সাথে দায়িক্তবোধটাও বেড়ে গেল।আমাদের উপর আরোপ হল সামাজিক বৈবাহিক কিছু নিয়ম, যা আমরা কোনদিনও ভাঙতে পারব না।বউ আমি তোমাকে আগের চেয়েও বেশি ভালবাসি কিন্তু তোমাকে হয়ত তোমার নিয়মে ঠিক আগের মত প্রকাশ করতে পারি না, আর তাইত তুমিও আমার এই পরিবর্তনটাকে মেনে নিয়ে আমার কাছ থেকে তোমাকে গুটিয়ে নিয়েছ। প্রতিটাদিন তোমাকে আমি একটা হলেও চকলেট দিতাম আর তুমিতা নির্দ্বিধায় পরম আরামে আমাকে অল্প দিয়ে পুরোটাই খেয়ে ফেলতে।আজ তোমাকে আর তেমন একটা চকলেট দেওয়া হয় না হয়ত ভুলে জাই,আগের মত সব একটা মনেও থাকে না।আবেগ,ভালোবাসার সাথে আমাদের জীবনে নতুন এক বন্ধু এসেছে আর তা হল দায়িক্ত-কর্তব্য।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,উপার্জন, সংসার, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে আমি এতটাই ব্যাস্ত হয়ে পরেছি যে আমি বর্তমানের সুখ গুলোকে বুঝে উঠতে পারছি না।

এমনটা আমি কোনদিনও চাইনাই।এমন পরিবর্তন আমার কোনদিনও কাম্য ছিল না, তারপর পরিবর্তন হতে হয়।কারন মানুষ মরে গেলে পচে যায় আর বেছে থাকলে বদলায়,সব বদলানোর কোন কারন লাগে না,অজুহাতই যথেস্থ।আমাদের সমাজে সবারই পরিবর্তন হয় অপরকে পরিবর্তিত হতে দেখে। তুমিও হবে।তবে তোমার প্রতিটা পরিবর্তনের প্রথম ধাপে শুধু একটা কথাই মনে রাখবে আমি তোমাকে সারাটাজীবন আমার সম্পত্তিরূপে নয় আমার সম্পদ রূপে পেতে চাই। লিখেছেনঃ এল এইচ জুয়েল

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×