ভোরবেলা জাগার অভ্যাস টা অনেকদিনের ই জলের।আজো জেগেছে,মনে পরছে সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো।আজ়কের এই দিনেই তো জ়ীবন টা হাতে আসি আসি করে চলে গেল।যা কখনো ভাবেনি,যা করা কে সবসময় হাসি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দিয়েছে,তিন বছর আগে লোভে পড়েই সেই কাজ এ নিঃসংকোচে ধরা দিয়েছে,সায় দিয়েছিল শিঁশিরের উদাত্ত আহবানে।জীবন কত নিশ্ঠূর খেলা খেলে মানুষের সাথে!!!ওই সময় জ়ীবনের সবগুলো স্বপ্ন ছুটে যাচ্ছিল হাত থেকে,সেই অবস্থায় কারো সাহায্যর হাত কে বেঁচে থাকার খরকুটো মনে করাই স্বাভাবিক।সারাজীবন যাকে বুঝা্নো হয়েছে জীবন একটা প্রতিযোগীতা,তুমি পড়াশুনা কর,ভাল রেজাল্ট করো,ভালো চাকরি করো,সবাই তোমাকে ভালোবাসবে।সে চেষ্টা যে জল করেনি তা না।স্কুল কলেজে ও ভাল ছাত্রী হিসেবেই পরিচিত।রেজাল্ট ও ভালো,কিন্তু কে জানে কেন মেডিকেল এডমিশন এ এলাউ হল না।শুধু সে না,তার সাথে কুনো ফ্রেন্ড ই চান্স পায়নি।এটা হয়তো শুধু একটা শান্তনা ছিল,বাবা মা’র শখ ছিল এক মাত্র মেয়ে ডাক্তার হবে,সীদ্ধান্ত হলো একটা প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি করানো হবে।কেউ একটা বাড় জ়ান্তে চাইলোনা সে কি চায়!!!যেহেতু সব ফ্রেন্ড ছিলো তাই বাবা মা রা নিজেরা সীদ্ধান্ত নিলেন।শুরু হল জীবনের বৈরী পথ চলা।জল ভাবত যদি পাব্লিক মেডীকেলে না হয় তাহলেতো বেঁচেই গেলো,ভার্সিটি তে পড়বে,জীবন অনেক সহজে কেটে যাবে,কিন্তু হলোনা।বড় হওয়ার পথে প্রথম ধাক্কা টা খেলো।শুরু হল ইচ্ছার বিরুদ্ধে জীবোণ যাপন।খুব সামান্য এই কারনেই জীবন কে পান্সে মনে হত তার।তবুও চলে যাচ্ছিলো।ইন্টারনেটের যুগে সময় কাটানোর অনেক উপায় আছে।চেটিং টা সবচেয়ে সহজলভ্য উপায় সম্ভবত।জল মাঝে মাঝে ওটা করেই সময় কাটাতে শুরু করল।অবাক লাগে যে কাজে আগে কুনো আগ্রহ পেতনা,তাই করছে ইদানিং!সময় কেটে যাচ্ছে।কি করে এক বছর কেটে গেল,কে জানে।যে বন্ধুরা সাথে ছিল ওরা আবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চলে গেল।জল কে বলেছিল দিতে,ও দেয়নি।কি একটা জীদ কাজ করেছিল,বাবা মা’র সাথে রাগ করেই দেয়নি।হঠাৎ করেই একা হয়ে গেলো সে।ক্লাস এ যায়না,আইটেম দেয়না,যা তা অবস্থা।কিছুতেই কুনো উত্তর পায়না।শুধু একটা কথা মাথায় ঘুরে কেন সব কিছুই হাত থেকে সরে গেল।মাঝে মাঝে নিজেকে পরাজিত মনে হয়,মাঝে মাঝেরাগ হয় আল্লাহর উপর অথবা বাবা মা’র উপর।মোদ্দা কথা কাউকেই ভালো লাগেনা এখন।এমন একটা সময় পরিচয় শিঁশিরের সাথে।চেটিং আগেও হয়েছে,মনে দাগ কাটার মত কিছুই না।ওইদিন হঠাত করেই দু জন দুজনের দুঃখ শেয়ার করলো।তারপর বিদায় নেয়ার সময় শিঁশির নিজেই বলল একটা কমিটমেন্টে যাওয়ার কথা।জল বাঁধা দিয়েছিল,বলেছিল দেখা না করে এসব হবে না।শিঁশির বলেছিল আমার তোমাকে দেখার দরকার নাই,তুমি জেরক্ম সেরকমই ভাল,অন্যকিছু আছে যা দিয়ে সারাজীবন সুখে থাকা যায়।কূনো তর্ক ছারাই রাজি হল জল,শুরু হল নয়ুন গল্প…