"টেলিটকের টুজি নেটওয়ার্ক কাভারেজ ম্যাপ- ২০০৮ সাল"
দেখেই বুঝা যাচ্ছে, তখনো সদ্য ৩ পার্বত্য জেলায় নেটওয়ার্ক চালু হয়াটি ম্যাপে আপগ্রেড করা হয়নি। আর তারো প্রায় ৬ বছর পর বর্তমানে টেলিটকের এই নেটওয়ার্ক কাভারেজ টাই আরো বেড়েছে প্রায় ৩ গুণেরও বেশি। টাওয়ার সংখ্যা ৭৪০ থেকে বেড়ে এখন প্রায় ৩৪০০ টি। আর পাইপলাইনে আছে আরো ২০০০ টাওয়ার।
আর থ্রিজির কথা তো বাদই দিলাম। ৫৯ জেলা শহরে থ্রিজি অলরেডি চলমান, বাকি ৫ জেলায় কাজ সমাপ্ত, চালু হয়া বাকি। থ্রিজি+টুজি দুইটাই সম্প্রসারনের জন্য দুটি আলাদা প্রকল্প চলমান। আর তৃনমুলে বিটিসিএল এর অবকাঠামো দুর্বল হয়ায় আর ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক না থাকায় আগে তৃনমুলে অবকাঠামো তৈরী করা হচ্ছে, তারপরেই থ্রিজি চালু হতে যাচ্ছে। আর যেসব উপজেলায় অলরেডি এসব রেডি পাওয়া গেছে, সেগুলোতে থ্রিজি অলরেডি চালু হয়েছে।
এছাড়া সবার সব রকম চাহিদা মেটাতে একমাত্র টেলিটকেই আছে ৬০ টিরও বেশি থ্রিজি প্যাক, আর নিত্য নতুন অফার তো আছেই। সীমিত লাভ বা লাভ না রেখেই শুধুমাত্র গ্রাহক স্বার্থে টেলিটকই একমাত্র অপারেটর যারা দফায় দফায় দাম কমাচ্ছে; আর নিজেদের মুল্য কমানোর রেকর্ড নিজেরাই ভাংছে। আর স্পিডের কথা কি বলবো! খোদ টেলিটকের শত্রুরাও প্রশংসা করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্তত প্রতিশ্রতির চেয়ে বেশি তো পাওয়াই যায় বা সমানে সমান পাওয়া যায়, কোন কম নাই।
তারপরেও কিছু লোক আছেন, যারা ২০০৫ এর সুচনালগ্নের 'নেটওয়ার্ক নাই' এর ভাঙা রেকর্ড এখনো বাজিয়ে যাচ্ছেন। এরা বোধহয় বোঝেন না, তাদের কথাতেই বুঝা যায় যে এরা অন্তত গত ৫ বছরে টেলিটক সিম ছুয়েও দেখেনি, ব্যবহার তো দুরের কথা।
কথায় আছে, 'ভিক্ষা দরকার নাই, কুত্তা সামলান'। তেমনি সেই ব্যক্তিদেরও বলতে চাই, টেলিটক ব্যবহার না করতে চাইলে না করেন কিন্তু আল্লাহর ওয়াস্তে অপপ্রচার কইরেন না!