তখন লিঙ্কনের বয়স ১৭ বা ১৮ হবে। হিরু হিরু ভাব নিয়া চলত গায়ে বাতাস লাগিয়ে। একদিন লিঙ্কনের মা তাকে নিয়ে গেলো এক বাড়িতে। সেখানে গিয়ে লিঙ্কন দেখে তারা বেশ আপ্যায়ন করছে। লিঙ্কন তার মা কে চুপেচুপে জিজ্ঞেস করল, "আম্মা, ঘটনা কি? আমরা এই বাড়িতে কেন আসছি?"
লিঙ্কনের আম্মা হাসিমুখে বলল, "কারন এই বাড়ির মেয়েটা অনেক সুন্দর। দেখি আমাদের বাড়িতে বউ করে নেয়া যায় কিনা!" এই কথা বলে তিনি লিঙ্কনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।
লিঙ্কন তো লজ্জায় লাল হওয়ার মত অবস্থা! একি শুনি!
এমন সময় ১৮ বছরের একজন মেয়ে শাড়ি পড়ে ঘোমটা টেনে তাদের সামনে আসলো। তাকে দেখে লিঙ্কনের হার্টবিট ড্রামের তালে বাড়তে থাকে। বলা ভালো, মেয়েটা অনেক সুন্দরী ছিল।
লিঙ্কনের মা লিঙ্কনের কানে কানে বলে, "কিরে, মেয়ে পছন্দ হইছে তো? দেখতো একে আমাদের বাড়িতে কেমন মানাবে?"
লিঙ্কন লজ্জায় লাল হয়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলে "জি আম্মা, পছন্দ হইছে।" এই কথা বলে সে সেখানে থেকে বের হয়ে গেলো।
এদিকে লিঙ্কনের নাওয়া-খাওয়া, ঘুম সব হারাম! সে ছটপট করতে থাকে কবে এই মেয়ে তার হবে!
পরের দিন লিঙ্কন লুকিয়ে লুকিয়ে সেই বাড়িতে গেলো মেয়ের সাথে আরেকবার দেখা করতে। মেয়ের ছোট ভাইকে দেখে সে তাকে ৫ টাকা দিয়ে বলে, যাও তোমার বোনকে ডেকে দাও।
ছেলেটাও চামে ৫ টাকা পেয়ে তার বোনকে ডেকে আনলো।
মেয়েটা অনেক লজ্জা পেলো। সে বলল, "তুমি এইখানে কেন?"
লিঙ্কন তো অবাক! মেয়ে দেখি প্রথম থেকেই তুমি করে বলে!! কাহিনি কি!!
"না মানে, তোমাকে দেখতে এসেছি।" লিঙ্কন লজ্জায় বলল।
"তোমার ভাইকে নিয়ে আসলা না কেন? যার সাথে বিয়ে, তাকেই দেখি নাই এখনো!" মেয়েটা যেন একটু মন খারাপ করল।
এইবার লিঙ্কন যেন আকাশ থেকে পড়লো! তার মানে এই মেয়ে তার জন্য না, তার ভাইয়ের জন্য! তবে যে আম্মা বলল...।
লিঙ্কন অনেক কষ্টে নিজের রাগ সামাল দিলো, কোনো মতে আরো কিছু কথা বলে সেই বাড়ি থেকে চলে আসলো।
"আম্মা, সেই মেয়েটা তুমি কার জন্য দেখছ?" লিঙ্কন বাড়ি এসে তার মা কে জিজ্ঞেস করল।
"কার জন্য আবার! এই বাড়িতে বিয়ের যোগ্য কয়জন আছে তুই জানিস না? তোর ভাই ছাড়া আর কেউ আছে নাকি? " লিঙ্কনের মা জবাব দিল।
"ও আচ্ছা!" লিঙ্কনের ছেঁকা খাওয়া জবাব।
"কেন, তুই কি মনে করেছিলি? মেয়ে তোর পছন্দ হয় নাই? "
"না, তা না... এমনিই আর কি..."
এরপর লিঙ্কন সেখানে থেকে চলে আসে নিজের রুমে, কানতে কানতে নিজের বালিশ ভরিয়ে ফেলে... :
_______________ এখন সেই মেয়ে লিঙ্কনের ভাবী!