১। আলো এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যখন যায় তখন বেঁকে যায় কেন ?
যেহেতু , দুটি মাধ্যমের ঘনত্ব আলাদা তাই আলোর গতি দুটি মাধ্যমে আলাদা হতে বাধ্য । এই ব্যাপারটিকে বলে আলোর প্রতিসরণ ।
২। তামা পরে থাকলে সবুজ হয়ে যায় কেন ?
তামা আবহাওয়ার জলীয় বাষ্পে সহজে বিকৃত হয় না বা কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া ও সহসা হয় না । এ সত্ত্বেও দীর্ঘদিন উন্মুক্ত থাকার ফলে তামার উপর পাতলা সবুজ পর্দা জন্ম নিতে দেখা যায়। এই পদার্থটির নাম তামার কার্বনেট অর্থাৎ কপার কার্বনেট । এই ধরনের সুন্দর সবুজ রঙ তামার মূর্তির গায়ে লক্ষ করা যায়।
৩। ধাতুকে গরম করলে সাধারণত লাল হয়ে যায় কেন ?
ধাতব বস্তুকে গরম করা হলে তার পরমাণুর ইলেকট্রনগুলি শক্তি সঞ্চয় করে উচ্চতর শক্তি সম্পন্ন কক্ষপথে চলে যায় । আবার এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ না থেকে নিম্নশক্তির কক্ষপথে চলে আসে । প্রথমাবস্থায় তারা ইনফ্রারেড রশ্মি বিকীরণ করতে পারে। কিন্তু উত্তাপ আরও বৃদ্ধি করলে দৃশ্যমান আলোর বর্ণালী বিকীরণ করে । যা লাল দিয়ে শুরু হয় । এইজন্য আমরা গরম ধাতব বস্তুকে লাল দেখি । এরপর যদি ঐ লাল ঊত্তপ্ত বস্তুটিকে আরও গরম করা হয় তাহলে অন্য দৃশ্যমান আলোর বর্ণালী যথা হলুদ, নীল ইত্যাদি দেখব ।
৪। চুম্বক কেন উত্তর-দক্ষিণ দিক নির্দেশ করে ?
চুম্বককে একখন্ড সুতায় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখলে চুম্বকের উত্তর মেরু পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু, দক্ষিণ বরাবর দিক নির্দেশ করে এর কারণ পৃথিবীর চৌম্বকত্ব । পৃথিবী নিজেই একটি বিশাল চুম্বক হওয়ায় এই চুম্বকের আকর্ষণেই সাধারণ চুম্বক উত্তর ও দক্ষিণ দিক নির্দেশ করে ।
৫। ডেড সি তে মানুষ ভাসার কারণ কি ?
নামেতে সমুদ্র হলেও আসলে ডেড-সি একটি হ্রদ । এটি ইসরাইল ও জর্ডানের মাঝখানে অবস্থিত । এর পানির তল সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়েও ৩৯৩ মিটার নিচে । আগে কোনো দিন এটি সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল, আকাবা উপসাগরের মাধ্যমে । এখন কিন্তু এটি অবরুদ্ধ হ্রদ ছাড়া আর কিছু নয় এবং এর অবস্থান আরবের শুষ্ক অঞ্চলে হওয়ার ফলে হ্রদ থেকে বাষ্পীভবন অর্থাৎ পানি থেকে বাষ্প হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি । আর সেখানে বৃষ্টিপাতও নাম মাত্র হয় । তাই প্রতিদিনই নদীবাহিত লবণ জমে ডেড-সি এর পানিতে লবণের অনুপাত বেড়ে যাচ্ছে । বাড়তে বাড়তে এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে এর পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব মানুষের পুরো শরীরের আপেক্ষিক গুরুত্বের চেয়েও বেশী । ফলে কোনো মানুষই এর পানিতে ঝাঁপ দিলে এখন আর ডোবেনা, ভেসেই থাকে । শুধু ডেড-সি নয়, আমেরিকা যুক্ত্রাষ্ট্রের গ্রেট সল্ট লেকেরও এখন প্রায় একই অবস্থা ।
(বি: দ্রষ্টব্য: ডেড-সি সম্পর্কে একটা ধারণা আছে ইসলাম ধর্মে যে, হযরত ইব্রাহীম(আঃ)এর ভ্রাতুষ্পুত্র লুত (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা নবুয়ত দান করে জর্ডান ও বায়তুল মোকাদ্দাসের মধ্যবর্তী সাদূমের অধিবাসীদের পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরণ করেন। তখনকার সময়ে ঐ এলাকার মাটি অত্যন্ত উর্বর ছিল যার ফলে ঐ এলাকায় শস্য ও ফলের মাত্রাতিরিক্ত প্রাচুর্য ছিল ঐ এলাকার মানুষ এতসব প্রাচুর্য পেয়ে কাম নেশায় মত্ত্ব হতে থাকে, তারা সবাই সমকামী ছিল । শুধুমাত্র লুত(আঃ)ও তার ২টি কন্যা ছাড়া কেউ মুসলমান ছিল না। । তখন আল্লাহ তাআলা গজব দেন ঐ এলাকাতে, গজবের ফল হিসেবে ঐ এলাকায় ফসল হয় নি, বৃষ্টির ফোটা পরেনি । এরপর থেকে ঐ সাগরের নাম লূত সাগর হয়ে যায়, যাকে এখন আমরা ডেড-সি বলি ।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



