ফুল দিয়ো না মরার পরে, করোনা কেও শোক মিছিল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
-ব্লগার সংগ্রামী মানুষ-
আমাদের দেশের তথা বিশ্বের সর্বস্তরে দেখা যায় শবদেহে ফুলের ছড়া ছড়ি, শবদেহের উপরে দামী বাহারী কাপড় আর দীর্ঘ লম্বা শোক মিছিল সহ গিলিসারিন কান্না। মিডিয়াতে এই কৃত্তিম শোক আর গিলিসারিন কান্না দেখে মাঝে মাঝে চোখে জলও আসে কখনও বা মৃদু হাসিতে ঠোট বেঁকে যায়। মরার পর তাকে নিয়ে গড়ে ওঠে সংঘ, জীবন লিখে কেও কেও কামাতে চান দু-পয়সাও, সমাবেশে জ্বালাময়ী ভাষণ দিতে দেখা যায় এমনও লোককে যার চরণ দরশনও ঘটেনাই জীবনে বেঁচে থাকতে। হয়ে যায় সবাই সুভাকাঙ্খী, ছিলেন নাকি আপন জন। মোট কথা মৃতকে পুঁজি করে যে যেমন পারে নিজের পরিচিত থেকে শুরু করে নেমে পরেন ধান্দায়। কিন্তু বেঁচে থাকতে হয়তো সেই ব্যক্তিটিই করে গেছেন সবার কাছে বাঁচার করুন আকুতি। জীবনের সব লাজ লজ্জা ভুলে হাত বাড়িয়ে ছিলেন সাহায্যের যে সাহায্যে মিলেছিল অনেক দোয়া, অনেক বুলি, সমবেদনা, কিন্তু আর্থিক কোন কিছুই মেলে না আমাদে সমাজে। আবস্থা আজি আমাদের সমাজের এমন যে, -তোমার জন্য জীবন আর অর্থ ছাড়া সব করতে পারি।- জীবন আর অর্থ ছাড়া থাকল কি আর বাঁকি? থাকে অনেক কিছুই সেটি হল বুলি। তোমার জন্য বুলি দিতে পারি, পারি জ্বাময়ী ভাষণ দিতে দু'হাত তুলে আর্শিবাদ করতে।
আমাদের ডিজিটাল মিয়িয়া ব্লগ?? এখানেও হয়তো শোকবার্তা স্টিকি হয়ে থাকবে ৫/৭দিন কিন্তু বেঁচে থাকতে স্টিকি হয়না তিন দিনও। জানি না কোন বেড়া জালে আমাদের সমাজ, কোন পথে আমাদের সভ্যতা? কিইংবা আমাদের রং?
একজন সংগ্রামী মানুষ যিনি বেশ কদিন ধরে সাহায্যের আবেদন করে চলেছে কিন্তু বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয় তিনি সাহায্য হিসেবে পেয়েছেন মাত্র ৫শত টাকা। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যাদের চায়ের টেবিলে চলে যায় ৫শত টাকা। তার জন্য আমাদের হৃদয় উথলে ওঠে ভালবাসায় কিন্তু করতে পারি না কোন আর্থিক সাহায্য।
যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি আর্থিক ভাবে বা হসপিটালিটি ভাবে সহযোগিতা করতে চান প্লিজ এগিয়ে আসুন। তার ছোট্ট দুটি বাচ্চার কথা ভেবে, সমাজের কথা ভেবে প্লিজ এগিয়ে আসুন। অনেকে ১০০/২০০টাকা লজ্জায় দিতে চান না। কিন্তু সবার প্রতি অনুরোধ আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যেটুকু পারবেন করবেন। এতে লজ্জার কিছু নাই। তাই আসুন আমরা এগিয়ে আসি।
পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠাতে চাইলে..........
নামঃ শহীদুল ইসলাম খান
মোবাইলঃ ০১৭১২৫৯০৯২৩
পোষ্ট কোডঃ ১৬১০
জেলাঃ নরসিংদী
বা
উনার স্ত্রীর ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে।
নামঃ আয়েশা আক্তার
একাউন্ট নম্বরঃ ০১৭১২৫৯০৯২৩৪
ডাচ বাংলা ব্যাংকের যেকোন ব্রান্চ বা মোবাইল ব্যাংকিং বুথ থেকে এই নম্বরে টাকা পাঠানো যাবে।
অথবা
এই একাউন্টে যা সরাসরি উনার কাছে চলে যাবে।
নামঃ Mahmudul Hasan Ferdous
একাউন্টঃ 123.101.85339
ব্যাংকঃ Dutch Bangla Bank Ltd.
সুইফট কোডঃ DBBL BD DH
বিষয়টি আপনাদের ফেসবুকে শেয়ার করে অনন্ত ২জনার সাথে শেয়ার করতে বলবেন।
পূর্বের লেখা: Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন