যতদিনে 'দুধভাত' খেলার স্তর পেড়িয়ে এসেছি, ততদিনে বুঝে ফেলেছি আমি খেলতে পারি না ওমন মেধাবীদের মতন। ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিয়েছিলাম নিজেকে শামুকের খোলসের মধ্যে। আমার বন্ধুছিলো বারান্দায় রাখা গাছগুলো আর ওদের গায়ে হেটে চলা পিপড়েরা।
কখনো ছবি আঁকতাম কিছু। সবার ব্যবহারের পর তলানিতে পড়ে থাকা রংগুলো ছিলো আমার উপকরণ। জীবনে একবাঙ্ রং পেয়েছি আরও অনেকপর, সেকথা না হয় পড়েই বলি। ইচ্ছেমত একে যেতাম ইচ্ছে খাতায়। কিন্তু তৃষ্ণা মিটতো না। আমি জানতাম আমি মেধাবী না, আমি ভাবতাম আমার ছবিগুলো সুন্দর না, সবার কাছে শুনতামও তেমন। আমি বুঝতাম, পারি না, আমি সুন্দর ছবি আঁকতেও পারিনা।
প্রথম প্রথম লেখাপড়া খুব ভালো পারতাম। অংক করে ফেলতাম এক নিমিষেই। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার প্রয়োজনীয়তা যখন কমে আসছিলো মেধাবীদের ভিড়ে, যখন বুঝতে লাগলাম আমি অতটা নই, ভিত্তি তৈরীর সময়গুলোত যখন আমি অন্যকোথাও অবহেলায়, আর আমার গড়ে ওঠা হয়নি। ভিত্তিহীন দেয়ালে আমি যতই ইট গাঁথার চেষ্টা করেছি, ভেঙে পরেছে দেয়াল নিয়ম মতই। এবং যখন আমার পাশ দিয়ে ছুটে গেছে মেধাবীরা, আমি শ্রদ্ধার চোখে তাকিয়ে থাকতাম, আমি বিনয়ের সাথে শ্রদ্ধা করতে শিখেছিলাম। আমি জানতাম, ওরা তো মেধাবী, ওরা তো পারবেই। আমি মেধাহীন একটা মানুষ শুধু চেষ্টা করতাম সকালে উঠে স্কুলে যাবার।
আমি পারি না, এখনও কিছুই পারিনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০০৭ ভোর ৪:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




