somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালো থাকুক বাংলাদেশ, বেঁচে থাকুক জোহারা॥

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭২ সালে ২৩ ই এপ্রিল মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী তাঁর "সাপ্তাহিক হক কথা"-এ বলেছিল,"আজ দেখতে পাচ্ছি স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করছে লুটপাট সমিতি।" কিন্তু দূঃখের বিষয় হলেও এটাই সত্যি যে আজ স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও এই বাংলাদেশের এই একই চিত্রই আমরা দেখছি। এর দায় কার? দায় একমাত্র দূর্নীতি। দূর্নীতিই এই বাংলাদেশের একমাত্র শত্রু, এই উপলব্ধি বোধ যতদিন জনগনের মধ্যে জাগ্রত হবে না, যতদিন জনগন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে না ততদিন এদেশের কোন উন্নয়ন বা অগ্রগতি সম্ভবপর হবে না। রাজনীতি বিদরা এর জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী। কারন তারা ইচ্ছা করলে এক সপ্তাহে এদেশে সমস্ত দূর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে এবং এমন কি যদি রাজনীতিবিদরা সৎ ও স্বজন প্রীতির উর্ধ্বে উঠে চেষ্টা করতো তবে এই নব্য বাকশালের পতনও একমাসের মধ্যে সম্ভব। এর দায় আমরা কখনই এড়াতে পারি না। কারন এই রাজনীতিবিদদের পদ বা রাজনীতিতে অবস্থান সৃষ্টিতে আমরাই প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে তাদের সুযোগ করে দিছি। যদি কেন্দ্র নমিনেশন দিলেও আপনি আমি একজন অসৎ রাজনীতিবিদের পক্ষে না থাকি বা ভোট না দিই তবে সে কি কখনও আজকের লুটপাট সমিতিতে এই দেশকে নিয়ে যেতে পারতো? অনেকে হয়তো প্রশ্ন করবেন ভাই এটা কি বললেন, এক সপ্তাহে সব দূর্নীতি বন্ধ হবে কি করে? ভাই শহীদ জিয়া ৭ ই নভেম্বরের পর এক সপ্তাহেই সব ঠিক করেছে। অথচ তখন মুজিব আমলের সেই দূর্নীতি পরায়ন প্রশাসনই ছিল। এবার বলবেন সবাই শহীদ জিয়া বা মাওলানা ভাসানী না? হ্যাঁ এ কথা সত্যি আর তাই তাঁরা আমাদের আদর্শ আর আদর্শ তো অনুসরনেরই জন্য নতুবা আদর্শের দরকার কি? আর শহীদ জিয়ার আদর্শের অনুসারী না হতে পারলে তার আদর্শের দলের নেতা হতে আপনাদের লজ্জা করে না। এই যে আজ চুতিয়ার মতো লোকগুলি সমাজের মানুষের সাথে প্রতারনা করে অহংকার করছে এর জন্য দায়ী কে? এই যে পুলিশী রাষ্ট্রে আজ জনগন অতিষ্ট তার জন্য দায়ী কে? আমি জানি আওয়মী লীগের রাজনীতিই হলো লুটপাটের রাজনীতি কিন্তু শহীদ জিয়া মাত্র সাড়ে চার বছরে আওয়মী লীগের ৫০ বছরের রাজনীতির শিকল থেকে বের হওয়ার রাস্থা এমন ভাবে জনগনকে উপভোগ করেছে যে আজও বাংলার মানুষ শতকরা ৯৫ ভাগ লোক অকপটে স্বীকার করবে শহীদ জিয়া সৎ ছিল ও এই জাতিকে তখন আওয়মী জাসদের কালো। থাবা থেকে মুক্তি করতে সক্ষম হয়েছিল তাই উনি মারা যাবার ৯ বছর পরও জনঘন সুযোগ পেয়েছে তো ৯১ এ দেখিয়ে দিছে তোমাদের নেতা কে আমাদের চিনার দরকার নাই ধানের শীষ আর শহীদ জিয়া এখানেই জনতার মুক্তি। অথচ আজ দেখি শহীদ জিয়া দল থাকলেও চোরেদের বড় গলা খুব শুনা যায়। ডাকাত দলের সর্দার বরাবরই ডাকাতদের নিকট সৎ, কারন সে ডাকাতীতে প্রাপ্ত সম্পদ সমভাবে দলের সকল ডাকাতদের মধ্যে যার যার প্রাপ্য অনুযায়ী বন্টক যথাযথভাবেই করে। কিন্তু যখনই জনসন্মুখে তা প্রকাশ পায় তখন ডাকাত দলের হয় বিপদ সর্দার যেদিকে যাক ধরা খায় তখন দলের প্রভাবশালী ডাকাতরা তাকে সরিয়ে অন্যজনকে নিয়োগ দেয়। তখন ঐ ডাকাতদলের প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠাতারা ডাকাত সর্দারের বিদায়ে চোখের জল ফেলায় আর ডাকাত সর্দার যাওয়ার আগে একটা শান্তিনিকেতনের মতো চেয়ারে বসে কিছু বানী বর্ষন করেন আর উপস্থিত সাধার ডাকাত দলের কর্মী বা সোর্সরা তা মনোজগ দিয়ে শুনে এবং সকল ডাকাত সর্দার তার দল থেকে বিদায়ের আগে বলে আমি বীরের মতো যাচ্ছি পরিবেশ প্রতিকুল না থাকলে আমি শেষদিন পর্যন্ত মাথা উচু করেই ডাকাতি করতাম কিন্তু ডাকাত দলটি যেহেতু আমার সন্তানের মতো তাই ডাকাতি অব্যহত থাকুক এই জন্যই আমি আজ মাথা উচু করে বীরের মতো চলে যাচ্ছি। আর এই ডাকাত সর্দারকে যাদের কারনে সমাজ চিনে ফেলে তাকে ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্য ভালো চোখে দেখে না বলেই জোহারা গুম বা নিখোঁজ হয়। ভালো থাকুক বাংলাদেশ, বেঁচে থাকুক জোহারা

Fasiul Alam
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×