ছবিতে মুচকি হাসি দেওয়া যে ছেলেটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তার জন্ম ১৬ বছর আগে। ১৬ বছরে কয়মাস হয়? ১৯২ মাস! অনেক সময়। এই বয়সেই সে হয়ে ওঠেছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনী, এলাকার ত্রাস! তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে ঝিনাইদহ, তার কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে ৫৮০০০ হাজার বর্গমাইল জুড়ে!
.
অবশেষে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো বীরযোদ্ধা পুলিশবাহিনী। ধরতে সক্ষম হলো, এই ভয়ানক গডফাদারকে। এবং গুলি করে লাশও ফেলে গিয়েছে ফসলের মাঠে! অবশেষে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। ঝিনাইদহের মানুষ আজ বুকভরে নি:শ্বাস নিতে পারছে! ঝিনাইদহের মানুষের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ!
.
অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? ভাবছেন, ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারের ছেলে এরকম হতে পারে? হ্যাঁ, হতে পারে না, সত্য। কিন্তু আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা কি কোনো ভুল কাজ করতে পারে? কক্ষনো না!
.
তার নাম সোহান। ১২ দিন আগে পুলিশ তাকে তুলে নেয়, স্থানীয় দোকান থেকে। পুলিশ তাকে তুলে নেওয়ার খবর অস্বীকার করতে থাকে! মা কান্নাকাটি করে,সংবাদ সম্মেলন করেন। নাহ, ফলাফল শূন্য! গতকাল তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়!
.
শামীম ওসমানের চেয়েও বড় অপরাধ করেছে সোহান। শিবিরকর্মী!
জানি, বিচার হবে না।কে বিচার করবে? বিচারকই যে খুনী!
...কিন্তু সুস্থ বিবেকবান মানুষদের কাছ থেকে অন্তত প্রতিবাদ আশা করেছিলাম।
যারা এই হত্যা নিয়ে চুপ আছে, এমনকি মনে মনেও ঘৃণা জানায়নি, আমরা তাদেরকে অভিশাপ দিচ্ছি না, সত্যিই অভিশাপ দিচ্ছি না। দোয়া করছি, আপনারা ভালো থাকুন। আপনাদের ছেলেরা ভাইয়েরা ভালো থাকুক।
তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আপনি যেই দলই করুন না কেন, যতই "নিরপেক্ষ" হোন না কেন, একদিন এ বিপদ আপনার ঘরেও আসবে!
.
স্থানীয় এমপির কাছে গিয়েছিলো, সোহানের এলাকার তিন শতাধিক মানুষ। তারা কথা দিয়েছিলো, ভবিষ্যতে তারা সবাই আওয়ামিলিগ করবে, তবুও সোহানকে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আহ, আকুতি!
এমপি জবাব দিয়েছেন, আওয়ামিলিগ করার লোকের অভাব নাই!
কাউসার আলম