[বর্ণিত বিষয়ে আগে খন্ডিত পোস্ট দিয়েছিলাম, অন্য ব্লগের পোস্টের কমেন্টের ভিত্তিতে. লেখাটি অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল বিধায় পুরোটা আবার ঘষামাজা করলাম. লেখাটা বড় হয়ে গেল, ৪-পোস্টে ভাগ করে দিলাম]
ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, ভারত, আমাদের জাতিমানস এবং বার্গেইনিং টুলস-১
এসব কেন করতে পারছে?
কারণ, আমরা নিজেরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র ও ল্যাঙ মারামারিতে ব্যস্ত বলে। আমাদের পরস্পরিক ষড়যন্ত্র ও ল্যাঙ মারামারি এই পর্যায়ের যে, জেনেশুনেই `ভারতীয়/অন্য যে কোন ষড়যন্ত্রে সামিল হয়ে যাই শুধু নিজের ব্যক্তি/গোষ্ঠিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য। আমাদের দেশপ্রেম ষড়যন্ত্র প্রবণতার উর্ধ্বে উঠলে ভারতের ষড়যন্ত্র এমন সহজে কার্যকর হত না।
মেগাসিরিয়াল, ডাইল, গাঞ্জা, হেরোইন সেবন করে আমাদের যুবসমাজ অধঃপাতে যাচ্ছে – এসবতো জোর করে দিচ্ছে না, মাগনাও দিচ্ছে না। ভারতীয় মেগাসিরিয়াল না দেখলে যে আমাদের পরিবারের ঘুম হয় না। হিন্দি গান না শুনলে যে আমাদের বিনোদন হয় না। আমদের প্রিয় তারকা শাহরুখ, কারিনা। পছন্দের শাড়ি, পান্জাবি, এমনকি টুথপেস্টও ইন্ডিয়ার। পুরো জাতিকেই যেন ভারত সাবভার্ট করে রেখেছে!
উল্টা করে ভাবলে, ভারতের কেউ আমাদের দ্বারা সাবভার্ট হচ্ছে না কেন? আমাদের চ্যানেল, আমাদের ডাইল, গাঞ্জা, হেরোইন ভারতে পাচার হচ্ছে না কেন? ক্ষতিকর কিছু পাচারতো দূরের কথা, সাধারণ কয়টা পণ্য আমরা ভারতে রফতানি করতে পারি? যে গারমেন্টস আমাদের বানানা-রিপাবলিকের খ্যাতি বা কুখ্যাতি এনে দিয়েছে, সেই গারমেন্টসও আমরা ভারতে রফতানি করতে পারি না। আমরা আমদানিতে যত পটু, কারিগরি দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনায় ততই আনাড়ি। আমাদের চিংড়ি শিল্প এখনও ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ছাড়া অচল, চার দশক গাড়ি আমদানি করে আমাদের নাভানা-আফতাব এখন আচার বানানোর ব্যবসায় নেমেছে, এই দেশপ্রেম! এই দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা!
ষড়যন্ত্র জুজুর রূপ ও বাস্তবতা (আগামি পোস্টে)