আবার সীমান্তে বাংলাদেশী খুন করেছে বিএসএফ (এই লিন্ক ). সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ মেরে বিএসএফ চাদমারির প্র্যাকটিস সারছে প্রতিদিন, আমরা প্রতিবাদতো দূরে, মিউমিউ করেও অনুযোগ করতে পারছি না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের বেস্ট কোর্স অব একশন কী হতে পারে ও কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে - এ বিষয়ে পাঠকদের মতামত কামনা করছি. আপনাদের যুক্তিপূর্ণ মতামত পোস্টে যোগ করে দেয়া হবে.
১. আমাদের বিজিবি পর্যায়ে আক্রমণাত্বক ভঙ্গি ও প্রতিবাদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে.
২. মাঝে মাঝে সংসদে নিন্দা বিল পাশ করতে হবে.
৩. জাতিসংঘে জানানো। আন্তর্জাতিকভাবে কুটনৈতিক ও অকুটনৈতিক লেভেলে সরকারি ও বেসরকারি (মূলত এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা) পর্যায়ে এর জন্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাতে হবে. এখানে সরকার ও দেশবাসীর পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে.
৪. রাজনৈতিক, অর্ধ-রাজনৈতিক প্রতিবাদ করা (ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ইত্যাদি). যেখানে হত্যাকান্ড ঘটে সেই সব এলাকাগুলোতেএই গুলিতে মারার বিরুদ্ধে বেশি বেশি জনসমাবেশ করা।
৫. এই হত্যাযজ্ঞ গণমাধ্যমে আরও বেশি বেশি প্রচার করা.
৬. ব্লগে প্রতিবাদ এ জনমত গঠণ. ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্লগে দেশবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ.
৭. সীমান্ত এলাকায় শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে চোরাচালানি, বিশেষ করে গরু পাচারে বাংলাদেশিদের চোরাচালানি থেকে বিরত রাখতে হবে. এখানে সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে.
৮. সতর্কতা.
ক. এই ক্যাম্পেইন রাজনৈতিকভাবে ন্যূনতম ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে শুরু করা দেশে সংঘাত ডেকে আনতে পারে.
খ. শুধুমাত্র সত্য তথ্য দিতে হবে, অতিরঞ্জন বুমেরাং হতে পারে.
গ. ঘটনার যথাসম্ভব প্রমাণ রাখতে হবে, ব্লগে ছড়িয়ে দিতে হবে.
ঘ. গালাগাল ও যুক্তিহীন (এবং কুযুক্তিপূর্ণ) বক্তব্য আত্মঘাতী হবে.
ঙ. ভারত এ বিষয়ে বা অন্য কোন ইস্যু উত্থাপনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করবে - সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে.
চ. নিজেদের মাঝে তথ্য বিভ্রান্তি ও বিভেদ ভারত এক্সপ্লয়েট করবে - এ ধরণের পরিস্থিতি যতাসম্ভব পরিহার করতে হবে.