somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএসএফ-এর হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন বিষয়ে আমার কিছু ভাবনা ও প্রস্তাবনা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সংবাদ: আজ ভারত ও বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। এই আলোচনাকে স্বগত জানিয়ে একটি ফলপ্রসু আলোচনার প্রত্যাশা উভয় দেশের মানুষ করতে পারে।

ফলপ্রসূ হওয়ার কোন সুযোগ নাই, এটা আইওয়াশ, স্রেফ আইওয়াস! চল্লিশ বছর ধরে ফলপ্রসূ আলোচনা হল, তারপরেও ফেলানিদের লাশ কাটাতারে ঝুলে, আশাবাদঅলারা কি এই চল্লিশ বছর চোখকান বন্ধ করে ছিল!!

* ফেলানি হত্যায় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা হোক.
* ভারতের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ক্ষোভ জানানো হোক


অবশেষে দশ দিন পরে অবস্থা বেগতিক দেখে নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ জানানো হল. এই দেশে একটা বিশ্বকাপ হবে, দুনিয়ার সাংবাদিক আসবে আর সেখানে পোলাপান ফেলানিরে নিয়া প্লাকার্ড উঠাবে, মানববন্ধন করবে, বিএসএফ-এর কুকীর্তি মাঠে ময়দানে জানাজানি হবে, তাহলে বন্ধুত্ব কি আর থাকবে! খুবই বেকায়দা অবস্থা!

এখন দশ দিন হোক আর পনের দিন হোক আপোষে একটা প্রতিবাদ পাঠিয়ে আন্দোলন চাপা দেয়া যাবে, পরিবেশ নষ্টের দায়ে পুলিশের ঠেঙ্গানো আর বুদ্ধিজীবির টকশো-কলাম দিয়ে আন্দোলন নিষিদ্ধ করা যাবে. দারুণ বুদ্ধি!

হ্যাঁ, এটাই হবে... কিন্তু সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি.

১. এটা হোক শুধু সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, একান্তই সিঙ্গেল-অবজেকটিভ আন্দোলন.

২. এটা হোক একান্ত সাধারণদের প্রতিবাদ, কেউ যেন ভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে ইনফিলট্রেট করতে না পারে.

৩. কথিত ব্রান্ডেড বুদ্ধিজীবিদের পরিহার করতে হবে, না হলে তারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টায় আন্দোলনের বারটা বাজাবে. তারা ফেলানি বিষয়ে ভাবিত হলে কলাম-টকশোতে আওয়াজ দিতেন, দেননি যখন তারা তাদের মত থাকুন, আন্দোলন হোক আমজনতার, স্রেফ সাধারণের.

৪. উগ্রতা দিয়ে কেউ যেন আন্দোলনের আবেদন বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারী প্রয়োজন. আমাদের উদ্দেশ্য দৃষ্টি আকর্ষণ, আবেদনের জায়গাটা ওখানেই. ভাঙ্গচুর, লাঠিয়াল বাহিনী গঠণ – এসব স্যাবোটাজ হবে.

৫. বিশ্বকাপের সময় সরকারবিরোধি কোন স্লোগান দেয়া বা কার্যক্রম করা অনুচিত হবে, গৃহবিবাদ বাইরের লোকদের জানানো কোন সুবিবেচনা ও সুরুচির বিষয় না.

৬. সবাই ঢাকার মানববন্ধনে নানান কারণে যোগ দিতে পারবে না, তাদের জন্য ভার্চুয়াল মানববন্ধন একাত্মতা প্রকাশের সুযোগ করে দেবে. আয়োজকরা কেউ মানববন্ধনকালীন সময়ে একটা পোস্ট দেবেন, যারা সশরীরে আসতে পারছে না তারা কমেন্ট করে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে. এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কেউ মডারেটরদের সাথে যোগাযোগ করে ঐ পোস্টটাকে স্টিকি করা খুব সুবিধার হবে.

যারা মানববন্ধন করছেন, যারা বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় বিভিন্ন পোস্টার-প্লাকার্ড বহন করবেন, তাদের জন্য কিছু ইংরেজি স্লোগান -

* BSF, Stop Genocide.

* BSF - Human or Hyena at Border?

* BSF - Be Ashamed of Killing Unarmed Civilians.

* BSF killing ONE Bangladeshi in every FOUR days
- Shame of Neighborhood!

* BSF Brutality in 2010 -
74 Bangladeshis were killed,
72 injured and
43 were abducted.

* Indian Friendship Samples in 2010 -
74 Bangladeshis were killed,
72 injured and
43 were abducted by BSF

* BSF Killing Random at Border
- India, Down with Nehru Doctrine!
(Nehru Doctrine এর স্থলে Kautilya Doctrine বা Chanakya Doctrineও ব্যবহার করা যেতে পারে.)

* Felani’s killing – Our Good Neighborhood Example!
India – Be Ashamed
India – Be Human, Not Hanuman!

* Protest India’s Random Killing at Border
Renounce Indian products.

* United Nations, Don’t Connive at
BSF killing Humanity at Border!

* Humanitarian Organizations, Don’t Connive at
BSF killing Humanity Random at Border!

* Felani Hanging on the Barbed Wire!
Another Routine Act of Trigger-Happy BSF …
Hyena BSF Unmoved
Hanuman BSF Apathetic

Shame of Democratic India!
United Nations, Don’t Connive!!
------- --------
কিছুদিন আগে এই পোস্টটি দিয়েছিলাম, ঐ পোস্টের স্পিরিটের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিসীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা - বিহীত কী কী হতে পারেঃ মতামত দিন

সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ মেরে বিএসএফ চাদমারির প্র্যাকটিস সারছে প্রতিদিন, আমরা প্রতিবাদতো দূরে, মিউমিউ করেও অনুযোগ করতে পারছি না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমাদের বেস্ট কোর্স অব একশন কী হতে পারে ও কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে - এ বিষয়ে পাঠকদের মতামত কামনা করছি. আপনাদের যুক্তিপূর্ণ মতামত পোস্টে যোগ করে দেয়া হবে.

১. আমাদের বিজিবি পর্যায়ে আক্রমণাত্বক ভঙ্গি ও প্রতিবাদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে.

২. মাঝে মাঝে সংসদে নিন্দা বিল পাশ করতে হবে.

৩. জাতিসংঘে জানানো। আন্তর্জাতিকভাবে কুটনৈতিক ও অকুটনৈতিক লেভেলে সরকারি ও বেসরকারি (মূলত এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা) পর্যায়ে এর জন্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাতে হবে. এখানে সরকার ও দেশবাসীর পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে.

৪. রাজনৈতিক, অর্ধ-রাজনৈতিক প্রতিবাদ করা (ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ইত্যাদি). যেখানে হত্যাকান্ড ঘটে সেই সব এলাকাগুলোতেএই গুলিতে মারার বিরুদ্ধে বেশি বেশি জনসমাবেশ করা।

৫. এই হত্যাযজ্ঞ গণমাধ্যমে আরও বেশি বেশি প্রচার করা.

৬. ব্লগে প্রতিবাদ এ জনমত গঠণ. ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্লগে দেশবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ.

৭. মানববন্ধন (নতুন সংযুক্ত).

৮. সীমান্ত এলাকায় শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান বাড়িয়ে চোরাচালানি, বিশেষ করে গরু পাচারে বাংলাদেশিদের চোরাচালানি থেকে বিরত রাখতে হবে. এখানে সরকারের পাশাপাশি এনজিওদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে.

৯. সতর্কতা.

ক. এই ক্যাম্পেইন রাজনৈতিকভাবে ন্যূনতম ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে শুরু করা দেশে সংঘাত ডেকে আনতে পারে.

খ. শুধুমাত্র সত্য তথ্য দিতে হবে, অতিরঞ্জন বুমেরাং হতে পারে.

গ. ঘটনার যথাসম্ভব প্রমাণ রাখতে হবে, ব্লগে ছড়িয়ে দিতে হবে.

ঘ. গালাগাল ও যুক্তিহীন (এবং কুযুক্তিপূর্ণ) বক্তব্য আত্মঘাতী হবে.

ঙ. ভারত এ বিষয়ে বা অন্য কোন ইস্যু উত্থাপনের মাধ্যমে আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করবে - সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে.

চ. নিজেদের মাঝে তথ্য বিভ্রান্তি ও বিভেদ ভারত এক্সপ্লয়েট করবে - এ ধরণের পরিস্থিতি যতাসম্ভব পরিহার করতে হবে.
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×