পোস্ট দিচ্ছি ভয়ে ভয়ে, বিরুদ্ধ বাতাসে বলাটা বেশিরভাগ সুখকর হয় না. কিন্তু সাহস পাচ্ছি +/- দিয়ে ভাসিয়ে দেয়ার দিন নাই বলে. রিস্ক নিলাম...
হ্যাঁ, এখনই কিনুন, এটাই শ্রেষ্ঠ সময়. শিরোনামের অলস টাকা-র বিষয়টি মনে রাখুন, ঋন/সুদ দিতে হবে এমন টাকা নিয়ে কখনও শেয়ার মার্কেটে আসবেন না. বর্তমান বাজার পরিস্থিতি খারাপ যাদের ইতোমধ্যে শেয়ার কেনা আছে তাদের, নতুন ক্রেতাদের জন্য সময়টা পোয়াবারর. আতন্কিত হবেন না, তবে বুঝেশুনে নামুন, একেবারে আনাড়ি হলে, সত্ ও সঠিক পরামর্শদাতা না থাকলে না কেনাই ভাল, সময় নিন. যারা অনেকদিন বাজারে আছেন, তাদের জন্যও টাকা থাকলে লস কমানোর সুযোগ এটা.
প্রথমত, শেয়ারমার্কেট বুঝে কিনুন. না বুঝলে বা কম বুঝলে ব্লগার ওরাকলের শেয়ার সংক্রান্ত পোস্টগুলি পড়ুন.
দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র অন্যের কথা না শুনে নিজে থেকে ভাল করে বুঝে কিনুন. অন্যের উপর ভর করে কিনতে হলে অমুক অত বেশি টাকা খাটিয়েছে বা অমুক অমুক হাউজের মাধ্যমে নিয়মিত গ্যাম্বিলিঙের তথ্য পায় বা ঐ শেয়ার বাড়বে বলে নিশ্চিত আওয়াজ আছে - এসব থেকে শতহাত দূরে থাকুন, এরা বরাবরই জেড ক্যাটাগরির বা ফালতু শেয়ারের নাম নেয়! তারা আওয়াজ আছে ছাড়া অন্য কোন যুক্তি দেখাতে পারে না. যারা আপনাকে মৌলভিত্তির শেয়ারের তথ্য দেবে, হিসাব করে দেখিয়ে বলবে যে, এই কোম্পানি গত কয় বছর এই এই হারে আয় করেছে, তাদের পিই, ডিভিডেন্ট রেশিও ভাল, এখন পর্যন্ত চলতি বছরের কোয়াটার্লি ইপিএস-এর ভিত্তিতে হিসাব করে দেখিয়ে বলবে সামনে এত পরিমাণ ডিভিডেন্ট দেবে বলে আশা করা যায়, এই সেক্টরে তাদের ডিভিডেন্টই সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ের - হ্যা, এমন বিশেষজ্ঞের মতামত নিন ও এখনই কিনুন. বাজার পরিস্থিতির সুবিধার কথা না বললে বলতাম, আগে দুই মাস ডামি কেনাবেচা করে আইডিয়া পোক্ত করুন. রেকর্ড দরপতনের কারণে কেনায় কিছু ভুল করলেও ক্ষতির আশন্কা কম.
তৃতীয়ত, দৈনন্দিন কেনাবেচার শেয়ার কিনবেন না (এই পরামর্শ বর্তমান বাজার পরিস্থতিতে আবশ্য মান্য, বাজার স্বাভাবিক হলে পোর্টফোলিওতে দৈনন্দিন কেনাবেচার কিছু শেয়ার থাকতে পারে), ভাল ডিভিডেন্ট দেবে, পিই ভাল, ইপিএস ভাল - এমন শেয়ার কিনবেন. কারণ, বাজারের পূণরুত্থান দেরি হলেও কোম্পানির প্রফিটতো থেমে থাকবে না, আপনার ডিভিডেন্ট পাবেনই. তাছাড়া, এই ধাক্কায় গাড়ল ক্রেতাদের আশা করি কিছু চৈতন্য হবে ও ভাল ডিভিডেন্টঅলা শেয়ারের প্রতি আকর্ষণ, চাহিদা বাড়বে. এমন না যে, আপনাকে বোনাস খেতেই হবে, বরং রেকর্ড তারিখের ৪-৫ দিন আগে ভাল দামে (সাম্ভব্য বোনাসের কাছাকাছি এলে) বেচে দিয়ে প্রয়োজনে রেকর্ড তারিখের পর দাম পড়ে গেলে আবার কিনুন.
চতুর্থত, ফেব্রুয়ারির শেষেই মার্কেট ঘুরে দাড়াবে, দাড়াতেই হবে. মার্চ-এপ্রিল হল ডিভিডেন্ট ঘোষনার মৌসুম, যারা ডিভিডেন্ট বোঝে না, তারাও বোনাসের কথা শুনলে পাগলের মত শেয়ার কেনে, পাগলামির মাত্রা কমলেও পাগল কমবে না.
সবশেষে, মন্তব্যাঘাতের জন্য পিঠ পেতে রাখলাম.
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৩