দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই আনন্দের পাশাপাশি কিছু উদ্বেগও রয়ে গেছে। প্রশাসনের নানা বাধা ও বিলম্বিত সিদ্ধান্তের পর অবশেষে পর্যটকরা স্বপ্নের দ্বীপে পৌঁছাতে পারবেন। তবে পরিবেশ রক্ষার নামে আরোপিত নানা বিধিনিষেধ পর্যটকদের জন্য কিছুটা বিরক্তিকর হতে পারে।
আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর:
সেন্টমার্টিন যাত্রা বন্ধের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর অবশেষে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আসতে এত দেরি কেন? প্রশাসনের এই ধীরগতির কারণে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষার নামে নতুন নিয়ম:
সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকার নানা নিয়ম কানুন আরোপ করেছে। দ্বীপে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল দ্বীপে নজরদারি করবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
পর্যটকদের জন্য সতর্কতা:
সেন্টমার্টিন যাত্রার আগে পর্যটকদের উচিত এই নতুন নিয়মগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা। দ্বীপে যাওয়ার সময় নিষিদ্ধ পণ্য বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পর্যটন শিল্পের ভবিষ্যৎ:
এই নতুন নিয়মগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলবে। তবে পরিবেশ রক্ষা করতে গিয়ে যাতে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
আমাদের দায়িত্ব:
সকল পর্যটকের উচিত সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সহযোগিতা করা। দ্বীপের পরিবেশ দূষিত না করে সচেতন পর্যটক হিসেবে আচরণ করতে হবে।
সমাপ্তি:
সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু হলেও এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। পরিবেশ রক্ষা এবং পর্যটন শিল্পকে সুস্থ রাখতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



