আরেকটি নিরীহ প্রাণের বলিদান
আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের সীমান্তে নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা এলাকাবাসীর মনে শোকের ছায়া ফেলেছে। এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দখলদার মনোভাব এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননা কতটা গভীর।
ঘটনার বিবরণ
শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার তেতুঁলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ নিয়ে যায়।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
একটি দীর্ঘ ইতিহাস
ভারতীয় বিএসএফের এই ধরনের বর্বরতা কোনো নতুন ঘটনা নয়। বারবারই তারা বাংলাদেশের সীমান্তে অবাধে গুলি চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে আসছে। এভাবেই তারা দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের পরিবেশকে নষ্ট করে চলেছে।
আমাদের দাবি
ভারতীয় সরকারকে এই নৃশংস ঘটনার জন্য দায়ী করে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারকে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার
এই ঘটনা আমাদের সকলকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, আমাদের সীমান্ত এখনও নিরাপদ নয়। ভারতীয় বিএসএফের এই ধরনের বর্বরতার বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং শান্তিপূর্ণ একটি সীমান্তের জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২১