গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি কঙ্কাল রয়েছে—যারা একদিন সুরের জাদুতে মরেও মুক্তি পায়নি, বরং তাদের আত্মা আজও সেই সুরের দাসত্বে বন্দি। ভোরের আগে, যখন কুয়াশার আচ্ছাদনে গির্জা আচ্ছন্ন, তখন গির্জার চূড়ায় অদ্ভুত সুর বাজতে শুরু করে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, যে কেউ এই সুর শুনবে, তার ভাগ্য চিরকাল পরিবর্তিত হবে।
ডেভিড আজ সেই গির্জায় ফিরে এসেছে। তার হাতে গিটার—একটি পবিত্র ও অভিশপ্ত যন্ত্র, যার সুরের প্রতিটি লহরী মানবতাকে নতুন মোড় দেবে। তবে সুর শোনানো শুধুমাত্র সত্য উদঘাটনই নয়, এর মধ্যে বন্দি করা থাকে এক অদৃশ্য শক্তি, যা মাঝে মাঝে ভয়াবহ পরিণতি আনে।
গিটারটি হাতে তুলে নেয়ার পর, সে অনুভব করলো—এটা শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি একটি আত্মা, একটি অতীতের বন্ধন, যা সময়ের গহ্বরে হারিয়ে গেছে। গিটারের কাঠের ফ্রেমে খোদাই করা নোটেশনগুলোর মধ্যে রক্তের দাগ স্পষ্ট হতে শুরু করল, যেন সে সুর বাজালেই অতীত থেকে কোনো এক আত্মা মুক্তি পেতে শুরু করবে।
ডেভিড জানে, সে আর সাধারণ মানুষ নয়। সে একজন সুরধারী—ঈশ্বরের হাতে তৈরি একটি রহস্যময় অস্ত্র। সুর তার হাত থেকে বেরিয়ে আসবে, এবং যা পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছে, তা অবশেষে প্রকাশ পাবে। কিন্তু সুর শুধুমাত্র মুক্তি আনে না—এটি ধ্বংসও ঘটায়।
গিটার সুরে সারা শহর কাঁপবে—কিন্তু কাদের জন্য? মানুষ নাকি আত্মা? এখানে, গির্জার চুর্নিত দেয়ালের মাঝে, সত্যের পাশাপাশি অন্ধকারের শক্তিও ঘুরে বেড়ায়।
ঈশ্বরের ভুল ছায়া সিরিজ এর
দ্বিতীয় গল্পঃ শেষ সুর
শিঘ্রই আসছে.......
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩