"তুমি যদি বাতাসকে ভালোবাসো, তাকে বশ করো না—তার সুর বোঝো। কারণ বাতাস একবার থেমে গেলে, তার কণ্ঠ আর কখনো শোনা যায় না।"
“ঈশ্বরের ভুল ছায়া” সিরিজ পাঠককে একের পর এক ছায়ার ভেতর দিয়ে হাঁটায়, যেখানে প্রতিটি গল্প একেকটি মিথ-ভাঙা আয়না। এবার, সেই আয়না কুয়াশায় ঢাকা সিলেটের পাহাড়ে—এক গবেষণাগারে, যেখানে রুদ্র নামে এক নিঃসঙ্গ ব্যক্তি নিজের আবেগ নিয়ে পরীক্ষা করতে করতে আবিষ্কার করে ফেলে, তার অনুভূতিই প্রকৃতিকে বদলে দিতে পারে।
রুদ্রের গবেষণা কেবল একাডেমিক নয়—তা হয়ে ওঠে এক অভিশাপ।
যেদিন সে বিষণ্ণ হয়, বৃষ্টি নামে।
যেদিন রাগে ফেটে পড়ে, ঝড় শুরু হয়।
তবে শক্তি থাকলেই কি তা আশীর্বাদ?
মাধবী শুধু পাহাড়ি নারী নন—
তার ঠাকুরদার কাছ থেকে সে শিখেছে, কীভাবে গাছের পাতার কাঁপনে বোঝা যায় বৃষ্টির আগমন, বাতাসের সুরে ধরা পড়ে পাথরের অভিমান।
সে বুঝতে পারে, রুদ্রের হৃদয়ের অস্থিরতা প্রকৃতির বুকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
তবে সে দেখে আরও ভয়ংকর কিছু—রুদ্রের মধ্যে ভালোবাসার বদলে দখলের বাসনা জন্ম নিচ্ছে।
এ গল্পে প্রেম আছে, কিন্তু সেটি ফুল ফোটার মতো নয়—একটা পাহাড় ধসে পড়ার মতো ধ্বংসাত্মক।
রুদ্র যখন “প্রকৃতির ঋষি” হয়ে ওঠে, মাধবী তাকে বিদায় জানায়—কারণ প্রকৃতি তাকে ভালোবেসেছিল, কিন্তু এখন সে প্রতিশোধ নিতে চায়।
এই গল্পে আপনি দেখবেন—
প্রেম কীভাবে দম্ভে রূপ নেয়, শক্তি কীভাবে শাস্তিতে রূপান্তরিত হয়।
আর একজন মানুষ কিভাবে নিজের আত্মত্যাগ দিয়ে ফিরে পেতে চায় সেই একটিমাত্র অধিকার—শোনা।
গল্পের শেষটা নয়, অস্থিরতা থেকে মুক্তির একটি মুহূর্ত।
যেখানে রুদ্র বলে—"ক্ষমা চাই। আমি প্রকৃতিকে ভালোবাসিনি, কেবল শাসন করতে চেয়েছিলাম।"
প্রকৃতি তখন বোঝায়—ক্ষমা সব পায় না, কিন্তু কিছু কণ্ঠ বাতাসে মিশে থেকে যায়।
“ঈশ্বরের ভুল ছায়া – পর্ব ৩: বাতাস যার পায়ে পথ খোঁজে” শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। অপেক্ষায় থাকুন… হয়তো এই গল্প আপনার নিজের এক হারানো কণ্ঠও ফিরিয়ে দেবে।
এই গল্প আপনাকে প্রশ্ন করবে—
ক্ষমতা কি কখনোই নিয়ন্ত্রণের লোভ ছাড়া সম্ভব?
নাকি ঈশ্বরের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল—মানুষকে আবেগ দিয়ে তার সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরির অনুমতি দেওয়া?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১১