বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজার হাজার কবিতার জন্ম হয়। অযত্ন আর অবেহলায় এই সকল কবিতা সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠে না। তাই অসুস্থ হয়ে পড়ে কবিতা। আমরা তাই কবিতার সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে সব দ্বায়-দ্বায়িত্ব কাঁধে নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে হবে। বাংলা সাহিত্যের নতুন পুরাতন সকল কবির কবিতার মাধ্যমে আমাদের এই কবিতার যাত্রা শুরু করতে হবে। আশা করি কবিতার এই অগ্র যাত্রায় সকল কবিদের সাথে পাবো। কবিতার জয় হবেই।
কবিতা হল মুক্তমঞ্চ। কবি মনের কথা মঞ্চায়িত করতে হবে। সমসাময়িক কবিদের দৈনন্দিন চিন্তাভাবনা এবং পাঠকদের মাঝে এক ধরনের নিবিড় সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে হবে।
কবিতা আর কবিতা। একটা সময় এমন ছিল যখন কবিতা পড়তে হবে শুনলেই মাথা খারাপ হয়ে যেত। স্কুলের বইগুলোতে ‘কবিতা’ কে শুধুই বাংলা পরীক্ষার একটা অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে কবিতার সাথে সত্যিকারের পরিচয় হতে বেশিদিন সময় লাগে না। বাংলা কবিতার যে বিশাল ভান্ডার রয়েছে তা আর যেকোন ভাষার সাহিত্যভান্ডারের তুলনায় কম নয়।
কবিতা ও ছড়া পাঠের নিয়মিত আয়োজন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে শুরু হলেও দীর্ঘদিন চলার উদাহারণ আমাদের দেশে কম।কবিতা পাঠ, কবির লড়াই, স্মৃতিচারণ, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশনা ভাষাকে করে বর্ণিল।
এ শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন, “লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা স্কুল কলেজের চেয়ে বেশি”। আর মোতাহার হোসেন চৌধুরী লাইব্রেরীকে 'জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতেই হয় মানুষকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে লাইব্রেরীর কোন বিকল্প নেই।সুতরাং আমাদের লাইব্রেরী স্থাপনের মাধ্যমে কবিতা চর্চার প্রসার করতে হবে।