somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গোয়িং ব্লাইন্ড : রিলকের কবিতা, আমার অনুবাদ

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৫ সালে রিলকের একটা কবিতা অনুবাদ করেছিলাম। আমার কম্পিউটার ফরম্যাট করতে হবে, গত তিন বছরে করা হয় নাই। তাই লেখা গুলি ব্লগে তুলছি।
অনুবাদের নীচে ইংরাজীটাও দিলাম।

---------------------------------------------------

অন্ধ প্রায়

সেই আসরে, নৈশাহারে, সেও ছিল সবাই যেমন।
ঠিক তখনই দেখেছি তার চায়ের কাপের ওঠানামায়
সবার সঙ্গে একটা ভীষণ অমিল ছিল যেন কোথায়
একবারই সে হেসেছিল, বেজেছিল ব্যথার মতন।

ক্রমে ক্রমে অবশেষে আসর ভেঙে এল যখন
উঠল সবাই আস্তেধীরে, তবুও কথা বাকি ছিল
হাসতে হাসতে বলতে বলতে কয়েক ঘরে ছড়িয়ে গেল,
তখন দেখি, সেও চলেছে অন্য সবার পেছন পেছন।

একটুখানি আত্মমগ্ন, এমন, যেন তাকে এখন
কোনো সভায় গাইতে হবে, সভার সবাই শুনবে তাকে
যেমন করে পানির গায়ে আলোর আভা ভাসতে থাকে
তারও চোখে তেমনি একটা ঝিলিমিলি খুশির ত্বরণ।

অনেকটা পথ উঠতে যেন বাকি ছিল, কিংবা বাধা
ছিল কোনো, কিংবা সামনে সিঁড়ি আছে মস্ত চড়া,
যেন একটু কষ্টেছিষ্টে পেরিয়ে এলেই গোলকধাঁধা,
হাঁটতে তাকে আর হবে না, তখন থেকে যাবে ওড়া।

- রাইনার মারিয়া রিলকে
(অনুবাদ : লুনা রুশদী) ০৪ এপ্রিল ২০০৫


Going Blind

She’d sat just like the others there at tea.
And then I’d seemed to notice that her cup
was being a little differently picked up.
She’d smiled once. It had almost hurt to see.

And when eventually they rose and talked
and slowly, and as chance led, were dispersing
through several rooms there, laughing and conversing,
I noticed her. Behind the rest she walked

Subduedly, like someone who presently
will have to sing, and with so many listening;
on those bright eyes of hers, with pleasure glistening,
played, as on pools, an outer radiancy.

She followed slowly and she needed time,
As through some long ascent were not yet by;
and yet; as through, when she had ceased to climb,
she would no longer merely walk, but fly.


- Rainer Maria Rilke.
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫২
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×