somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল আমরা!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিন পাল্টাচ্ছে, আমরা সিরিয়াস হচ্ছি। সঠিকভাবে বলতে গেলে ডিজিটাল এবং মডার্ন হচ্ছি। রিলেশনশিপ, ডেট,রুমডেট এগুলো এখন সিম্পল।অনেকটা ছেলের হাতের মোয়ার মত। অহরহ রিলেশনশিপ হচ্ছে,ব্রেকআপ হচ্ছে, অনেকটা লিভ টুগেদারের মতই। আমার মনে হচ্ছে আমি পুরনো গল্প টেনে অযথা সময় নষ্ট করছি কারণ এসব এখন সস্তায় এভেইলএভেল ঠিক যেন শীতের শেষ সময় বাজারে বিক্রি হওয়া মূলার মত,ক্রেতা নিতে না চাইলে ও বিক্রেতা জোর করে ব্যাগে ঢুকিয়ে দেয়। থ্রি-ফোরের বাচ্চারা ও এখন ফেসবুক চালায় এবং ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দেয়! ব্যাপার না,একবিংশ শতাব্দীর চালিকাশক্তি বলে কথা।
.
এখন যেটা নতুন ট্রেন্ড সেটা হচ্ছে মানবজীবনের জৈবিক চাহিদাগুলো যেগুলো কে একসময় কনফিডেনসিয়াল আর টপ সিক্রেট ব্যাপার মনে করা হতো সেগুলো কে ফার্মগেটের ফুটপাতে হকারদের মত আয় একশ,আয় একশ বলে খোলা বাজারে সেল করা! কয়েকদিন আগে তো ফেসবুক ব্যবহার করছি না পিরিয়ডবুক ব্যবহার করছি আমি বুঝতে পারি নি। এই ব্যাপারটা সম্পর্কে এর আগে আমার কোন জ্ঞানই ছিল না। ফেসবুকের বদৌলতে অনেক কিছু জানলাম। কারন অনেক ভাই ও বোনেরা দেখেছি ডাক্তার না হয়ে ও ব্যাপারটা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মত বিশ্লেষণ করে আমাদের সামনে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এখন যতটুকু জানি এ সম্পর্কে তা নিয়েই সিম্পলি ভেবেছি এবং লিখছি। এটা অত্যন্ত পার্সোনাল একটা ব্যাপার,এটা নিয়ে ছেলেদেরই বা মাথা ঘামানোর কি আছে আর মেয়েদেরই বা স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ করার কি আছে! অবশ্য ফেসবুকের কথা কি বলবো স্বয়ং টিভি চ্যানেলগুলো খুললে সারাদিন তো বিভিন্ন কোম্পানির প্যাডের এডভার্টাইজ দেখতে দেখতে ভুলেই যাই যে এটা কি মেয়েদের প্যাড এর এডভার্টাইজ নাকি বসুন্ধরা টিস্যুর এডভার্টাইজ,ব্যাপারগুলো একদম খোলা বাজারের পাম্প অয়েলের মত হয়ে গেল না! মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ভালো কথা,বাসায় তাদের মায়েরা আছে,আশেপাশে হসপিটাল আছে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে,সচেতনতা সৃষ্টি তো কতভাবেই করা যায়। আচ্ছা আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে যখন আমরা জন্ম নিয়েছি তখন কি ছিল এই প্যাড? মনে তো হয় না। কই আমরা তো কেউ অস্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহন করি নি। এখন তাহলে সমস্যা হবে কেন? বাই দ্য ওয়ে অন্য রাস্তায় চলে যাচ্ছি,এটা নিয়ে অন্য একদিন বলবো। এখনকার ব্যাপারটা হচ্ছে যেহেতু আমরা মডার্ন হচ্ছি সেহেতু মায়ের সাথে মেয়ের একটা ডিসট্যান্ট বাড়ছে। যদি নাই বাড়ে তাহলে মেয়ের এই সমস্যাগুলোর কথা মা জানছে না কেন? এর সলিউশন করছে না কেন? মেয়েরা কেন চক্ষুলজ্জা কে উপেক্ষা করে স্টেজে দাড়িয়ে এ সম্পর্কে করনীয় জানতে চাইছে?!
.
হয়তো মনে মনে অনেকে ভাবছেন কাম অন ডুড এসব কি বলছো তুমি?! এগুলা কমন ব্যাপার,তুমি ক্ষেতের মত কথা বলো কেন?!
তাদের এই প্রশ্নে আমি নিরুত্তর। না, আমি এই কারণে নিরুত্তর নই যে তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে আমার বলার কিছু নেই। বরং আমি এই কারণে নিরুত্তর যে আমি গভীরভাবে একটা ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত। আচ্ছা একন এর "I just had sex" গানটা যেই হারে মার্কেট পেয়েছে আর আমরা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারগুলো যেভাবে পাব্লিক করে যাচ্ছি,আমার তো মনে হয় না সেদিন বেশি দূরে যেদিন এক বন্ধু তার অপর বন্ধুকে কিংবা বান্ধবী তার অপর বান্ধবীকে বলবে, "দোস্ত আমার নিউ ভিডিও ক্লিপ টা আসছে ইউটিউবে একটু দেখিস,শেয়ার করে লাইক দিস প্লিজ!"
.
তখন কে কার ভিডিও স্ক্যান্ডাল দেখবে ম্যান?! সবাই তো ফেসবুক স্ট্যাটাসের মত নিজের ভিডিও নিজে আপলোড করায় বিজি থাকবে,অন্যের টা দেখে লাইক দিয়ে শেয়ার করার সময় কই?!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×