চেতনা জীবনের চেয়ে বড়—এই ধরনের ডায়লগ একসময় বিশ্বজুড়ে বামপন্থিরা ব্যবহার করেছিল কিন্তু কাজ হয় নাই। "আইডিয়োলজি ইজ থিকার দ্যান ব্লাড"—বইতে হয়তো ভালো শোনায়, কিন্তু বাস্তবে কেউ শুধু আদর্শের জন্য পরিবার ত্যাগ করে না।
গত ১৫-১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগও এই ধরনের চেতনার বাণিজ্য করেছে, কিন্তু লাভ হয় নাই। এত চেতনার প্রচারণা সত্ত্বেও, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে, সেই তরুণরাই শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ করেছে এবং তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ এবং তার চেতনা কোনো একক দলের সম্পত্তি নয়; এটি সবার। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজেদের দাবি করে সেটিকে ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল। যাদের স্বজনরা মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে, তাদের চেতনার গল্প শুনিয়ে কোনো লাভ নেই। একইভাবে, ২০২৪ সালে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবারও কোনো চেতনার গল্প শুনতে চাইবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩