somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অব্যর্থ অপেক্ষা
মাহামুদা খাতুন

এবার কিন্তু বার্ষিকীতে তোমার যাওয়াই চাই নানুমনি। জানো যে ছবিটা এঁকে আমি প্রথম হয়েছি তার বিষয়বস্তু কি?
নাতো!
অব্যর্থ অপেক্ষা। ছবি এঁকে তার নীচে বর্ণনা দিতে হয়। আমার বর্ণনা নাকি এতোটাই অসাধারণ হয়েছে যে কেউ প্রশংসা না করে থাকতে পারেনি। আমি সেখানে প্রাণের স্ত্রীকে রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সদ্য বিবাহিত বীর মুক্তিযোদ্ধার লুকিয়ে রাখা দীর্ঘশ্বাস আর তারই জন্য তার প্রেয়সীর অপেক্ষার প্রতিটি মূহুর্ত এমনভাবে তুলে ধরেছি যে সবাই তাতে মুগ্ধ হয়ে গেছে। তুমি জানো আমার গল্পের মূল চরিত্রে কারা আছে?
বুঝতে পেরেছি।
খুশি হয়েছো?
অ-নে-ক।


তারার আলো স্কুলটাকে আজ ফুলে ফুলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। বিকাল চারটার দিকেই শুরু হয়েছে মূল আয়োজন। সামনের বেশ কয়েকটা সারি রাখা হয়েছে অভিভাবক আর অতিথিদের জন্য। পিছনের সারিগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য। সামনে থেকে চার নম্বর সারিতে বসেছে ফাতিমা। তার সাথে আছে তার ছেলে আর ছেলের বউ। একমাত্র নাতনী রোদেলার স্কুলের বার্ষিকীতে এসেছে তারা। প্রতি বছর রোদেলার বাবা মাই শুধু আসে। এবার রোদেলার অনুরোধে ফাতিমাকে অনুষ্ঠানে আসতেই হলো। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তৃতা পর্ব। চোখ বন্ধ করে সিটে হেলান দিয়ে বসে ছিল ফাতিমা। আলোচনার কিছুই ঢুকছিলনা তার কানে। কিন্তু বিশেষ অতিথি নামটা শুনে চমকে উঠল। সোজা হয়ে বসে স্টেজের দিকে তাকাল। সেই চোখ, সেই ভরাট কন্ঠ। মানুষটাকে চিনতে তার একদমই ভুল হলনা। অপলক নয়নে বক্তৃতা শুনতে লাগল।

আসসালামু আ’লাইকুম। আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আসতে পেরে আমি বিমোহিত। আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা আমি কোথায় পেলাম। উত্তরটা একটা গল্পের মাধ্যমে দিতে চাই।

জুলাইবিব নামে রাসুল (সাঃ) এর একজন প্রিয় সাহাবী ছিলেন। তার বাহ্যিক গড়নের জন্য কেউ তাকে পছন্দ করতনা। একদিন জুলাইবিব রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, নবীজি (সাঃ) আমার কি কখনও বিয়ে হবেনা? কথাটা শুনে কাল-বিলম্ব করলেননা নবীজি (সাঃ)। মদিনার এক সম্রান্ত পরিবারের সুন্দরী বিবাহযোগ্যা কন্যার সাথে জুলাইবিবকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রস্তাব পেশ করলেন মেয়ের বাবার কাছে। পাত্রের নাম শুনে লোকটি মনঃক্ষুন্ন হলেও তা প্রকাশ করলেননা। অনুমতি চাইলেন স্ত্রীর সাথে পরামর্শের। জুলাইবিবের নাম শোনামাত্রই লোকটির স্ত্রী তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। সে কিছুতেই তার সুন্দরী মেয়েকে অমন কুৎসিত ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না। পাত্রীপক্ষের অমত জেনে সেখান থেকে ফিরে গেলেন রাসুল (সাঃ) । আড়াল থেকে রাসুল (সাঃ) এর সাথে বাবা মায়ের কথপকোথন শুনে ফেলে মেয়েটা। স্বয়ং রাসুল (সাঃ) এর আনা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার মত ধৃষ্ঠতা দেখানোর কারণে বাবা মায়ের উপর ক্ষুব্ধ হন। স্পশট জানিয়ে দেন বিয়ে যদি করতেই হয় তবে জুলাইবিবকেই করবে।

বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই ডাক পড়ল যুদ্ধের। সদ্য বিবাহিত সুন্দরী স্ত্রীকে রেখে জিহাদের ডাকে সারা দেয় জুলাইবিব (রাঃ) এবং শহিদ হন। একজন মুসলিমের জন্য এর থেকে ভাল মৃত্যু আর কি হতে পারে! ঘটনাটা পড়ার পর এমন জীবনের আকাঙ্ক্ষা লালন করেছিলাম। আমি জানি ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যে জিহাদের ময়দান সাহাবীরা বেছে নিয়েছিল তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের তুলনা অবান্তর। তবুও সদ্য বিবাহিত একজন যুবকের জন্য নববধুকে রেখে যুদ্ধে যাওয়ার মত হিম্মত দেখাতে পারে কজনাই। আমার এই যুদ্ধে যাওয়ার অনুপ্রেরণাই ছিল জুলাইবিব (রাঃ) এর ঐ ঘটনাটা। ইসলামের জন্য যুদ্ধ না হলেও মুক্তিযুদ্ধে আমার অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যই ছিল শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। বিয়ের এক মাসের মাথায় আমি আমার ষোড়শী প্রেয়সীকে রেখে যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম শুধুমাত্র জালিমের অত্যাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য। যুদ্ধ……………..

মুগ্ধ নয়নে বক্তৃতা শুনছিল ফাতিমা। শেষের কথাগুলো আর শোনা হলনা। অতীতে ডুব দিল অবুঝ মন।

সবে তখন স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে সে। কৈশরে পা দেওয়া টগবগে তরুণী। আকাশসম স্বপ্ন তার। স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে যখন আকাশ ছুতে যাবে তখনই থমকে গেল তার রঙিন পৃথিবী। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল চারিদিকে। ফাতিমা ছিল বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। যুদ্ধের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া একদমই বন্ধ হয়ে গেল। সারাদিন সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক।
ঢাকার পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ার কারণে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে আসতে শুরু করল অনেকেই । দুদিন হল ফাতিমার মায়ের খালাত বোন কবিতা ঢাকা ছেড়ে তাদের বাড়ি এসে উঠেছে। স্বামী এবং একমাত্র ছেলে আবিরকে নিয়ে ঢাকা রায়ের বাজার নিজ বাড়িতে থাকত। আবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনিতিতে মাস্টার্সের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেও এসেছে বাবা মায়ের সাথে।


প্রায় এক মাস হয়ে গেছে ঢাকা ছেড়ে রাজবাড়ি এসেছে আবির। ঢাকাতেই তার জন্ম, বেড়ে ওঠা। এই বাড়িটাতে সে আগেও অনেকবার এসেছে। এখানকার প্রতি তার আলাদা একটা টান আছে। এখানে আসলেই ঘুরে ঘুরে গ্রাম দেখে। গ্রামের দিকে এখনও পাক বাহিনীর আক্রমণ শুরু হয়নি।
ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হল সে। সকালের সূর্যটাকে আজ ভীষণ আবেগী লাগছে ওর কাছে। হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির পেছনের মাঠটাতে চলে আসে। বসে পড়ে মাঠের চারপাশ ঘিরে রাখা আইলটার উপর। চারিদিকে চলছে শরতের তান্ডব। বাতাসে দুলছে মাঠের কিনারায় ঘন হয়ে গজিয়ে উঠা কাশফুলগুলো। অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশকে যে করেই হোক শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। সঙ্গে রাখা রেডিওটা টিউন করে যুদ্ধের খবর শুনতে লাগল। পাকবাহিনীর একের পর এক তাণ্ডবলীলার খবরে দিশেহারা হয়ে পড়ল। জালিম শাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সবথেকে বড় জিহাদ। এই মূহুর্তে যুদ্ধে যাবার তাগিদঅনুভাব করল। তার মত একজন নওজোয়ান যুদ্ধে না গিয়ে বসে থাকলে চরম অন্যায় হবে।


ছেলের মতিগতি অনেক আগেই আঁচ করতে পেরেছে কবিতা। একমাত্র ছেলেকে যুদ্ধে পাঠনোর কোন ইচ্ছা তার নেই। তাই সিদ্ধান্ত নিল ফাতিমার সাথে ওকে বিয়ে দিয়ে দিবে। নতুন বউ রেখে তখন আর যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা জাগবেনা।

খাওয়ার টেবিলেই ফাতিমা আর আবিরের বিয়ের কথাটা তুলল কবিতা।
আবির অবাক হয়ে বলল, কি যে বলনা মা! ফাতিমা এখনও অনেক ছোট। ওর সাথে আমার বয়সের পার্থক্য কি ভুলে গেছো তুমি? আর তাছাড়া এখন আমি এরকম কোন সম্পর্কে জড়াতে চাচ্ছিনা। দেশের এই পরিস্থিতিতে বিয়ের কথা ভাবা আর বিলাসিতা এক জিনিস। আমার এখন বিয়ে না, যুদ্ধে যাওয়া প্রয়োজন।

আবিরের কথা কানে যেতেই সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল। নিরবতা ভেঙ্গে কবিতা বলল, কি বলছিস তুই এসব? আমি তোকে কোন যুদ্ধে যেতে দিবনা।

এটা কেমন কথা মা? এটাতো তোমার আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। জালিমের অত্যাচারে মানুষের জীবন দূর্বিষহ। এদের বিরুদ্ধে রুখে না দাড়ালে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিব?

ঠিক আছে গেলে যাবি, তাতে বিয়ে করতে কি সমস্যা? কথাটা মুখে বললেও কবিতা মনে মনে ভাবল, একবার বিয়ে দিয়ে নেই তারপর ঠিকই জালে আটকা পড়বি।

মানুষ বিয়ে করে সংসার করার জন্য। কিন্তু আমাকে যে বিয়ে করবে তার সংসার করার স্বপ্ন বাদ দিতে হবে। আমার যুদ্ধে যাওয়াটাকে খুশি মনে গ্রহণ করতে হবে। যদি এসবে তার কোন আপত্তি না থাকে তবে তাকে বিয়ে করতে আমারও কোন আপত্তি নেই।

নিজের ঘর থেকে সব কথাই শুনে ফাতিমা। বিয়েতে তার অমত নাই। আবিরের যুদ্ধে যাওয়া নিয়েও তার কোন আপত্তি নেই। তাই বিয়েতে সম্মতি দিয়ে দিল। সম্পূর্ণ ঘরোয়া আয়োজনে নিকট আত্মীয়দের উপস্থিতিতে সেরে ফেলা হল বিয়েটা।

গ্রিল জুড়ে লতানো গাছে ঢাকা বারান্দায় পাশাপাশি বসে আছে ফাতিমা আর আবির। পূর্ণিমার আলোতে মোহময় হয়ে আছে চারিদিক। চোখ তুলে আবিরের দিকে তাকানোর সাহস না থাকলেও ফাতিমার দিকে আবির তাকিয়ে আছে স্থির নেত্রে। পূর্ণিমার আলোতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে। সদ্য কৈশরে পা দেওয়া মেয়েটা এখন তার স্ত্রী। এই বাসায় এর আগে অনেকবার আসলেও কখনও তেমনভাবে খেয়াল করা হয়নি ফাতিমাকে। মায়ের মতই রুপবতী হয়েছে মেয়েটা। এই অপরূপ সুন্দর মেয়েটাকে ফেলে যুদ্ধে যেতে ইচ্ছা করছেনা আবিরের। কিন্তু দেশের প্রতি নিজের দায়িত্বের কথা ভেবে আবেগটাকে পাত্তা দিলনা। ফাতিমার হাতটা নিজের হাতে মুষ্টীবদ্ধ করে বলল, তুমি কি জানো আমি তোমার থেকে কত বড়?
ফাতিমা ছোট করে উত্তর দিল ‘হু’, দশ বছর।
নিজের থেকে এতো বড় একটা লোককে বিয়ে করতে খারাপ লাগেনি তোমার?
না।
তুমি কি চাও আমি যুদ্ধে যাই?
জ্বি চাই।
আর ফিরে নাও আসতে পারি। তবুও কি চাও?
জ্বি, আমি চাই। কবে যাবেন?
এবার ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর কয়েক জনের সাথে পরিচয় হয়েছে আমার। উনাদের কাছে যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। ঠিকানা রেখে দিয়েছে। যেকোন সময় ডাক পড়তে পারে।
ঠিক আছে। ডাক পড়লে যাবেন। আপাতত আজকের রাতটাকে উপভোগ করি!! যতদিন আপনি থাকবেন ততদিন আমি আমার প্রতিটা মুহুর্তকে আপনার রঙে রাঙিয়ে তুলতে চাই। কথাগুলো আবিরের দিকে না তাকিয়েই বলল ফাতিমা।
ফাতিমার মুখে কথাগুলো শুনে এক অদ্ভুদ শিহরণ খেলে গেল আবিরের মধ্যে। চাদের আলোতে মোহনীয় লাগা প্রেয়সির দিকে তাকিয়ে বলল, তবে তাই হবে।

বিয়ের একমাসের মাথায় ফাতিমাকে রেখে যুদ্ধে চলে গেল আবির । যাওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করল, আমি না ফিরে আসলে কি নতুন জীবন শুরু করবে?
নতুন করে কারো সাথে নিজেকে জড়াতে চাইনা, বলল ফাতিমা। জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আপনার জন্য অপেক্ষা করব ইনশাআল্লহ্‌।

আবির চলে যাওয়ার দুইমাস পরে ফাতিমা বুঝতে পারে সে মা হতে চলেছে। গ্রামের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হতে থাকলে পাকবাহিনীর আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য ফাতিমারা চলে যায় তার নানু বাড়ি। দেশ স্বাধীন হয়ে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে তারা সবাই ঢাকায় ফিরে আসে। রায়ের বাজারে শ্বশুরের বাড়িটা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তাদের অ্যার থাকা হয়না সেখানে। ধানমণ্ডি বাড়ি ভাড়া নেয় তারা। বছর দুই পর একটা সড়ক দূর্ঘটনায় সবাইকে হারায় ফাতিমা। আড়াই বছরের ফয়সালকে নিয়ে যখন দিশেহারা তখনই আল্লাহ্‌র রহমতে স্কুলের চাকরীটা তার ভাগ্যে জোটে।
নানুমনি দেখ কাকে নিয়ে এসেছি! রোদেলার ডাকে স্মৃতির পাতা বাস্তবে ফিরল ফাতিমা। কিছুক্ষণ আগেই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে। রোদেলার হাত ধরে দাড়িয়ে থাকা কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে দেখে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল। দূরত্ব ঘুচিয়ে ফাতিমার কাছে এসে দাড়াল আবির। দুই হাতে ফাতিমার মুখটা তুলে ধরে বলল, এখনও আগের মত লজ্জা পাও! বক্তৃতা দেওয়ার সময়ই তোমাকে খেয়াল করেছি। চিনতে একদমই ভুল হয়নি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সাথে সাথে চলে এলাম।

আবিরের দিকে না তাকিয়েই ফাতিমা জিজ্ঞাসা করল, কেমন দেখলেন সবাইকে?

আমিতো শুধু তোমার অপেক্ষাতে ছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে তার থেকেও বেশি কিছু দিয়েছো। ছেলে, পুত্রবধূ, সাথে এই ফুটফুটে নাতনিটাকে। আমার অপেক্ষা স্বার্থক।

আমারও দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল।

জানতে ইচ্ছা করছেনা কোথায় ছিলাম এতদিন?

না, কিছু কথা নাহয় অজানাই থাক। জানতে ইচ্ছা করেলে পরে কোন এক সময় জেনে নেওয়া যাবে। আপাতত অতীত না ঘেঁটে সাদরে গ্রহণ করি বর্তমানকে।

মুচকি হেসে আবির বলল, তাহলে এত বছরের অপেক্ষা বিফলে যায়নি?

এতক্ষণে ফাতিমা প্রিয় মানুষটার দিকে মুখ তুলে তাকাল। তারপর স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে বলল, একদমই না। রোদেলার ভাষায় যাকে বলে, ‘অব্যর্থ অপেক্ষা’।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×