লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় My Bazaar
সফল ক্যারিয়ার কখনো সোনার হরিণ নয়। শতকরা ক্যারিয়ারিস্ট জীবন শুরু করেছেন শূন্য থেকে। বংশ পরিচয় বা পারিবারিক খুটিঁ নয়,”গভীর আস্থাও ঝুকিঁ নেয়ার সাহস প্রত্যেককে শূন্য থেকে শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আর নিরলস শ্রম ও সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত তাদেরকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সাফল্যের এ সূত্র ও নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন। ক্রমান্বয়ে আপনি সাফল্যের সোনালি সোপানে আরোহণ করবেন।
১। আস্থা ও বিশ্বস্ততা
নিজের প্রতি আস্থা রাখুন। কাজের প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। কাজই হোকআপনার প্রেম।আংশিক নয়, পেশাকে পরিপূর্ণরূপে গ্রহণ করুন। যখন যে পেশায় থাকবেন, সে পেশার কাজের সঙ্গে একাকার হয়ে যান।কাজকে অবহেলা করবেন না। গোঁজামিল বা ফাঁকি দেবেন না।
কোনো অপারগতায় অজুহাত দেবেন না। যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে সরল স্বীকারোক্তি করুন।ভান বা অভিনয় নয়, মনের আনন্দে কাজ করুন। প্রয়োজনে নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগ দিন। কাজে বৈচিত্র্য আনুন।যতদিন যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, ততদিন তার স্বার্থরক্ষায় আপনার পক্ষে করণীয় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
২। সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হোন
সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হোন; অহেতুক বিলম্ব করবেন না। প্রজ্ঞাপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকেই বদলে দেবে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কম ক্ষতি স্বীকার করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে সচেষ্ট থাকুন।যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই সমস্যা সমাধানের কৌশল ঠিক করুন।
প্রতিদিন অন্তত একজন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। পূর্বপরিচিতদের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন।কাজের প্রয়োজনে অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও যোগাযোগের মাত্রা/ ধরন ঠিক করুন।আবেগপ্রবণ হবেন না। প্রো- অ্যাকটিভ থাকুন। অভিমান- অভিযোগ না করে সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিন।
৩। পেশাদরিত্ব
অফিসকে বাসায় বা বাসাকে অফিসে নিয়ে আসবেন না। পেশাগত বা পারিবারিক দুশ্চিন্তা ও সমস্যা যেন একটি অপরটির শান্তিকে বিঘ্নিত না করে।কথায় ও কাজে আন্তরিক প্রাতিষ্ঠানিকতা বজায় রাখুন।কোনো মন্তব্য বা আচরণের প্রেক্ষিতে বস/ সহকর্মীর সঙ্গে বিরোধে জড়াবেন না। প্রকাশ্যেও কাউকে অপমান বা হেয় করবেন না।কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের জটিলতা বা ভুল বোঝাবুঝিকে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে সবসময় সাংগঠনিকভাবে দেখুন।কোনো ভুল হয়ে গেলে যুক্তিখণ্ডন করবেন না। অন্যেরা বলার আগে নিজেই তা নিঃসংকোচে স্বীকার করুন।
৪। পদ-আনুগত্য
চেয়ার/ বসের প্রতি আন্তরিক আনুগত্য প্রদর্শন করুন। তাহলে আপনিও আপনার অধীনস্থদের আনুগত্য লাভ করবেন।প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি কাজে বসকেই সবচেয়ে নির্ভুল মডেল মনে করুন।চাকরির কাজে বসের কথা ও সিদ্ধান্তকে সবসময় ‘ হাঁ’ বলুন। তার প্রতি মনে কোনো ক্ষোভ রাখবেন না।
মনে ক্ষোভ থাকলে বাস্তবেও দূরত্ব বেড়ে যাবে।আনুগত্য ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সাংগঠনিক পদক্রম অনুসরণ করুন।বসের যুক্তিসঙ্গত প্রশংসা করতে কখনোই কার্পণ্য করবেন না। যেকোনো ছোট আনুকূল্যের জন্যেও তাকে ধন্যবাদ দিন।
৫। ক্রম- উৎকর্ষ
পেশাভিত্তিক যোগ্যতা- দক্ষতা অর্জনের মাপকাঠিতে প্রতিদিন নীরবে আত্মপর্যালোচনা করুন।প্রচ্ছন্ন নেতৃত্বের ( ঘোষিত নয়, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্তা যেন তিনিই) অবস্থানে নিজেকে নিয়ে যেতে সচেষ্ট থাকুন।ব্যবস্থাপকীয় গুণাবলি ও সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ান। তাহলে অন্যদের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারবেন।চাকরি সংক্রান্ত ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন।সহকর্মীকে সহযোগী, বসকে অভিভাবক এবং নিজেকে নিজের প্রতিযোগী মনে করুন। সুস্থ প্রতিযোগিতা আপনার কর্ম- উৎকর্ষকে বেগবান করবে।
আমার সাথে বকবক করতে আমাকে এড করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১