চলচিত্রের ইতিহাসে হলিউডের সব অভিনেত্রীকে অন্ততঃ একবার নগ্ন পোজ দিতে হয়েছে। কারন আর কিছুইনা, সব গুলো ছবির পরিচালক পুরুষ বলেই এমনটা হয়েছে।
রাজনীতি
পুরুষেরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে বিমলানন্দ বোধ করে, কিন্তু প্রায়শই তারা নাগরিক দায়িত্ব পালন যেমন ভোট দিতে ভুলে যান। মহিলারা কিন্তু খুশী যে নতুন জেনারেশনের হবু নেতারা সব পুরুষ। তাই মহিলারা রাজনীতি নিয়ে মেতে উঠছেন, যাতে তারা ভোটের সময় তাদের হয়ে হৈচৈ করতে পারেন এবং ফলাফল ঘোষনার সময় চোখের পানি ফেলতে পারেন।
আড্ডা
পুরুষেরা তিনটা বিষয় নিয়ে আড্ডা দেয়: অর্থ, ক্রিকেট আর নারী। অর্থ নিয়ে আলোচনার বেশীরভাগই চাপা, ক্রিকেট নিয়ে আসলে তারা তেমন জানেন না যেমনটা তারা ভাব ধরেন, আর নারীদের নিয়ে মনে মাধুরী মিশিয়ে গল্প বানান। নারীদের আড্ডা বিশেষ করে একান্ত আড্ডাগুলোর বিষয় একটাই - সেক্স। কিন্তু সে আলোচনা গুলো আকারে ইঙ্গিতে হয় না, বরং সেগুলো সচিত্র এবং টেকনিক্যাল।
কাপড় ধোয়া
মহিলারা কয়েকদিন পরপরই ফুটফাট করে কাপড় ধোয়। আর ছেলেরা কাপড় ধোয়ার আগ পর্যন্ত প্রানপন চেষ্টা করে যাবে কি করে সেটাকে এড়ানো যায়। সেজন্যে সে তার স্টকের শেষ কাপড়টা পর্যন্ত পরবে যেটা কিনা আট বছর আগে তার কোমরে আঁটতো। শেষে যখন তার কাপড়ের ভান্ডার শেষ হয়ে যাবে তখন সে ঘরে পরার গেঞ্জি একটা উলটো করে পরে একটা ট্রাক ভাড়া করে তার পাহাড় সমান কাপড় লন্ডিতে নিয়ে যাবে। আর পুরুষেরা সবসময় আশা করে যে সে লন্ডিতে গেলে খুব সুন্দরী কারো সাথে রোমানস হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য এটি একটি মিথ।
খেলনা
ছোট্ট মেয়েরা খেলনা নিয়ে খেলতে ভালবাসে। বয়স 11-12 হলেই তাদের আগ্রহ কমে আসে। পুরুষ কখনও তাদের খেলনাপ্রীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। যতই তারা বড় হতে থাকে তাদের খেলনা গুলো ততই জটিল এবং বাস্তব ব্যাবহারের অনুপযুক্ত হতে থাকে। পুরুষের খেলনার উদাহরন হচ্ছে: খুদে টিভি, কার ফোন, জটিল কার্যপ্রনালী সম্বলিত জু্যসার এবং ব্লেন্ডার, গ্রাফিক ইকু্যয়েলাইজার, ছোট্ট রোবট যেটা ককটেইল সার্ভ করতে পারে, ভিডিও গেমস, আর কোন কিছু যেটা বি্লপ শব্দ করতে পারে, পিত পিত করে আলো দিতে পারে এবং কমপক্ষে 6 ব্যাটারীর নিচে চলে না।
গাছ
একজন মহিলা একজন পুরুষকে ছুটিতে সপ্তাহখানেক ঘুরতে যাবার আগে বলে যায় গাছে পানি দিতে। পুরুষটা গাছটাকে ঠিকই পানি দেয়। পাঁচ দিনের মাথায় মহিলাটি এসে দেখে যে বাড়ি ভর্তি মৃত গাছ। এক হিমু ছাড়া আর কেউ জানেনা কিভাবে এটা হল।
ডাকনাম
একমাত্র মহিলা বডি বিলডার যারা নিজেদের 'আলটিমেট পেক', 'বিগ টার্ক' ইত্যাদি নামে সম্বোধন করেন তারা ছাড়া অন্য মহিলারা খুচরা নামে ডাকাটাকে পছন্দ করেন না। যদি ময়না, সখিনা আর জরিনা লাঞ্চ করতে একসাথে হয় তাহলে তারা নিজেদের ময়না, সখিনা আর জরিনা বলেই ডাকবে। কিন্তু যদি আবুল, বাবুল, দবির আর ছগির একসাথে হয় তাহলে তারা পরস্পরকে 'ভোঁতা ছাগল', 'হনুমান', 'পিনাট ব্রেইন', আর 'অপদার্থ' বলে ডাকবে।
গোঁফ
কিছু কিছু পুরুষকে গোঁফে মন্দ লাগে না। যেমন জাফর ইকবাল, সাইমুম ভাই। কিন্তু এমন কোন মহিলা নেই যাকে গোঁফে ভাল লাগে।
(এই লেখার উদ্দেশ্য নির্মল আনন্দ। মূল ইংরেজী লেখাটি পাবেন এইখানে:
Click This Link
আমার ধারনা মূল ইংরেজী লেখাটা একজন মহিলারই লেখা।)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





