somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলামায়ের কারিগরেরা আমাদের ক্ষমা করো, তোমাদের যথার্থ মুল্য আমরা দিতে পারিনি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাগ্য ভাল। আমি ৭১ এর আগে জন্মাইনি, স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখিনি ও আবার রাজনীতিও করিনি। কত ভাগ্য ভাল তাই না??

জীবন দেয়াতে তো তোমরা ওস্তাদ, কিছু হতে না হতেই জীবন দিয়ে দেব। জীবন দিলে কি জীবন আলাদা ভাবে কাজে লাগে, ব্যবহার করা যায়?
যায়, ইস্যু বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। জীবন অমূল্য, পুরো পৃথিবী পাল্লার এক দিকে আর কেবল একটা জীবন পাল্লার এক দিকে দেয়া হলে জীবন কান্নাকাটি শুরু করবে, না হয় Defiantly হাসবে। হুম হাসবে! গোটা পৃথিবীর সব কিছু বানাতে ১০৯ টি মৌলিক পদার্থ লাগবে, কিন্তু জীবন বানানো যাবে না এই ১০৯ টি দিয়েও? পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষ ৭০০ কোটি জীবন, সব কয়টা আলাদা। কি দিয়া তৈরি এই জীবন? সৃষ্টি কর্তা কিছু Unique জিনিস নিজের হাতে রাখছে, জীবন তার মধ্যে একটা, আর সৃষ্টিকর্তার হাতের জিনিস তোমরা অকাতরে দেও।
দেও, স্রষ্টা তোমারে জীবন দিছে তোমার জীবন তুমিই সামলাও। তারপর ও একটু ভাবার ছিল, যার বা যাদের জন্য দিবা তারা তোমার জীবনের বিনিময়ে যা পাবে বা যে উপহার দেয়ার জন্য তোমরা তোমাদের জীবন দিবা তারা কি তা রক্ষা করতে পারবে? যদি না পারে জীবনও গেলো, তার সাথে যা দিতে চাইলা তাও গেলো। কি দিতে চাইলা, মুক্তি? মুক্তি তো এরা চিনেনা, ২০০ বছর গোলামি খাইটা অভ্যাস হইয়াগেছে, নিজেরা নিজেরা কামরা কামরি কইরা আবার গোলামি খাটা শুরু করবো। স্বাধীন গোলাম।

তোমাগো কথাও ঠিক, ২০০ বছর আন্দলন করে ১৯৪৭ আসলো, তার পরও যদি ৫২ আসে, আসে ৬৯ তাহলে ৭১ তো আসবেই।

একটু ভাইবা দেখ ৬৯ কে আসতে না দিলে ৭১ সৃষ্টি হতোনা, আর ৭১ না আসলে ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর কিভাবে হত। তখন ঠিক ই ২১ ফেব্রুয়ারী বুকে/পেটে নিয়া থাকতে হইত। তখন ক্ষুদিরাম এর মতো তোমরা ও কিংবদন্তি হইতা, কোন বিতর্কও থাকতনা। উদ্দেশ্য মূলক ভাবে ইস্যু হইতানা, অপমান হইতানা। এখন যে অবস্থা কিছু দিন পর তোমরা আর তোমাদের কর্ম হইব গালি। তখন আর কেউ কুত্তা, বিলাই, ব্যাস্যা, হারামি বলে গালি দিবেনা, তোমাদের নাম আর কর্মই গালি হয়ে যাবে।
যেমন মীরজাফর নামটা একটা গালি। এখনই তো দেয়া হচ্ছে মুজিবের কুত্তা, জিয়ার দালাল ইত্যাদি বলে। মীরজাফরের নামটাই সার্থক নিজের স্বার্থ হাসিল করতে গিয়েছিল। কিন্তু ঐ সব মহাপুরুষ যারা এই দেশ মাতার জন্য জীবন উৎসর্গ করলো তারা কি তোমাদের কাছে অপরাধী? কোন ক্ষণে তোমরা জন্মগ্রহন করলে তাদের নামে গালি দাও? নিজেকে তোমাদের মত মানুষ ভাবতেও ঘেন্না হয়।
আজকে তোমরা ৯০ কোটি খরচ করে নতুন রেকর্ড বানিয়েছ, লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গেয়ে গিনেজ বুক নামে একটা কাগজে নাম লিখিয়েছ (আমি এই প্রচেস্টা কে সধুবাদ জানাই)। আবার যেকোনো সময় যেকোন দেশ ঐ খাতা থেকে তোমাদের নামটা মুছে দিয়ে তাদের নাম লেখাতে পারে। আজ তোমরা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে মাথা উচিয়ে সোনার বাংলা গাও। লম্বা একটা গর্বের নিঃশ্বাস নিয়ে জোড়ালো কণ্ঠে বলো আমি বাঙালি
কিন্তু একবারো কি পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখেছো যেসকল বাংলামায়ের সূর্যসন্তানরা তোমাদের অধিকার দিয়েছে এই লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার, মুখে বুলি ফুটিয়েছে আমি বাঙালি বলার। তারা কেমন আছে? তাদের অভিমানে সংসার কি দিয়ে চলে? তারা কি দুমুঠো পান্তা ভাত পিয়াজ আর কাচা মরিচ দিয়ে তিন বেলা খেতে পারছে কিনা?

এই কি তাদের আত্মত্যাগের প্রতিদান?
যারা লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে তাদের সাদুবাদ জানাই আরো একবার। কিন্তু এমন উদ্যোগ কি নেয়া যেতনা, যে সকল মুক্তি যোদ্ধারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে তাদের খুজে বের করে তাদের কল্যানে কিছু করার (কেন করবে সেখানে তো কর্পোরেট লাভ নেই)।
সবসময়তো লাভ ই করেন, একটি বার অলাভজনক ভাবে তাদের কল্যানে কিছু করেন। আমরা বেইমান প্রজন্ম হয়তো আপনাদের এই প্রচেস্টা কে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন নাইবা জানালাম, অন্তত আমাদের স্বাধীন বাংলা গড়ার কারিগররা তিন বেলা খেয়ে মরতে পারবে। রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে চাদের সাথে অভিমানি গল্প করতে করতে বৃষ্টির পানিতে গোসল করতে না হয়।

বাংলামায়ের কারিগরেরা আমাদের ক্ষমা করো, তোমাদের যথার্থ মুল্য আমরা দিতে পারিনি। আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৫
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×