গল্পটি জীম এবং স্টিউ – দুই বন্ধুকে নিয়ে। গ্রাজুয়েশনের পরপরই বড় একটি সেলস কোম্পানিতে তারা একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়। জীম এবং স্টিউ দুজনেই কোম্পানিতে প্রচুর পরিশ্রম করতো।জবের ৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর স্টিউ সেলস এক্সিকিটিভ হিসেবে প্রমোশন পেল। কিন্তু জীমের কোন প্রমোশন হল না। জীম মনে করলো এটা সম্পূর্ন তার উপর অবিচার করা হল যেখানে সে কোম্পানির জন্য এতো পরিশ্রম করে। তাই সে ব্যাপারটি আনফেয়ার মনে করে বসকে জানালো। বস আগের থেকেই জানতো জীম খুব পরিশ্রমী কিন্তু তারপরও জীমের না হয়ে স্টিউর কেন প্রমোশন হল তা বুঝানোর জন্য তিনি জীমকে একটি ছোট কাজ দিলেন। কাজটি হল জীম বাজারে গিয়ে খুজে দেখবে এমন কেউ আছে কিনা যিনি তরমুজ বিক্রি করে। জীম বাজার থেকে ফিরে আসার পর তার বস তাকে প্রতি কেজি তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলো। জীম আবার বাজারে গেল এবং ফিরে এসে জানালো প্রতি কেজি তরমুজের দাম ১২ ডলার।
এবার একই কাজ তিনি স্টিউকে দিলেন। স্টিউ বাজার থেকে এসে জানালো বাজারে বর্তমানে একজন ব্যক্তিই তরমুজ বিক্রি করছে যার প্রতি কেজি তরমুজের দাম হচ্ছে ১২ ডলার। ১০ কেজি নিলে ১০০ ডলারে নেওয়া যাবে। বর্তমানে তার স্টকে ৩৪০ টি তরমুজ মজুদ আছে এবং বিক্রির জন্য টেবিলে সাজানো আছে ৪৮ টি তরমুজ যেগুলোর প্রত্যেকটির ওজন কমপক্ষে ১৫ কেজি। বিক্রেতা তরমুজগুলো ২ দিন আগে দক্ষিন অঞ্চল থেকে কিনে এনেছে। তরমুজগুলো দেখে অনেক ফ্রেস এবং ভালো মানের মনে হল।
স্টিউর রিপোর্টিং স্টাইল দেখে জীম টোটালি ইমপ্রেস হয়ে যায়। সে তখনই উপলব্ধি করে তার বন্ধুর থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে।
এবার আসি গল্পটি থেকে আমরা কি শিখলাম। ছোট এই গল্পটি আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ন মেসেজ দিচ্ছে। সেটা হল সফল ব্যক্তিরা তাদের প্রত্যেকটা কাজে অন্যদের থেকে বেশি পর্যবেক্ষনশীল হয়। তাদের চিন্তাভাবনাটা শুধুমাত্র আগামীকালটাকে নিয়ে নয় বরং আরো সূদুরপ্রসারী। কিন্তু আমরা অনেকেই আগামীকালটাকে নিয়েই বেশি চিন্তাভাবনা করি, তাইতো সফল ব্যক্তিদের সাথে আমাদের এতো পার্থক্য!
অনুবাদ ও সংকলনঃ আল-মাহদী, ব্লগার এন্ড সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯