এইতো কিছুদিন আগে, ইসলাম-বিদ্বেষী "ব্লগার"রা ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে যাচ্ছেতাই লেখত। রাসুলুল্লাহর কার্টুন আঁকত। ব্যাঙ্গ করত। চরিত্রহীন বলত। অর্থলোভী সাব্যস্ত করত। নামাজ-রোজার হাস্যকর ব্যাখ্যা দিত। প্রতিটি লাইন, প্রতিটি বাক্য; এমনকি প্রতিটি শব্দ একজন ঈমানদারের মনে কুঠারাঘাত করত। ভাবা যায়? এরা আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়েও সন্দিহান! নানারকম প্রশ্ন আর যুক্তি দিয়ে দুর্বলতম মুসলমানদের ঈমানে বজ্রাঘাত করত। কত মানুষ তাদের দলে ভিড়েছে! কত মুমিন নিজের ঈমান হারিয়েছে! আল্লাহ মাফ করুন।
তাদের সংখ্যা বেশি ছিল না। অবশ্য ভিজিটর ছিল অগণিত এবং পথহারা হয়েছে অসংখ্য। তারা কাজ খুব দ্রুত করত। অবশ্য সাধারণ মানুষ ছিল বে-খবর। অধিকাংশই জানত না বরং জানার চেষ্টাও করত না। ঘুণেধরা সমাজ; মুসলিম যুবকেরা ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগল অজানার পথে যার পরিণাম ভয়ঙ্কর জাহান্নাম।
গুটিকয়েক সচেতন মুসলিম ভাইয়েরা উল্টো-স্রোতে হাল ধরলেন। প্রতিবাদ করলেন, বাঁধ সাধলেন। অবশ্য তা এই নেটের জালেই সীমাবদ্ধ রইল। পথহারাদের হাত ছিল প্রশস্ত, ক্ষমতা সীমাহীন! তাদের নেটযুদ্ধের বিপরিতে সরল পথের পথিকেরা খড়কুটো ছাড়া কিছুই নয়। কিছু মুসলিম যুবকের কুরবানিতে বিষয়টি সাধারণ জনগণের সামনে যখন আসল; তখন 'ছনবনে আগুন' লেগে গেছে। শুরু হয় অফলাইনে যুদ্ধ। মিডিয়া পথহারাদের মূল সম্বল। অথচ সীরাত সম্মেলন এবং লাগাতার কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে মুসলিম জনতাকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব হয়ে পড়ে তাওহীদ-অলাদের। বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও একটি বিপ্লব কিন্তু দেখেছে সারা বিশ্ব। আশা জেগেছে তার মনেও যে অন্ধকার সাগরে দিকভ্রান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিল।
সময় বদলেছে। সেই বিপ্লবের পর মানুষ যতটা সচেতন হয়েছে তার কিয়দংশ হয়েছে স্বচেতনও। তাই এখন আঙ্গুল উঁচু করে মন্ত্রীরও বিচার চায় জনগণ। টেলিমন্ত্রী যা বলেছে তা থাবা বাবার কিঞ্চিতও না। অথচ দেখুন, পথে-ঘাটে, বাসে-ট্রেনে সর্বস্তরের মানুষই তার সমালোচনা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও রাগ করেছেন। মন্ত্রিত্ব হারাচ্ছেন তিনি। যেই সরকার সংসদে দাঁড়িয়ে রাজিবকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বীর ও শহীদ ঘোষণা করেছে সেই সরকারই আজ টেলিমন্ত্রীর একহাত দেখে নিলেন
মুসলমানের আন্দোলন বৃথা যায় না যদি সে ইখলাসের সাথে তা করে থাকে।
এখনো পথহারাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। থাবাবাবা না থাকলেও আছে তাদের প্রেতাত্মা। এদের বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে ...