ঈদের সময় শহরের বড় বড় বাজারে নতুন টাকা কিনতে পাওয়া যায়। প্রতি টাকার বান্ডিলে ১০০ পিছ নোট থাকে। সে হিসেবে ১ টাকার বান্ডিল ১০০ টাকা। ২ টাকার বান্ডিল ২০০ টাকা ও ৫ টাকার বান্ডিল ৫০০ টাকার হয়ে থাকে। ক্রেতা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নতুন টাকা সংগ্রহ করে থাকেন। প্রিন্সিপাল ব্যাংকের আশপাশে টাকার দোকানে রেট থাকে "একক-দশক" হিসাবে। অর্থাৎ, ২ টাকার নোটের বান্ডিল নিতে হলে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হয়। ৫ টাকারটা ৫০ টা। শহরভেদে দাম আরো বাড়ে।
টাকা যা আমাদের দেশে কাগুজে হয়ে থাকে। ইসলামী পরিভাষায় এর নাম "ছমন" বা মুল্যদ্রব্য। এর লেনদেনকে "বাই' আস সারফ" বলে। (পূর্বে এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা "আল-ফিক্হ" পাতায় করা হয়েছে।) এই লেনদেন "সহজাত ও অভিন্ন পরিমাপক" শ্রেণির হওয়ায় এর বৈধতার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে,
১, নগদ আদান-প্রদান করা।
২, কম-বেশি না করা।
যদি এই দুটি নিয়ম রক্ষা করা না হয় তাহলে এই লেনদেনটি সুদের অন্তর্ভূত হবে। আর ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে যদিও এই লেনদেন নগদ হচ্ছে তথাপি সমান-সমানে হচ্ছে না। বরং যে পক্ষ পুরাতন টাকা দিচ্ছে সে অতিরিক্ত কিছু টাকা দিচ্ছে। তাই এই আদান-প্রদান সুদ বিবেচিত হয়ে হারাম হবে।
কেবল ছোটদেরকে খুশি করার জন্য এভাবে হারাম দেনদেন করা বড়দের অনুচিত। আর ছোটদের উচিত সালামি গ্রহণ করার আগে যাচাই করা, যিনি সালামি দিচ্ছেন তিনি এই টাকাগুলো বৈধ পদ্ধতিতে হস্তগত করেছেন কিনা।
আমরা যদি নতুন টাকার প্রতি অনাগ্রহী হই, দোকানিরা এই হারাম দেনদেন বন্ধ করে দিবে। তাই প্রথম পদক্ষেপ আমাদের (ক্রেতাদের) -ই নিতে হবে। নয়তো পরকালে আমাদেরকেই প্রথমে গ্রেপ্তার করা হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন
বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন ফেসবুক পাতা "আল ফিক্হ" এর টাইমলাইনে Link : https://m.facebook.com/377965655734077