·
#স্বাধীন_বাংলায়_একজন_গোলাম_আজমের_প্রথমদিন
১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি দুপুর ১১.৩০
ইসরায়েলি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে শহীদ হয়েছে দু'জন বাঙ্গালী।
কিছুক্ষনের ভিতর শুরু হবে জানাজার নামাজ..
,কিন্তু মুসল্লিদের ভিতর একটা চাপা গুঞ্জন, অসন্তোষ, অস্থিরতা - কোনো একজনের হঠাৎ অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি নিয়ে।
খুনি জিয়ার নাচের পুতুল সেই ৭৮ এ দেশে ফিরলেও জনগনের মারের ভয়ে পার্টি মিটিং ছাড়া কোথাও যান না।দীর্ঘ ২ বছর পর, আজকেই প্রথম পাবলিক এপিয়ারেন্স। তবু দু'গাড়ি ভর্তি বডি গার্ড নিয়ে এসেছেন।
...... মানুষটা গোলাম আজম।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা একজন মানুষ এভাবে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা মাটিতে ঘুরে বেড়াবে, আস্তে আস্তে সমাজে মিশে যাবে, এটা সবার ভাবতেও অবাক লাগছিল। কিন্তু গুম-খুন- আর ক্যান্টনমেন্টের রক্তাক্ত থাবার সামনে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না..
জানাজা শেষ হতেই গাড়ির দিকে ছুটলেন গোলাম আযম। মানুষ তাকে কীভাবে নেয়, তার গুরুত্ব কতখানি তার একটা টেস্ট নিচ্ছেন অবৈধ প্রেসিডেন্ট জিয়া!যেভাবেই হোক আজ অন্তত গনধোলাই এড়াতেই হবে।নইলে যে প্রেসিডেন্ট সাবের কাছে যখেলো হয়ে যাবেন।
কিন্ত একি, হঠাৎ এক তরুন উঠে দাড়াল। গোলাম তখন ১০-১২ ফুট দূরে। পায়ের স্যান্ডেল হাতে নিয়ে ছুটে এল। এগিয়ে গিয়েই এলোপাথাড়ি শুরু করল মার। সাথে যোগ দিল অনেকেই। হাটুড়ে মারে যোগ দিতে চারদিক থেকে মানুষ ছুটে আসছে,,,
কিন্তু মার ভালমত শুরু হবার আগেই দেহরক্ষী কয়েকজন কোনমতে, টেনে হিচড়ে গাড়িতে তুলে, ফুল গিয়ারে, দে ছুট।
ভাবছি, ইশ! ওইসময় যদি ডিজিটাল ক্যামেরা থাকত,তাহলে অন্তত আশেপাশের ইনিয়ে বিনিয়ে 'জামাতের ক্লিন ইমেজ' নিয়ে ঢোল পেটানোদের #Tag করতে পারতুম
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬