somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate )
জীবন একটা কৌতূহলী যাত্রার নাম- স্রষ্টা, সৃষ্টি, উদ্দেশ্য এবং এই সব কিছুর সত্যতা কে ঘিরে... আর আমি সেই পথের একজন সাধারণ যাত্রী। নিজের জায়গা থেকে সব স্থান, কাল, পাত্রে আপন অস্তিত্বকে কল্পনা করতে ভালোবাসি আর সেই অনুযায়ী প্রত্যেকটা কাজ করে যাই...

***ধর্ষণ, হিজাব, ধর্ষক, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমাদের দলাদলি প্রসঙ্গ!!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমত যারা শুধু এই কথা বলছে যে- "মেয়েরা পর্দা না করলে এমন হবেই, রুপ দেখিয়ে বেড়াবে আর ধর্ষণ হবে না!", তারা খুব অল্প জ্ঞান সম্পন্ন একচোখা মানুষ, যাদের ইসলাম সম্পর্কে ন্যুনতম জ্ঞান নেই। তাই এরা সব দোষ মেয়ের কাপড়ের উপর দিয়ে থাকে! যদিও এই শ্রেণির সংখ্যা সমাজে সবচেয়ে বেশি।

দ্বিতীয় কথা হলো এই শ্রেণির প্রতিবাদে আরেক শ্রেণি যারা ধর্ম বিদ্বেষী তাদের কাছে ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম- "কই তোমাগো হিজাব তো পারলো না ধর্ষণ ঠেকাতে, লাভ কি তাইলে হিজাব কইরা, এর চেয়ে মুক্তমনার মত উদার পোশাকে ঘুরে বেড়ানো ভালো"! এই শ্রেণি আরো বড় ইতর। এরা ভিতরে ভিতরে নারীর সম্মতিক্রমে খেলবে, যৌনতার স্বাধীনতায় উন্মত্ত হবে, অন্যদিকে বাইরে এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে বলবে- বিচার চাই, বিচার চাই!

এবার আসল কথায় আসি- ইসলাম এ হিজাব করতে বলা হয়েছে সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য নয়, বরং পর পুরুষ থেকে সেই সৌন্দর্য ঢেকে রাখার জন্য। হিজাব এমন হতে হবে যেনো তিনি দাদী, নানী নাকি যুবতি মেয়ে তা বোঝার অবকাশ না থাকে। বর্তমানের চলন্ত হিজাব নামের ট্রেন্ড কোনভাবেই হিজাব নয়, সেখানে শুধুমাত্র মার্জিত উপায়ে, অনেক সময় অমার্জিত ভাবেও শুধু মাথায় কিছু কাপড় পেচিয়ে সারাদেহের সৌন্দর্য ঠিক ই তুলে ধরা হয়, অথচ ইসলাম এ এমন কোন হিজাব এর কথা বলা তো হয়নি, বরং সাবধান করা হয়েছে মাথার উপর উটের কুজের মত উচু করে কাপড় না পড়তে। তাই ইসলাম এর নাম এখানে কোন ভাবেই আনা ঠিক না।

পরের কথা হচ্ছে- একজন প্রকৃত ঈমান দার মুসলিম কখনো একটা বেগানা মেয়ের দিকে তাকাতেও ভয় পায়, কারণ আল্লাহ বারণ করেছেন। যারা ধর্ষণ করে তারা ধর্মের বাইরের মানুষ। এদের কাছে ধর্ম বলতে কিছু নেই। কে কি পোশাক পড়লো, না পড়লো তাতে এদের কিছু আসে যায় না। শুধুমাত্র একটা বার ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী সেই ধর্ষকদের একজন কে পাথর মেরে জনসম্মুখে হত্যা করে দেখুন, সব ধর্ষক নামের কুকুরগুলো না চাইতেও শুধরে যেতে বাধ্য!

ধর্ষক নামের কুকুরদের কিন্তু এই সমাজ ই তৈরি করে। ইচ্ছাকৃত অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করে তুলে অনিচ্ছাকৃত অবৈধ সম্পর্ককে ধর্ষণ এর নাম দিয়ে বিচার চাওয়া দ্বিমুখী নীতি ছাড়া কিছুই না। সমাজে বিয়ে কঠিন করে ফেলা, ব্যভিচার প্রশ্রয় দেয়া আর ধর্মীয় উপলব্ধি সমন্বয়ের শিক্ষাকে অবহেলার কারণেই এই কুকুর জাতের প্রজাতি বেড়ে চলেছে, পাশাপাশি তথাকথিত বিচার ব্যবস্থা তো আছেই!

আর হ্যা, মেয়ে ছেলে উভয় এর পর্দা রয়েছে। ছেলেরা দৃষ্টি সংযত না রেখে শুধু মেয়েদের দোষ ধরতে যাওয়া বিচার মানি তালগাছ আমার এর মতই। আবার ছেলে বিহীন একটা সমাজে মেয়েদের ছেড়ে দিন- দেখবেন উগ্র সাজগোজ আর সৌন্দর্য প্রকাশ কই উধাও হয়ে যাবে! নিয়ম সঠিক ভাবে জানা এবং মানা উভয় এরই কাম্য। নিয়ম একরোখা কখনোই নয়।

এইসব বিষয় না বুঝেই আমরা প্রথমে উল্লেখিত দুই দলের হয়ে দলাদলি তে ব্যস্ত। আর অন্যদিকে শুধু শুধু ইসলাম এবং এর নিয়ম কানুন টেনে নিজেদের অজ্ঞতাকে ঢাকার চেষ্টা করি সর্বদা! যা সত্যি ই দু:খ জনক !
বিনোদনের জোয়ারে ভেসে আমাদের চিন্তাশক্তি, বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা যেনো একদম ভোতা হয়ে গেছে!! কবে যে আমাদের মস্তিষ্ক সত্যি ই তার আসল কাজ করবে! কবে !
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×