গত দুদিন থেকে নিউজ পোর্টাল ও ফেসবুক টাইম লাইন জুরে দেখা যাচ্ছে ইডেন কলেজ ছাত্রী রেখার রেকর্ড সংখ্যক প্রেমিক হাজির করানোর মহানুভবিয়ীয় দৃষ্টান্তঃ
খুব বড় মনের মে রেখা নবম শ্রেণীতে পরা অবস্থা থেকে কোন ছেলের প্রেম নিবেদন কে না বলতে পারেন নি ! এমনি করেই অনার্স ৩য় বর্ষ পর্যন্ত শতাধিক প্রেমের অফার কে দয়াল মনে ঠাই দিয়েছিলেন তবে বেশ কিছু দিন আগে ইতালি প্রবাসী এক ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়।
দয়াল বিশাল মনের অধিকারী রেখা ঠিক করলো সকল সাবেক ও বর্তমান প্রেমিকদয়ের সাথে মিট করা উচিৎঃঃ
তো যেই চিন্তা সেই কাজ একে একে শহ খানিক প্রেমিকদয়কে রমনা পার্কে আমন্ত্রণ জানালেন ;
সবাই আসতে না পারলেও একে একে ২৪ জন বেহুদা প্রেমিক উপস্থিত হলেন;
রেখা সবার উদ্দেশেই বললেন দ্যাখো আমার তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ইটালি প্রবাসী ছেলের সাথে আমিতো তোমাদের কাউকেই বিয়ে করতে পারবোনা তাই তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও।আমি তোমাদের কারো প্রেম নিবেদন ফেলতে পারিনি কেবল না বললেই কেউ কষ্ট পাবে তাই আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি।
আপায় দরদের হাই স্কুল দরদ করেই এত্তগুলা প্রেমিক পিছনে ঘুড়িয়ে পকেট কেটে মাথা ন্যাড়া করে সবাই কে ছেড়ে দিয়েছে!
আসলে এমনটা হর হমেশাই হচ্ছে আমাদের আধুনিক সেকুলারিজম সমাজে । রেখা প্রেমিক সম্মেলন করেছে বিধায় আমরা জেনেছি আর যারা ধরি মাছ না ছুই পানি তাদের ক্ষেত্রে সেই সাফারার রাই জানছে এবং বুঝতেছে!
বর্তমান যুগে প্রেম ভালবাসায় আর পবিত্রতা নেই আছে কেবল বিলাসিতা ধোঁকাবাজি আড্ডাবাজি মুখে বলে ভালোবাসি চলনা কাছে আসি লিটনের ফ্লাট রেডি তো ঃ
লিটনের ফ্লাট আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নত হয়েছে ;
এক সময়ের প্রেম ছিল চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ দেখা করতে গেলে রাতে কলা গাছের ভেলা বানিয়ে নদী পার হয়ে কিংবা সাতার কেটে প্রেমিকার বাসায় রাতের বেলা জানালা টোক দেয়া কিংবা শব্দ করে জানান দেয়া যে আমি এসেছি সাত সাগর নয় এক নদী পার হয়ে তোমাকে এক নজর দেখবো বলেই এই নির্জনে এসেছি! আরপরেও থাকতো কত বিপত্তি ;
তাতেই প্রেম ছিল সত্তেজ প্রাণবন্ত ও পবিত্র।
এখনকার প্রেম এই রেখারাই বোটানিক্যাল গার্ডেনের জঙ্গলে গিয়ে মঙ্গল সাধন আর লিটন ভাইয়ের ফ্লাট তো এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত!

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



