জনৈক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হইল আপনি উদারতা কাহার নিকট শিখিয়াছেন ? প্রধানমন্ত্রী বলিলেন, আমি আমার রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে উদারতা শিখিয়াছি।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করিলেন, রাষ্ট্রপ্রধানের উদারতা সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। প্রধানমন্ত্রী বলিলেন,
একদিন রাষ্ট্রপ্রধান তার নিজের ভবনে বসা ছিলেন, এই সময় তাহার এক কর্মচারী(দাসী) গরম তরকারীর পাত্র হাতে নিয়া কক্ষে প্রবেশ করিতেছিল। এই সময় দুর্ঘটনাক্রমে দাসীর হাত ফসকাইয়া ঐ গরম তরকারী রাষ্ট্রপ্রধানের ক্রীড়ারত শিশু সন্তানের গায়ের উপর পতিত হয়।সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির গায়ের চামড়া ঝলসাইয়া ঘটনাস্থলেই তাহার মৃত্যু ঘটে।
এই আকস্মিক ঘটনায় কর্মচারী (দাসীটি) ভয় ও আশঙ্কায় থর থর করিয়া কাঁপিতে লাগিল।রাষ্ট্রপতি কর্মচারীকে অভয় দিয়া বলিলেন, ভয়ের কোন কারণ নাই। তুমি ইচ্ছা করিয়া আমার সন্তানকে হত্যা কর নাই।
কিন্তু তবুও তোমার কারণে যেহেতু আমার সন্তান হত্যা হয়েছে, সেহেতু আমার সম্মুখে আসিতে তোমার সংকোচবোধ হইবে এবং আমার সন্তান হত্যার উপলক্ষ তুমি এই কথা আমারও স্মরণ হইবে সুতরাং আমি তোমাকে চাকুরী হইতে অবসর দিয়া দিলাম।
অতঃপর রাষ্ট্রপতি ঐ কর্মচারীর চাকুরীকালীন সময়ের বেতন ও যতদিন তার চাকুরীর মেয়াদ সেইটা হিসাব করে সমুদয় টাকা একসাথে দিয়ে দিলেন , এবং তার পেনশনের ব্যবস্থা ও করে দিয়ে তার পর তাকে বিদায় করে দিলেন।
রাষ্ট্রপতির অনুপম উদারতার কথা প্রধানমন্ত্রী যখন বর্ণনা করছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রীর দুচোখ জলে ছল ছল করছিল।
আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী উদারতা হচ্ছে একটি লাশের বদলে দশটি লাশ ফেলে দাও ! আর রাষ্ট্রপতির উদারতা হচ্ছে নির্দোষ মানুষ জেনেও যাদের সাথে দীর্ঘ জীবনের রাজনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল তাদেরকে এক এক করে ফাসিতে ঝুলিয়ে মারা হচ্ছে দেখেও তিনি নিরব।
আমাদের দেশে অন্যায় করে মহান হওয়া যায়, ন্যায় ইনসাফের কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী , জঙ্গি , রাজাকার খেতাব নিয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হতে হয়।স্বাধীনভাবে কথা বলতে দেওয়া হয় না।স্বাধীনভাবে চলতে দেওয়া হয় না।
গুম খুন হত্যা ধর্ষণ লুটপাট এগুলো নিয়মে পরিণত হয়েছে।ন্যায় ইনসাফ নির্বাসিত হয়ে গিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



