somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিছিয়ে দিলাম সূর্যসঙ্গ...

১২ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রোদের উষ্ণতা মরে সন্ধ্যে প্রায় হব হব।
শেষ ফাল্গুনের এ কটা দিনে সামনের মেহগনি গাছটায় নতুন পাতা দেখছি।
কদিন আগেও পাতাহীন এ গাছটায় সন্ধ্যে হলেই ফলের মত কাক বসে থাকতো।
যেন সারা গাছ ভরে শুধু কাকের ফল;
চা খাব বলে মগে দুজনের মত চা নিয়ে বসলাম।
জানিতো এমনিতে তুমি চা খেতে চাওনা একদম,
সারারাত ঘুমের জন্য ছটফট করবে বলে-
অথচ আমাকে চা খেতে দেখলে তোমার চুমুক না দিলে হয়না!
অভিমান জমেছে বেশ,কদিন ধরেই ভাবছি ভেতরে রাখা ঝগড়াগুলোর একটা গতি হওয়া দরকার। কদিনের ঝগড়া বাকি আছে। আজ তাই আর কিছু বাকি রাখবোনা ঠিক করেছি।
তুমি চায়ে চুমুক দিতে এসে একটু থমকালে,
এমন ঠান্ডা চোখ দেখেতো অভ্যস্ত নও তুমি!
হঠাৎ দু'হাত উপরে তুলে যখন নাটুকে ভঙ্গিতে বললে,''আমি স্যারেন্ডার করছি,শাস্তি যা
দেবার দাও,মাথা পেতে নিচ্ছি। শুধু তোমার চোখটাকে আমার বিকেল করে দাও, নরম রোদ্দুর করে দাও।''
মুখ নিচু করে ফেললাম আমি। চোখে খুব দ্রুত ভালবাসা জমছে।,উষ্ণ হয়ে উঠবে নিমেষে,এখন এমন সময় এ চোখ কি আর তোমাকে দেখানো যায়!
আজ তো ঝগড়া করবো ঠিক করে আছি।
তুমি পাগলামী শুরু করেছো।
তর্জনী দিয়ে এ ঠোঁটের কোন ছুঁয়ে বললে,এখানেই না মশক ভরে হাসি জমা রেখেছিলাম!
এইতো এইতো এইখানে...
দেখি দেখি...
আমি খুব বিরক্ত হবার ভান করে বললাম,ঢং করো না তো!''
তুমি হেসে গড়িয়ে পড়ছো। না তাকিয়েই বুঝছি তোমার সারা শরীর ক্ষমা চাচ্ছে।
কিন্তু আমি জানি তোমার দিকে তাকালেই আমার আর রাগ থাকবেনা।
একটা গোপন ইচ্ছে চুপি চুপি বলি,আমার কিন্তু ভীষন ইচ্ছে করছিল তখন তোমাকে দেখতে। ইনফ্যাক্ট আমার সবসময়ই ইচ্ছে করে!
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসে ছড়িয়ে যাচ্ছে নৈঃশব্দ হয়ে।

আজ আমি আর অভিমান পুষে রাখতে পারবোনা।
তোমাকে না বলতে বলতে, ক্ষমা করার ভান করতে করতে মরে যাচ্ছি আমি।
কেন তুমি এমন করবে!
কেন আমার সকল ইচ্ছে অবহেলায় শুকিয়ে যাবে!
কেন তোমায় যখন তখন ব্যস্ত দেখবো আমি,যেখানে তুমি বাইরে তাকালেই দেখছো বৃষ্টি হচ্ছে!
কেন আমায় নিয়ে তুমি কদম ফোটার অপেক্ষা না করেই জঘন্য সব সাংসারিক চিন্তায় মেতে থাকবে!
তোমার ফোন বিজি পেতে পেতে আমি ক্লান্ত, যে প্রজাপতিটা ভুল করে ঢুকে পড়েছিল বন পেরিয়ে নগরে,তারপর আমার দরজার হাতলে এসে বসেছিল অনেকক্ষন,
উড়তে উড়তে
সে দরজার বাইরে গেল,বেলকুনিতে অপেক্ষা করলো কিছুক্ষন,
কিছুক্ষন-
আমার পাতার টবে বসে রইলো তবু তোমাকে জানাতে পারলামনা।
দুপুর গড়িয়ে গেল,সমস্ত ক্লায়েন্ট তোমার মনোযোগ পেয়েছে,শুধু আমি ক্ষুধার্ত
থাকলাম রোজকার মত।
তোমাকে ফোন দিলেই একটা নিষ্ঠুর কন্ঠ বলে,আমি ব্যস্ত আছি!
কেন তুমি আমার কষ্ট বুঝবেনা!
কেন আমার দুপুর গড়িয়ে রাত্রী আসে পুরোনো তোমাকে পাবার অপেক্ষায়!
কেন দীর্ঘ দেহ ঘুম সেরে তুমি জাগবেনা!
ভীষন রকম অভিযোগে তোমাকে ছড়াবাজের মত বিধ্বস্ত করে তুলবো আজ।

তুমি কি দিব্যি নতুন কবিতার মত হেসে গড়িয়ে পড়ছো!
যেন আমার অভিমান সত্যিই ছেলেখেলা। এতবার রিহার্সাল দেয়া কথাগুলো কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ঠিক সময়ে কথাগুলো বলতে না পারলে....
আহ! কখনোই তো পারিনা ছাই।
আজ যতই ভুলাও আমাকে,
আমি তো ঠিক করে রেখেছি সব অস্ত্র এক করে ঝগড়া করবো, করবোই-
যেন তুমি স্পর্শ করতে পারো আমার সব অভিমান!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৪
১২৪টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×