somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঁচটি আঙুল আমাকেই জানে আমাকেই যতটা গোপনে কান পেতে থাকে চরাচর! পাঁচটি আঙ্গুলে জোছনা হয়ে নামে তোমার আমি..

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১।
আমরা মরে যাচ্ছি মরে যাচ্ছি সুন্দর! আকাশ মেঘ করে মরে যাচ্ছে, ঘরের ভেতর পরের হৃদয় মরে যাচ্ছে মরে যাচ্ছে। আমরা আমাদের হয়ে মরে যাচ্ছি।
কতগুলো ফুল পায়ের তলায় ঝরে ঝরে যাচ্ছে। কে জানতো এ ফুলেদের মাটির ঘর ই ভাল। সে এক অতীত আমাদের ছিলো মাটির দোতলা, পর করে দিলো ইঁট কাঠ আর আয়ুমতি গাছপালা।
নিঃশ্বাস নিয়ে নিতে নিতে টের পাই কোথায় একটু কম পড়ে যায় খানিক। কোনো এক জুঁই গোলাপ অথবা বেলি, কাঠের দরজা পেরিয়ে গেলেই গন্ধে গন্ধে বাঁচি। এ বাঁচাটাকে সম্পদ করে তাই টের পাই আমাদের। সুন্দর কত কত কিছু করে, রোজ রোজ মরে যাই।

ঘুরে এসে স্মৃতি খোঁজ ছেলেবেলা
ঘর বাড়ি আর বাড়ি মাঠ খেলা
হাত দিয়ে খুঁজি মার্বেল বল লুডুর গুটিটা পাচ্ছি।
এই এতদিনে ওসব কিছুকে ভালবেসে বেসে মরে যাচ্ছি। মরে যাচ্ছি সুন্দর আমরা খুব করে মরে যাচ্ছি!

২.
ও সকল বৃষ্টি আমাদের জানালার পাশে জুঁই হয়ে ফুটেছিলো একদিন। আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বৃষ্টি ভেজার গন্ধ পেতাম। আর এতটুকু রোদ তখন মন খারাপ করে এক পাশে সরে যেত। কেউ জানেনা রোদ্দুর ও তো তোমাকে পায়নি। পায়নি তোমার আঙ্গুল আদর। কি করে তার মন ভাল থাকে!

৩.
আমাকে সে চিঠি লিখে দিও সমুদ্র রঙে। ভাল থাকো ভালো থাকো। প্রার্থনায় আমাদের নিয়তি মন্দিরে কাজ করা মুখ।সাদা কবুতর উড়ে যায়। আমি শান্তিকে দেখি চিঠির অক্ষর হতে। ভাল থাকি ভাল থাকি।

৪.
জেগে থাকা একটা চোখ গেলো পাখির নাম! আমাকে ডেকেছে শুভ রাত ভেবে। বুকের ভেতর এক বলশালী বরুন ঢেউ হয়ে এলো। তুমি কি প্রতিদিন এমনই অন্ধকার?

৫.
দুয়ার ভেঙ্গে যায়! শাষন কর যাপিত প্রণয়টাকে।
খড়কুটোতে যাচ্ছে ভেসে জীবন!
তোমার শহরে মৃত্যুর মত ঘুমাচ্ছে
হু হু হাওয়া...
শাষণ কর প্রলয় অলংকার!
শাষিত হই আরেকবার!

৬.
বিকেলে একটা জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম
পাথরটা ছিলো আমার মায়ের লাশের মত ভারী
কেন কঠিন তা আমি কখনো বলবোনা। শুধু জানো
আমার সমস্ত কৈফিয়ত বিকেলের ঘরে আমি করেছি নিলাম।

৭.
স্বপ্ন হলেও সত্যি আমি চমকে চমকে জাগছি ভাবছি বুঝি এই এখনি এলে! কেটে দেয়া ডাক গুলো আর ফোনের আলো জ্বললে ভাবছি হয়ত তুমিই এবার ফিরছো প্রদীপ জেলে।

বিষন্ন আর বিষন্নতার এসব বিশেষন আমায় না হয় শুনিয়ে তোমার ভীষন সুখ হল।
যে হাত তোমার হাতের সাথে ফিরিয়ে নেবার সাহস দেখাও ভাল থাকার সব জানালা থাকুক খোলা আমার দিকে মেঘের ফোটা গুলো!

আমার ছিলো এই অপরাধ ধরে রাখার সূত্র গুলো শেখার সময় আনমনা-
তুমিই নাকি রাখবে ধরে লক্ষ শ্রুতি প্রতিশ্রুতি সব শহুরে ফাঁকি আমিই ছিলাম নিশ্চিন্তে এককে দুজনা!

যে চলে যায় গেলই নাহয় সেই যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম আছি শূন্য এবং গোপন মেঘের ভীষন কাছাকাছি পথ হারাবার সমুদ্র দীপ জ্বেলে
এই চাওয়াটা আমার একার ভালই থেকো ছেলে।

৮.
আমাদের এক বিকেল স্মৃতি ডাকমাস্টার গুছিয়ে গুছিয়ে রাখে!
ওসবইতো
নীল
খামে
পাওয়া
চিঠি...!

৯.
জলের গভীরে জল দূরে সরে গেলে,বৃষ্টির শপথ করে তোমাকে বলি,কি দূর্দিনে এমন মেঘ ফুটেছে ফুলের মত-
বাসন্তি কলি!

১০.
আমি একেকটা মুক্তোর মত তোমার খুলে পড়াকে জড়িয়ে নি নেকলেসের সাথে! তুমি পড়ে যাচ্ছো দর্পনে দেখে গালের ব্লাশনটা আরেকটু বাড়িয়ে নি..

এক বিস্তৃত জলাভূমির সর্পসদস্য হয়ে আমরা একে অপরকে কামড়াই। অতঃপর ভালবাসি! আমি দেখি অধিকার বোধ তুমি দেখে হাসো। কেন যে পরস্পর ডুবো জলে ভাসি!

১১.
কি এক আশ্চর্য টানে বারবার এসে দেখি তুমি এসে ফিরে গেছো নাকি? রেখে গেছো হয়ত গোলাপি রঙের ফুল! টেবিলে নতুন ফুলদানীটা রোজ খালি করে রাখি ভোরে। তুমি যদি এসে ফুল নিয়ে দেখো ভরা, কষ্ট পাবে পূর্ণ এখন কিনা!
তুমি এসেছিলে অথবা আসোনি হয়ত আর আসবেনা...

১২.
একটা ঝুলন্ত ঠোঁট অন্ধকারে খুব পাহারা দিচ্ছে আমাকে! তাড়ালে সে জানালার বাইরে অপেক্ষা করে খানিক। তরপর আনমন সুযোগ পেলেই কাছে এসে যায় আবার।
ভাবছি শুন্যে মিথ্যে মিথ্যি একটা গাছ লাগাবো। ঠোঁটটা পাখির মত এসে বসবে ডালে!
কতকাল আর শূন্য শূন্য হয়ে ঝুলে থাকবে অন্ধকারে!

১৩.
কবিতা পারিনা আর কোন গান সব তোর সুরে বাধা পড়ে গ্যাছে কবে ভুলে গেছি তাও! তোর আঙ্গুলে পদ্ম গিটার নির্জন বন অরন্য শ্বাপদ বাজে যদি সুর জাগবে পাতারা। আমি তো আর পথ খুঁজিনা কবিতা পারিনা আর কোন গান শুধু শুধু শুনি তোকে সুমধুর!

১৪.
ঘুমুচ্ছোনা জাগছো ক্রমান্বয়ে জাগছো অন্দরমহলে আলো নব্বই বয়সি রাধাচূড়া! ভাল আছো তো এমন? ডাকনামে ডাকো! আমার ডাকনাম তোমার কাছে এলে কলাবতী ফুল! সে কি লাল। সে কি হৃদিরাঙা অধরের লাল!
আমাকে ডাকনি। কেন আমি নেই পাতার বুকে শিরায় শিরায় ! পাতাটাকে পাহাড়ী মেয়ের মত চুলে গুঁজে খোপায় খোপায়
জানি দেখবেনা তুমি এই রূপ এই আরাধনা! যেভাবে সেদিন হ্যা সেদিন সমস্ত সুন্দর তোমাকে দিয়েছি!
কাকে বইবে কার স্নিগ্ধতা?

যাতনার বিষে ছিঁড়ে যাচ্ছি একি অদ্ভুত নির্জনতা!

১৫.
কবিকে ছুঁতে পারেনি কোন মানুষ। কবিকে কবিও পারেনি তাই ছুঁতে। এ ছোঁয়া কবির শরীরে অপেক্ষা হয়ে আছে। জরে পুড়ে গ্যালে কবির কপাল মানুষগুলো উত্‍সবে খুব নাচে!
কবিরা সব নিজ প্রকৃতি অন্য অন্য জগতের
কবিদের রাজ কোষাধ্যক্ষ বিচ্ছিন্নতার মগজে! কবিরা হন স্পর্শকাতর কবিরা তাই সংবেদনে স্বতঃস্ফূর্ত সহজে।

১৬.
জানি ফেরারী কেবল নিজের সাথেই বোঝাপড়া করে। ঘরে ফেরা অন্যায় বলো এভাবে!যখন দেখি এলোমেলো হয়ে আছে আক্ষরিক হৃদয়।সুশব্দময় তুমি শহরের উত্তর থেকে দক্ষিনে গেলে বৃষ্টি পাও।তখন বড়ো সুসময়!
মৌরী স্মৃতিসকল ফুলের মত এখনো দু একটি গাছে, পাখির মত সন্ধ্যাকে ভালবাসে।
মানুষ বড় সন্দেহপ্রবন। একাকী। অকারনে তাই ফিরে আসাকে বলে গতকালের অপেক্ষা!
এ শহরটা তুমি ফিরে আসার উত্‍সব করে। আমিও তাই গোপনে ভাবি ডেকেছো আমার ডাকনাম!

১৭.
শব্দগুলো হাসে হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে কেবল তোমার হাতে এলেই দেখি কাবু! ইচ্ছে মতন দাও বকে দাও দাওয়ায় বসে খাক আনারস আমি দেখি রস গড়িয়ে পড়ছে
হাটের বাবু...

শব্দগুলো বেজায় পাজি কাজ তো নয় কাজের কাজি ঘাড়ের উপর পা ছড়িয়ে নাচে! কেবল দেখি তুমি এলেই ভদ্র বেশে বই গুছিয়ে পড়তে বসে গেছে আমার কাছে...

শব্দগুলো কয়েক মাসে সমর্থ আর অর্থে কেবল ধ্যাধধেড়িয়ে বেজায় রকম বাড়ে। তোমার কাছেই ভীষন লক্ষী দেখি কেবল তা নাতোকি খোঁজ পাওয়া ভার বেড়ায় ঘুরে ছন্নছাড়া বনে আর বাদাড়ে!

১৮.
তারপর যেতে যেতে আমরা তখন সর্পিল নদীটাকে বুকে ধরে থাকি! খাপের ভেতর থেকে তলোয়ার সে কঠিন ধার মুখ বের করে! যদি আরেকটু বেশি হ্যা আরেকটু অন্ধকার হয় আমরা বাড়ি ফিরে যাব।
আমাদের খুব ভয় হারানোর। কতবার হারাতে হারাতে শিখেছি ধরে থাকতে হয়! পথ শেষ হয় কেবল যাত্রার নয়।

ভালবাসা তোমার সবটুকু খুব বেশি ভালবাসি।

১৯.
লেখার মত মায়াময় আমি কোনো কবিকেও হতে দেখিনি...

২০.
ভালবাসা তুমি যেতে যেতে সাতটি দরজা বন্ধ হয়ে গ্যাছে! এখন আর কেউ শূন্য মঞ্চে কি করে এসে দাঁড়াবে। কি করে বলবে বেড়াল তুমি কি মাছ কাঁটা খাওয়া আত্ম বিলাপী পুরুষ!

ভালবাসা তুমি যেতে যেতে যেতে থাকাটাকে ভুলে গ্যাছো!

২১.
আমাকে যে ধরে রাখতে পারে আমি তার হাত পছন্দ করি। যে হাত প্রসস্ত দীর্ঘ এবং প্রানন্মন।

২২.
ভালবাসা একটি বড় নীল টিপ যে টিপ কিনে দেবে বলো আকাশের নামে!

২৩.
হাত ধরে হাঁটো হাতটাকে ধরো বহুদূর পথ এখনো বাকি! যেদিকে তাকাও জন কোলাহল যেদিকে মানুষ দুঃখটাকি মানুষ বলেই আমার হাতে দেবে! এখন তুমি সূক্ষ্ণ বোধে ক্লান্ত একটু হতেই পারো!

২৪.
আমাদের আকাঙ্খা বেড়ে যায়, বিষাদ ও। তুমি ভাল নেই!
একটি হলুদ বিকেল তোমার কাটে কফিশপে। তুমি দেখো বিকেল ও পতঙ্গের নাম। ছটফট করে যে পতঙ্গ আগুনেই!
আলোক রোদের প্রার্থনা নিয়ে নিষ্পৃহ হও। সার্থক একটি জীবন পেলো কাঁচের পাথরে বসা পুরনো সে প্রজাপতি।
তুমিও কি সুর করে ও বিকেলকে প্রজাপতি বলো?
শেষবার গতিময় ধারোয়ার জল তোমার হাতে বয়ে গেলো! আলো আর নিত্য এই গেরুয়া বিকেলে তুমি ভাল নেই।

২৫.
আমাদের কবিতা ছিল। আমাদের কত দিন কত রাত খুব স্বপ্ন ছিলো। শীতল জলীয় এক নিশির। আমাদের স্বপ্নে ছিল ব্যঘ্র নখর চুমু। আমরা আমাদের ছিঁড়েছি।

এরপর কবিতা চন্দ্রকে করেছে এক মোহগ্রস্থ আততায়ী!


......................

২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×