somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু শেফালি উড়িয়ে উড়িয়ে হাওয়ায়

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.

সেই স্বপ্নরা ফিরে এল আবার!

বাতাসে নিঃসঙ্গ বলে হেমন্ত তাকে ডাকে।

বন্দী অসহায় বিবরের নীল

বারংবার নিরঞ্জনা নদী

জল ফুল আর --

স্বপ্নেরা ফিরে এলে আরেকবার বিজয়!২.

২.
একটি সুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে অনায়াসে

কবিতার মত দূর্বোধ্য হয়ে ওঠা যায়।

আকাশের দিকে তাকিয়ে চন্দ্রমুগ্ধ নদী!

৩.
দূরত্ব!

অপেক্ষা!

এসব ভাল লাগে তাই।

তুমি অপেক্ষায় আছো ভেবে!

৪.
এক দিনের আলোয় প্রার্থনা ছিল শীতরাত্রির!

৫.
ঘুমপাহাড় রাস্তা যাও

ভোরবেলায় ঘুম ভাঙাও

ঘুম ঘুম ভোরবেলায়!

৬.
দু একটা নীল নখের কথা

কোন কোন গল্প-কাব্যে থাকে।

সে বইতে যা যা আছে

আমার হৃদয়ে তার কিছুই নেই।

আমি নখ টাকে ধারালো করি তাই।

কোনদিন যদি হয়ে যায় নীল!


৭.
আমার ও ঘুম ভেঙে যায়।

দুঃস্বপ্নেরা উড়ে উড়ে

এক বীজ থেকে আরেক বীজ

বুনে দিয়ে যায়

চারন ক্ষেত্রে!

আমিও ঘুম ভেঙে দেখি ফসল

উঠছে।

৮.
এরই নাম অবসর! তুমি তার নির্বাক প্রতিযোগী!

৯,
কৌতুহল!
.....

এখানে এনেছি টেনে বালিরং মাছ। সমুদ্র স্বপ্ন আর হাতের মুঠো খুলে আদিম হাওয়া! এই সব থলে ভরা আপেলের বীজ। পেছনে বইছে খুব অশরীরী মেঘ!

১০।
মাঝে মাঝে এমন ও হয় নিজের শ্বাসের শব্দকে অচেনা লাগে, নিজেকে মনে হয় সামান্য শাঁখ! যে সাঁঝের আগে আর বৌদির হাতে উঠবেনা, বাজবেনা...

১১।
হঠাৎ বিভ্রম হয়। বন্ধ ঘর জানালার ওপারটাকে মনে হয় দশ বছর আগের দিন! পায়ে চলা পথ ধরে একটা ঘুঘুর জীবন যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। রাজহংসী বয়সী সেই নারীর মত কেনো আমি আর তার দেখা পাইনা!

কেমন থাকে রোজ ধান কাটা মাঠ। বিভ্রমে শুয়ে যায় শীতের বিকেল।আরেকটু ঘুমুবো আমি, আরেকটি হাতে থাক লুডুর গুটি। ঘুম ভাংলেই যেন পাই তার পুরনো চিঠিটা। লিখছি লিখছি করে যে আজ পর করে দিল- এখানে খাঁজকাটা জাফরী।

বিভ্রম হয়। যেন নীল পর্দার ওপাশে তুমি এবং তোমার সহস্রকর!

১২।
ভাল লাগেনা।
যখন হৃদি শুন্য একটা কৌটার ভেতর বসবাস করতে থাকে, আমার চোখ ভিজে যায়। আমি দেখি তোমার চোখ আমার হয়ে কাঁদছে!
আমাদের সেই নদী এই শহরটায় এসে থেমে গেছে মনে হয়।

কত তুমি এসে মনের ভেতর খুলে খুলে দেখায়, আমি ভাল নেই। তুমি ভাল নেই!

১৩।
আদরগুলো যাকনা ভেসে ইচ্ছে নামের গঙ্গাটায়...
আদরগুলো পাকনা বুড়ি ঘুড়ির সুতো রং নাটাই।
ইচ্ছেগুলো সূর্য হলে হলদে পাখির লাভটা কি
ঠোঁটের বুকে সবুজ আঁচল জাপটে ধরা থাম বাকি...
এই এখনি ইচ্ছে হলো ফিস ফিসিয়ে গল্পরা-
দাড়িয়া-বাধা কানামাছি দেখুক পাতার জলপড়া!
কখন কখন আদর গুলো হাতের ঘষায় হচ্ছে হাত
চশমা কাঁচের উল্টোদিকে যাচ্ছে বয়ে জলপ্রপাত!

১৪।
একটা শ্রাবন ঝড়ো হাওয়া
ঝরেই গেলো ক্লান্তি
শীতের শান্ত ঝরা পাতা ...
তোকেই দেব স্বপ্ন পেলেও-
ঘুমিয়ে থাকা, জানতি?

১৫।
এই যে এক্টা দীর্ঘ দীর্ঘ শ্বাসের ভেতর দিয়ে তোমার ছুড়ে দেয়া হলাহল নিয়েছি... এখন আমি মরে যাব।

আমি বুকের ভেতর টের পাচ্ছি একটা ছোট জিয়ল মাছ নেমে যাচ্ছে... যেন জলের ভেতর থেকে কেও তাকে টেনে নামাচ্ছে...

তুমি আটকে গিয়েছো তাই-
সেই মেয়েটাকে চলো মুক্তি দিয়ে দি...

১৬।
ছেলেটা সব বোঝে, মেয়েটার নীল...
আগুনের ফুল ছাপা শাদা রেইনকোট-
ছেলেটা খোলা জলে খাচ্ছে হোঁচট!

মেয়েটা বোঝেনা পথ যাচ্ছে কোথায়...
নেশা ধরা দিনমান বাদলে অসুখ-
আকাশটা ঝুঁকে দেখে মেঘে কার মুখ!

১৭।
প্রিয়তম হাওয়ার গল্প বলো আরো
তৃষ্ণার জল পড়ে ঘাস ভেজা ঘাসে
মাতাল হাওয়া খোঁজে সাত রাত্রী
কোথায় প্রেমিক মন কাকে ভালোবাসে..

১৮।
গল্প বলা নীল জোনাকি... রাত্রি ঘোরা কয়েক পাখি... শিশির ছুঁয়ে হাসছে...
গোপন বালক চিঠির খামে...আটকে গেছে মেঘের জ্যামে...বৃষ্টি ভালোবাসছে...
এমন সময় হাওয়ার হলো বদল..খুকুর হাতে কাঁচা মাটির চিঠি..সত্যি করে চমকে গেলো মন..উপত্যকার লালচে আবরন...
কেমন গল্প অনিদ্রাতে পায়..
আর না বলা গল্প ছেলের হাতে
গল্প হয়েই আসে এবং যায়!

১৯।
জানি তুই বাসতে পারিস ভাল... ভীষন ভাল রোদের লুকোচুরি...ঠোঁটের গল্প ঠোঁটের সাথে হলো...রোদখানি তাই ইচ্ছেডানার ঘুড়ি...

কেমন হত এমন চোখের জল...

জানি চোখ স্বপ্ন ময়না মতি... কানামাছি খেলা আর যা হবার নয়...দুপুরের ঘুমে ছলকে উঠছে জ্যোতি...আমাকে নে বুকে ভয় লাগে খুব ভয়...

কাজ থেকে ফেরা গল্পটা আজ বল...


২০।
শোনো একটা চুমু এমন রাজপরিবারের পালকি হয়ে দোরের কাছে এসে থামে, আমার এক পাটি জুতো পায়ে মেলেনা! কেমন ভুতুড়ে রাত্রিদুপুর, কেমন অসহায় সিন্ডারেলা ভাবো!

২১।
তারপর এইসব গল্প টল্প-
যেন আমাকে কিছু হতে হবে! আমাকে তুলে আনতে হবে সোনার ফ্রেম। আমাকে হতে হবে আয়না!
এই যে শোনো। লক্ষি সোনার মত শোনো-
আমাকে দিয়ে ওসব হয়না!

২২।
একটি দীর্ঘ চিঠির দুরত্বে এই শাখাবিন্যাস বড় প্রাচীন... তুমি নেই...আমিও রইবনা...

২৩।
আমি জানি এখানে কেও নেই.... একটি একাকী ঘরে কেও জ্বালিয়ে রাখেনা আলো, আমি ঘুরে গেলে পতঙ্গ ফুলের কি...আমি জানি আর জানে বুঝি জোনাকি...

২৪।
আত্মহত্যা
-
সমস্ত দুপুর রূপকথার ভেতর দিয়ে হাঁটছিল। লৌহ কারাগারে আমার হাতকে ছুঁয়ে দিলে- আমি ভালোবেসে সে গল্পের নাম দিয়েছি আত্মহত্যা!

২৫।
যখন সামনে আর পথ নেই, আমি আর আমার সন্তান একা হয়ে যাই, যেন ট্রেন টা ছেড়ে গেছে এই মুহুর্তে...

২৬।
কিছু কুয়াশা নামধারী মেঘ এসে পায়ের কাছে লুটাচ্ছে, মিনতি উল্টাচ্ছে ঠোঁট, হে সবুজ ঘাস-
শীত নামছে চোয়ালে...

২৭।
এখনো গল্পটি বাকি আছে-

আমাকে বসিয়ে রেখেছেন তিনি, পর্বতপ্রতিম যুগল হাত দিয়ে ছুঁয়েছেন বিশ্বাসের নিয়তি, আমাকে বলেছেন, শেষ লাইন টা কখনো লিখবেনা...

২৮।
এই যে ভালবাসা,তোমাকে বিশ্বাস করলেই অনর্থ হয়। দুজন মানুষ মরে যেতে থাকে একসাথে, আগানে বাগানে ঘোরে রহস্য ফড়িং-
তোমাকে বিশ্বাস করে দুজোড়া চোখ অন্ধ হয়ে যায়।

এই যে ভালবাসা, তোমার দেমাগে ঘরে ঢুক্তে পারেনা পাড়ার কবুতর..
অথচ পায়ে পায়ে ঘোরে মৈষাল ধান!

২৯।
মনে হয় জেগে দেখি কোথাও ঘুমাচ্ছে ঘুম আরব্য রজনী-
বালিহাঁস হয়ে উড়ে যাচ্ছে সকাল আমার ব্যাক্তিগত তুমি'র কাছে...
আহ ঘুম!
কিছু স্বপ্ন আমার আপন মানুষ,
মনে হয় জেগে দেখি সে যতি হয়ে গ্যাছে।

৩০।
মনে হয় টেবিলের এপাশ ও পাশ বড্ড কৃপনের মত পায়ে পায়ে কাঠ।
ভয় শুধু ভয়, কার চোখ সরল সন্ন্যাসী হয়ে গেলো...

৩১।
সে তো জানেই কষ্টেরা কি আগুন মশাল জ্বলতে জ্বলতে গালফুলানো শিমলে ডগা, এক্টা রোগা হাত-
সেতো জানেই বারান্দাতে চাঁদ নেমেছে ফুলের মত জ্বলছে নিভছে নীল জোনাকী সমস্ত শীত রাত...
সেতো জানেই ভালোবাসা কেমন! ক্রমশ সংঘাত!

৩২।
ঘুম ভেঙ্গে এক আশ্চর্য শব্দদল আমাকে জানালো অন্ধকার নেই, এখানে অন্ধকারের গভীরতম মন
স্বপ্নের শেষ দেখে আলো হয়ে উঠেছে। গোপন ভ্রমনে গেছে সাত রাত্রি!

৩৩।
আমি তার ঠোঁট টাকে চিনি বলে জানি আজ অভিমান ছলকে ছলকে পড়ছে আমদের ছাদে। কতকাল হাসি নি, কতকাল খোলা বই বিপদে পড়েছে স্বপ্নের শেষ টাকে পেয়ে। তোমাকে দেখেছি সেই কবে!

এমন কোন রূপকথা লেখা হোক যেখানে আমি তোমার কথা বলবো। একটি আড়াল আমি তোমার জন্য খুঁজি। কিছু ছইপাতা ঘাসের ভেতর যেমন হারিয়ে গেছে রূপার আঙটি টা....

সব কিছু হারিয়ে ফেললে আমি তোমার কাছেই এসে বসি আমার গোপন লতা। মনে পড়ে আমি তোমাকেই ভালোবাসতাম...

৩৪।
বিষন্ন কার্তিকের দুপুরগুলোতে তুমি জেনে যাও, আমি যা বলিনি, আমি যা বলবনা কোনদিন সেই সব অনাহারী দুঃখকে তোমার মনে পড়ে? তোমার সাদা বিছানায় একটা ডাক ভেজা বেড়াল হয়ে বসেছিল।কেন যে তুমি ডুমুরের ফুল হয়ে গেলে!

অপেক্ষা শব্দটা ছেঁড়া জামা গায়ে কাকতাড়ুয়ারর মুখের মত একা মাঠে বসে আছে....

৩৫।
লেখাগুলোর বয়স হলো। শুকিয়ে যাচ্ছে বোঁটা। ঝরে পড়ছে কুঁড়িও। তোমার সখ পুরোনো
কান্নার। একটি ডাবল-ডেকার এখুনি ছাড়বে। বৃষ্টিতে ভিজে থেকে আর কত
দাঁড়াবে!
৩২টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×