somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা,প্রেক্ষিত ইসলাম ( মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কোরআন ও হাদিসভিত্তিক প্রমাণ )

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




জননীর নাভিমূল ছিন্ন-করা রক্তজ কিশোর তুমি স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবী হও। তুমি বেঁচে থাকো আমার অস্তিত্বে, স্বপ্নে, প্রেমে, বল পেন্সিলের যথেচ্ছ অক্ষরে -নান্দনিক কাব্যসুষমায় স্বাধীনতার জয়গান গেয়েছেন কবি । ঊনসত্তরের কাল বেয়ে একাত্তরের উত্তাল জোয়ার স্বাধীনতার যে রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে এনেছে , সেই মুক্তির সূর্যকে টিকিয়ে রাখার আকুল আকুতি আছে আমাদের গদ্যে-কবিতায়। আমাদের চেতনার রক্তবীজে । কারণ পরাধীনতার শৃঙ্গখলে বেঁচে থাকা বিষাদময় ,অর্থহীন ।

শোষকেরা কেড়ে নিলো বাঙালির স্বাধীনতা ; ইসলাম কী বলে


পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই বাঙালির উপর সীমাহীন অত্যাচার চালায় পশ্চিমা শোষক গোষ্ঠী । চলে নির্দয় নিষ্ঠুর অত্যাচার আর সীমাহীন অমানবিক নিষ্পেষণ ।পূর্ব পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক বঞ্চনার শিকার হয় ,কেবল অর্থনৈতিক শোষণ নয়, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য , সামাজিক অধিকার এমনকি তাদের মাতৃভাষার ওপরও রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন চলে সমানতালে।ছলে -বলে ,কৌশলে কেড়ে নেয় স্বাধীনতা । ক্ষমতাধর স্বার্থান্ধ গোষ্ঠি তাদের এ হীন অত্যাচার বাস্তবায়নে পবিত্র ধর্ম ইসলাম পুঁজি করে ।

অথচ ইসলাম মানব জীবনে স্বাধীনতাকে ইতিবাচক ও সুস্পষ্টভাবে উৎসাহিত করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভৃতি সব ধরনের পরাধীনতা ইসলামে সমর্থনীয় নয়। মানুষকে কোনো প্রকার দাসত্ব বা পরাক্রমশালী শত্রুর অত্যাচার ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা যাবে না-পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে থেকে এ চেতনা লাভ করা যায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা রাসুল সা এর গুণাবলী বলতে গিয়ে ইরশাদ করেন -
وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالأَغْلاَلَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ
‘যে রাসুল মুক্ত করে মানুষকে তাদের ( পরাধীনতার ) গুরুভার হতে ও শৃঙ্খল হতে যা তাদের ওপর ছিল ।' (সূরা আল-আরাফ, আয়াত: ১৫৭)

এ আয়াত থেকে স্পষ্ট্ত বুঝা যায় , পরাধীনতার শৃঙ্খল হতে মুক্ত করা মুমিনের দায়িত্ব ।

একটি হাদিসে রাসুল সা কোন স্বাধীন ব্যক্তির স্বাধীনতা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেড়ে নেয়ার ব্যাপারে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الْقِيَامَةِ ... وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا
আমি কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আল্লাহর সামনে দাঁড়াব,এর মধ্যে একজন যে কোনো স্বাধীন ব্যক্তির স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে বিক্রি করে দেয় ।( বুখারি ২২২৭)


মূলত স্বাধীনতা একটি ব্যাপক প্রত্যয়, যার প্রকৃতি অবর্ণনীয়। স্বাধীনতাই মানুষের অস্তিত্বে লালিত সুপ্ত প্রতিভা ও শক্তিকে ক্রমাগত সমৃদ্ধির পথে বিকশিত করতে সহায়তা করে। প্রত্যেক মানুষ চায় স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে। এ ব্যাপারে ইসলাম মানুষকে পূর্ণাঙ্গ এখতিয়ার দিয়েছে । আল্লাহ কোরআনে বলেন -
هُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ ذَلُولًا فَامْشُوا فِي مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا مِن رِّزْقِهِ

তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে সুগম করেছেন, অতএব, তোমরা তার ভূমিতে ( যথেচ্ছা ) বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর।( মুলক ১৫ )
কোরআনের ব্যাখ্যাতাগণ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন , এর দ্বারা প্রমানিত হয়, স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার ।

স্বাধীনতা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো জনগোষ্ঠীর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত। প্রকৃতিগতভাবে মানুষ স্বাধীন। প্রত্যেক মানুষ মার্তৃগর্ভ থেকে স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে। এটাই মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সহজাত এমন প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে, সে নিরঙ্কুশ কোনো সত্তার কাছে ছাড়া অন্য কারো কাছে নতি স্বীকার করতে চায় না। আল্লাহ মানবজাতিকে প্রকৃতির অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে ইরশাদ করেছেন,
فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ
‘আল্লাহর প্রকৃতির অনুসরণ কর, যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন; আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই।’ (সূরা আর-রুম, আয়াত:৩০)

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টির সেরা জীবরূপে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়ে মানবজাতিকে অত্যন্ত সম্মানিত করেছেন ।মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা।কেননা আল্লাহ একমাত্র মানুষকেই স্বাধীন চিন্তা ও বিবেক দিয়েছেন ফলে মানুষ স্বাভাবিকভাবে এবং সঙ্গত কারণে বহুলাংশে স্বাধীনচেতা।
এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে -وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَنِي آدَمَ নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি । বনি ইসরাইল ৭০

আলোচনা দ্বারা জানা গেল প্রকৃতপক্ষে মানব জীবনে স্বাধীনতা মহান আল্লাহর অপূর্ব দান।সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবারই স্বাধীনতা রক্ষায় ও ফলপ্রসূকরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।এদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে যেন কোন স্বার্থপর আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে না নেয় ।

শোষণ -অত্যাচারঃ ইসলামে ঘৃণিত কাজ

Millions of babies watching the skies
Bellies swollen, with big round eyes
On Jessore Road--long bamboo huts
Noplace to shit but sand channel ruts
শত শত চোখ আকাশটা দেখে
শত শত শত মানুষের দল
যশোর রোডের দু-ধারে বসত
বাঁশের ছাউনি, কাদামাটি জল


হানাদারদের গণহত্যাযজ্ঞের চিত্র জানতে অ্যালেন গিন্সবার্গের একটি কবিতাই যথেষ্ট ।বাঙালির আন্দোলন নস্যাত করতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের গণহত্যাযজ্ঞ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শুারু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা। পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষকদের বাসা, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এশিযা টাইমসের ভাষ্য অনুযাযী, সামরিক বাহিনীর বড বড অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে ইযাহিযা খান ঘোষণা করে "তিরিশ লক্ষ বাঙ্গালিকে হত্যা কর, তখন দেখবে তারা আমাদের হাত চেটে খাবে।" সে পরিকল্পনা মতোই ২৫শে মার্চেও রাতে পাকিস্তানী আর্মি অপারেশন সার্চলাইট আরম্ভ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙ্গালি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেযা।

কিন্তু এমন অত্যাচারকে ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না । ইসলাম সর্বদাই অত্যাচারিত ব্যক্তির পক্ষে । আল্লাহ কোরআনে জালিমদের জাহান্নামে যাওয়ার কথা বলেন-
فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بَيْنَهُمْ أَن لَّعْنَةُ اللّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
অতঃপর একজন ঘোষক জাহান্নামের মাঝখানে ঘোষণা করবেঃ আল্লাহর অভিসম্পাত জালেমদের উপর ।( আরাফ ৪৪ ) এর দ্বারা বোঝা যায়, জালিমদের স্থান জাহান্নাম ।

রাসুল সা বলেন- المسلم أخو المسلم لا يظلمه এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই । সে তার উপর অত্যাচার করতে পারে না । বুখারি , আরবাইন ,৩৫


একজায়গায় রাসুল সা মুয়াজ রা কে অত্যাচারিত ব্যক্তির অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকার উপদেশ দিয়ে বলেন-

يا معاذ اتق دعوة المظلوم فإنه ليس بينها وبين الله حجاب

হে মুয়াজ, মাজলুমের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাক , কারণ তার বদদোয়া ও আল্লাহর মাঝে কোন পরদা নেই । তথা সরাসরি আল্লাহর কাছে চলে যায় । বুখারি

জুলুমের ভয়াবহ পরিণতির কথা বলেন-
الظلم ظلمات يوم القيامة অত্যাচার কেয়ামতের দিন অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে ।
২৩১৫ বুখারি


’ সূরা শুরা’র ৪২ নং আয়াতে বর্ণিত হয়েছে,
‘জালিমরা যখন আজাব দেখবে তখন তুমি দেখবে তারা বলছে, (দুনিয়াতে) ফিরে যাওয়ার কোনো পথ রয়েছে কি?’ পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই জালিমরা চিরস্থায়ী আজাবে নিমজ্জিত থাকবে।’

ইসলামে অত্যাচার মস্ত বড় অন্যায় বলে বিবেচিত। ইসলাম সব সময়অত্যাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ইসলাম বলেছে, আল্লাহর হক আদায় না করলে আল্লাহ ক্ষমা করলেও বান্দার হক বিনষ্টকারীকে আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না যতক্ষণ না যার ওপরঅত্যাচার করা হয়েছে, সে ক্ষমা করে দেয়। সকল প্রকার শোষণ, নির্যাতন, অন্যায় ও অবিচারের মূলে রয়েছে অত্যাচার। পরাক্রমশালী শত্র“র অত্যাচার ও পরাধীনতার শৃঙ্খল অন্যায়ের দ্বারা ব্যক্তির স্বাধিকার হরণ করা হয়। পরাধীনতা অত্যাচারের ক্ষেত্র প্রসারিত করতে সাহায্য করে। তাই পাক বাহিনীর অত্যাচার কোনভাবেই ইসলাম সম্মত নয় ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ইসলাম

ইসলাম মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার জোরালো তাগিদ দিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরত করার পর মদিনাকে নিজের মাতৃভূমি হিসেবে গণ্য করেন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের অনেক প্রতিরোধ যুদ্ধ ছিল মদিনা রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য। মদিনায় হিজরতের পরেও কিছুসংখ্যক মুসলিম নারী ও শিশু মক্কায় অবস্থান করতে বাধ্য হন, যাদের হিজরত বা দেশত্যাগ করার কোনো সুযোগ-সুবিধা ছিল না। তারা মূলত মক্কায় পরাধীন অবস্থায় নির্যাতিত জীবন যাপন করছিলেন। তখন তারা এ মর্মে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছিলেন,
رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই জনপদ- যার অধিবাসী জালিম, তা হতে আমাদেরকে অন্যত্র নিয়ে যাও; তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের সহায় কর।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত:৭৫)


অতঃপর ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে মক্কা বিজয় হয়। স্বাধীনতাকামী মজলুমদের আকুল প্রার্থনা মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ণ করা হয়েছিল ।

অত্যাচারি বাদশাহর বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণকে রাসুল সা বড় সংগ্রাম হিসেবে অভিহিত করে বলেন
,إإن من أعظم الجهاد كلمة عدل عند سلطان جائر
তিরমিজি ২১৭৪

যারা দেশকে ভালোবাসে, যারা দেশ রক্ষা করার জন্য সংগ্রাম করে তাদের সম্পর্কে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একদিন ও একরাতের সীমান্ত পাহারা ধারাবাহিকভাবে এক মাসের সিয়াম সাধনা ও সারারাত নফল ইবাদতে কাটানো অপেক্ষা উত্তম।’ মুসলিম

ইসলাম সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবনদানকে শাহাদাতের মর্যাদা প্রদান করে। ইসলামে এমন স্বাধীনতার মর্যাদা সম্পর্কে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘একদিন ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারা দেওয়া পৃথিবী ও তার অন্তর্গত সবকিছুর চেয়ে উত্তম।’ অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মৃত ব্যক্তির সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে তার আমল আর বৃদ্ধি পেতে পারে না। তবে ঐ ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে ব্যক্তি কোনো ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তার আমল কিয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং কবরের প্রশ্নোত্তর থেকেও সে মুক্ত থাকবে।’ (তিরমিযি, আবূ দাউদ)

স্বাধীন দেশের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত নৌবাহিনীর মর্যাদা প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত প্রহরায় এক রাত সমুদ্র তীরে যাপন করা ঘরে অবস্থান করে এক হাজার রাকাত নফল নামাজ আদায়ের চেয়ে উত্তম ।


১৯৭১ সালে যারা আমাদের এ অমূল্য স্বাধীনতা অর্জনে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন- সেসব শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সমগ্র জাতি তাদের কাছে চিরঋণী। সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সবারই স্বাধীনতা রক্ষায় ও ফলপ্রসূকরণে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনগণের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তারা নিজেদের অবস্থান থেকে দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য সাধ্যানুযায়ী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। জাতির প্রয়োজনে তাদের আরো সক্রিয় ভূমিকা সময়ের অনিবার্য দাবি। স্বাধীন দেশের ক্রান্তিলগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে দলমত সবার ঐক্য প্রয়োজন। আমাদের সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা করতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিত। তাই আসুন, সবাই মিলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি একে অর্থবহ করতে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করে সন্ত্রাস দুর্নীতিমুক্ত দেশগড়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×