'আম্লিগ আর বিমপি....পৃথক দুটি নামমাত্র....কাম কিন্তু একই...লুটপাট।' আগে এরকম কেউ বললে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করতাম। ভুল ধরিয়ে দিয়ে মাস্টারের মতো কোন কোন পয়েন্টে ওই দুটো কোনোভাবেই এক নয় বোঝাতাম। কিন্তু আমি এখন হাড়ে হাড়ে জানি কত বড় অজ্ঞান আমি ছিলাম!
দলের নামের পার্থক্য ছাড়া আর কোনো পার্থক্য নেই আওয়ামী লীগ আর বিএনপির। তবে ঐতিহাসিক এবং ব্যাপক মানুষের ভালমানুষি নির্বুদ্ধিতার কারণে আওয়ামী লীগ বেশ ছাড় পেয়েছে, পাচ্ছে এবং হয়তো আরও কিছু সময় পাবে। কিন্তু সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন দুই দলের লোকজনই গণমানুষের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে কুকুর-দৌড় দৌড়াবে। অর্থনৈতিক নির্মম বাস্তবতা মানুষের চোখ খুলে দেয়। মানুষ এখন সেই বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করছে।
সোজাসুজি বললে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের সঙ্গে অকপট ভণ্ডামি করছে! এবার ক্ষমতায় এসে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ একের পর এক যা করেছে, এত ক্লাসিক্যাল ভণ্ডামি দেশের মানুষের সঙ্গে রাজনীতির ইতিহাসে এর আগে কেউ করেনি।
সংবিধান নিয়ে সঙ ঢঙ চলছেই। চলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ধারাবাহিক নাটক। অন্যদিকে ইসলামি ব্যাংককে দেয়া হয়েছে বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক ও বড় আয়োজনের স্পন্সরশিপ। এই একটিমাত্র ঘটনাই যথেষ্ট। কোন শক্তিতে, কোন ভক্তিতে, কোন যুক্তিতে ইসলামি ব্যাংক কাজ পেলো? একটা আস্ত টাকার পাহাড় দিলেও কোনো কিছুতেই ইসলামি ব্যাংক এরকম গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের অংশীদার হতে পারে না। কিন্তু তা তারা পেরেছে। মানে কি? মানে হচ্ছে, টাকা। স্রেফ টাকাই হচ্ছে বাংলাদেশের অপরাজনীতির আসল কারণ। টাকার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-ফামাত সব একাকার। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, ইতিহাস, এটা-সেটা কোনো কিছুই নয়। এসব হচ্ছে বাহাস। এসব হচ্ছে মানুষকে ধোকা দেয়ার... বোকা বানিয়ে রাখার...কথার কচকচি। না হয়, এই পোড়া চোখে হাসিনার ছবির পাশে ইসলামি ব্যাংকের লোগো দেখবো! নৌকায় ইসলামি ব্যাংক! দারিদ্র্যজর্জরিত অব্যবস্থাপনা-ছাপযুক্ত ন্যাংটো-নটী ঢাকাকে ইসলামি সাজে সাজানো হয়েছে। চারদিকেই শুধু ইসলাম আর ইসলাম। বিমানবন্দরে আসার আগেই একমাইলব্যাপী এক ইসলামি নামের বিমানবন্দরের অস্তিত্ব টের পাবে। নামার পরও যেদিকেই তাকাবে ইসলাম খুঁজে পাবে। বিদেশিরা এবার ইসলামি বাংলাদেশকে দেখে যাবে! কিন্তু সত্যিই কী বাংলাদেশ ইসলামি দেশ?
ব্যবসায়ের নামে চলছে প্রকাশ্য ডাকাতি। একদিকে দামের রাম-দায় মানুষকে কোপানো হচ্ছে। অন্যদিকে মানুষ পণ্য হিসেবে যা যা কিনছে, সব কিছুতেই ভেজাল। বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। পুঁজিবাজারের কেলেঙ্কারির শেষ নেই। এরমধ্যে চলছে চুলাচুলির রাজনীতি। নাম ফলানোর রাজনীতি।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে চলছে নির্মম নৈরাজ্য। একদিকে মানুষকে বিষ খাইয়ে অসুস্থ বানানো হচ্ছে। অন্যদিকে চিকিৎসার নামে মানুষকে তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে। ডাক্তার নামের আড়ালে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর খুনি।
রাষ্ট্রীয় দলীয় সব অন্যায়কে ন্যায়ে পরিণত করছে আইন-আদালত। চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। মানুষ ভালোভাবেই আইন-কানুন চিনছে। আইন যে কতটুকু নিজের গতিতে চলে আর কতটুকু টাকা আর ক্ষমতার গতিতে, কানারাও তা এখন দেখতে পাচ্ছে।
কিন্তু এসব আর বেশি দিন চলবে না। খুব শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের মতো ওরা দৌড়ানি খাওয়া শুরু করবে। রাস্তা-ঘাটে চড়-থাপ্পড় লাথি-উষ্টা খাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




