এয়ারটেল পাওয়ার প্যাক অফারের মেসেজটা পেলাম একটু আগে। এই অফারের জন্য এয়ারটেল ঠিক কতটা মেসেজ পাঠিয়েছে জানি না, তবে দশটার কম হবে না এটা নিশ্চিত। এরকম নানা অফার রয়েছে তাদের, প্রতিনিয়ত এসব অফারের জন্য তারা মেসেজ পাঠাতে ভোলেন না। প্রথম প্রথম মনে হয় খুশিই হতাম, ভাবতাম আমি বুঝি তাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক, যাকে সব অফারের আপডেট জানাচ্ছে। কিন্তু দিন দিন মেসেজের পরিমাণ বাড়ছেই। এর ওপর সম্প্রতি তারা ফোন দিতেও ভুলে না। ফোন রিসিভ করলে শোনা যায় গান কিংবা কোনো তারকার গলা। এগুলো রীতিমতো গ্রাহকদের ওপর অত্যাচার। যেটা অনেক আগেই সীমা অতিক্রম করেছে। কেবল এয়ারটেল নয় বাংলালিংকসহ সবগুলো মোবাইল অপারেটর গ্রাহকদের এভাবে বিরক্ত করেই যাচ্ছে।
এ নিয়ে ফেসবুক-ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে নিয়মিত লেখা হচ্ছে। এমনকি ফেসবুকে 'মোবাইল অপারেটর থেকে মেসেজ এলেই নগদে ডিলিট_ পড়ার সময় নাই' নামে একটি পেইজ রয়েছে, যার লাইকার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৭১৬। অনেক গ্রাহক বিরক্ত হয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে ফোন দিয়ে এগুলো বন্ধও করেন। এরপরও মোবাইল অপারেটরগুলোর এভাবে মেসেজ পাঠানো, কল করা আশ্চর্যের বিষয়ই বটে।
মানুষের জরুরি প্রয়োজনেই এখন হাতে হাতে মোবাইল ফোন। সবার হাতে ফোন থাকায় এমনিতেই অযাচিত কিংবা অধিক পরিমাণে কল-মেসেজ আসা অস্বাভাবিক নয়। যেটা অনেকের কাজেও বিঘ্ন ঘটায়। এর বাইরে মোবাইল অপারেটরগুলো কল-মেসেজ দিলে সেটা স্পষ্টত বিরক্তিকর। আর মোবাইলটা প্রত্যেকের একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে অফারের কল-মেসেজের বিজ্ঞাপন দেওয়াটা শোভনীয়ও নয়। বিজ্ঞাপনের জন্য টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে, রয়েছে পত্রপত্রিকা। এসব মাধ্যমে প্রত্যেকেই অফার জেনে যান। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অপারেটরের ওয়েবসাইটে গিয়েও জানতে পারেন। এ ছাড়াও প্রত্যেক অপারেটরের যথেষ্টসংখ্যক কাস্টমার কেয়ারও রয়েছে। এসব থাকতে একেবারে গ্রাহকের মোবাইলে কল দেওয়ার বা মেসেজ পাঠানোর কী যৌক্তিকতা রয়েছে। তবে কোনো অপারেটরের যদি গ্রাহক বেশি হয়ে থাকে, গ্রাহক কমাতে চান আরও বেশি করে পাঠান।
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন