আমি ক্ষ্যাত হতে পারি! তাই বলে আপনিও ক্ষ্যাত?
কথায় কথায় ইন্সটিটিউশন টেনে আনা মনে হয় খুব সুবুদ্ধির পরিচয় না।
আমি ছোটবেলা থেকে অনেক ধরণের ফ্রেন্ডের সাথে চলেছি। একটা সুইপারের ছেলে থেকে শুরু করে একটা সচিবের ছেলেও আমার ফ্রেন্ড। একটা বুয়েট পড়ুয়া ফ্রেন্ডও আছে আবার একটা এইচ এস সি ফেইল করে কাজে ঢুকে যাওয়া ফ্রেন্ডও আছে।
আপনি হয়তবা একটু উপরে উঠে গিয়েছেন! তাই বলে এই মনে করো না যে, আপনার উপরে উঠার সামর্থ্য কারো নেই।
গত ৭-৮ মাস আগে আমি আমার স্কুলে গিয়েছিলাম! আমাকে এক পুরনো স্কুল ফ্রেন্ড এসে বলে," বন্ধু! আমার সেনাবাহিনীতে সিপাই পদে চাকরি হয়ে গিয়েছে!" ওর বাবা ছিল একজন সাধারণ সুইপার। ওর খুশি দেখে আমারও অনেক ভালো লেগেছিল। আমি ওকে উৎসাহিত করলাম।
এখন আমি যদি আমার ইন্সটিটিউশন টেনে এনে বলতাম, "দেখ! তুই এখানে আমি এখানে!" এটা কি সুবুদ্ধির পরিচয়?
বরং এটা আরো নিজেকে ছোট করা।
এরকমটাই অনেক দিন ধরে আমার এক সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ফ্রেন্ড বারবার কম্পেয়ার করে যাচ্ছিল। তো মাত্রা অতিক্রম করার পর যখন কিছু কথা বললাম, তখনই প্রমাণের জন্য উঠে পরে লাগে! ওকে কিন্তু বলেছিলাম, "অন্য ভার্সিটির পোলাপাইন কিন্তু বানের জলে ভেসে আসে নয়াই!" এতেই জাতিগত বোধ জেগে উঠেছে!
আরেহ! ভাই! Massachusetts Institute of Technology (MIT) যে ক্যাটাগরিতে আছে সেটাকে কি পরিচয় করিয়ে দিতে হবে?
এম আই টি নাহয় সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপট থেকে বললাম! বাংলাদেশের কথাই বলি, ঢাবি, বুয়েটকে কি প্রমাণের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে নাকি? এটা করলে তো পাগলেও হাসবে।
সমস্যা আসলে, আমাদের এই ইন্সটিটিউশনের জায়গাতে না। আমাদের সমস্যা হল, নিজেদের মধ্যে! যত বড় সনামধন্য ভার্সিটিতেই পড়! মনমানসিকতা যদি ঐ পাড়ার চা দোকানের চা খাওয়া রিকশা ওয়ালার মত হয়, তাহলে ঐ বুয়েট, ঢাবি কিংবা অন্য ভার্সিটিতে পড়েও লাভ নাই। আবার ইঞ্জিনিয়ার হয়েও লাভ নাই!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৪