প্রায় ১০ লক্ষ কাচিনের বাস ভারত এবং চীনের সীমান্তে, এরা জিংফো গোত্রের অধিবাসি। একটি সুত্রের মতে দুই তৃতীয়াংশ খ্রীস্টান ধর্মালম্বী, মায়ানমার সরকারী হিসাবে ৬৪% বৌদ্ধ ৩৪% খ্রীস্টান।
কাচিন দ্বন্দ্ব বা কাচিন যুদ্ধ - কাচিন স্বাধীনতা বাহিনী ও সরকারি সৈন্যদের মধ্যে লড়াই শুরু হয় জুন ২০১১ সালে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, এবং ১00,000 এর বেশি মানুষ পালিয়ে যায় চীনে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে ভূমি মাইনের ব্যাপক ব্যবহার, শিশু সৈন্যের ব্যবহার, নিয়মানুগ ধর্ষণ এবং নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে।
বার্মিজ আর্মি ৪০ ডলার বা এক ব্যাগ চাল বা এক ক্যান পেট্রলের বিনিময়ে একটি শিশুকে কিনে শিশু সৈন্য হিসাবে কাজে লাগায়। ######২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এনজিও কাচিন উইমেনস এসোসিয়েশন থাইল্যান্ড (কেউইএটি) জানায় যে এই যুদ্ধে ১00,000 শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০১১ সাল থেকে ৩৬৪ টি গ্রাম সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে। সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে বার্মা আর্মি ইচ্ছাকৃতভাবে শরণার্থী শিবিরে এবং গ্রামগুলিতে আক্রমণ করে এবং নাগরিকদের ধর্ষণ ও হত্যার মতো যুদ্ধাপরাধ করে।
এই যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে হাজারো নারী ।চীনে পাচাড় হয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। জোর করে তাদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে চীনা পুরুষদের সাথে। সন্তান জন্মে বাধ্য করা হচ্ছে তাদেরকে। জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেল্থ। গবেষণাপত্র অনুযায়ী মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন থেকে সাত হাজার চারশ এর চাইতে বেশি নারী গত কয়েক বছরে চীনে পাচার হয়েছে, যাদের মধ্যে পাচ হাজার জনকে সন্তান জন্মে বাধ্য করা হয়েছে।
চীনের এক সন্তান নীতি চালু পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৩০ লক্ষ কম।।
এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার এবং ভিয়েতনামের অনেক নারী চীনে পাচার হয়েছেন।
চীনের অধিকাংশ নাস্তিক, মায়ানমারের অধিকাংশ বৌদ্ধ, কাচিনরা খ্রীস্টান।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮