somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর জন্য সবচাইতে বড় হুমকি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পশ্চিমা বিশ্বে বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনায় দু একজন সাদা চামড়ার লোক মারা গেলেই কিছু মানুষ (বিশেষ করে নাস্তিক) কান্নাকাটি শুরু করে ধর্মান্ধরা পৃথিবীকে ১৪০০ বছর পিছিয়ে দিবে, মানব সভ্যতা বিপন্ন হবে বলে। তাদের নাকি কান্নার কারণ হতে পারে অজ্ঞতা বা ইসলাম বিদ্ধেষ। BBC Future এর “Best of 2017” collection এর একটি আর্টিকেল "কিভাবে পশ্চিমা সভ্যতার বিলোপ ঘটাতে পারে" বেশ কয়টি কারণ দেখানো হয়েছে, যা কিনা পশ্চিমা সভ্যতার বিলোপ ঘটাতে পারে। পশ্চিমা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার ফলাফল এই ডকুমেন্টতিতে দেখানো হয়েছে রোমের মত আরো কয়টি সভ্যতা যে কারণে বিলোপ পেয়েছিল, সেই একি কারণে পশ্চিমা সভ্যতারও বিলোপ ঘটতে পারে।
দুটি কারণ:

পরিবেশগত স্ট্রেন এবং অর্থনৈতিক শ্রেনীবিন্যাস।

পরিবেশগত সমস্যার ধ্বংসের সম্ভাব্য কারণ হওয়াটা সর্বজন স্বীকৃত, বিশেষ করে প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন ভূগর্ভস্থ, মাটি, মৎস্য ও বন হ্রাস পাওয়া - জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তা আরো মারাত্নক হতে পারে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য পশ্চিমা বিশ্বকে ক্রমাগতই অস্হির করে তোলেছে। ফ্রান্সের ইয়েলো ভেস্টের তান্ডব তাই প্রমান করে, ফ্রান্সের অর্থনীতি চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে।

পৃথীবির ১০% শতাংশ শীর্ষ আয়ের মানুষের মোট গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের দায় পৃথিবীর বাকি ৯০% মানুষের সমান। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দিনে ৩ ডলারের চাইতে কম আয় করে।

পৃথিবীর দরিদ্ররা মানুষেরা জলবায়ুর পরিবর্তন দারিদ্র ইত্যাদির শিকার হয়ে ছুটবে পশ্চিমা বিশ্বে, যেমনটি যুক্তরাষ্টের বর্ডাবে আটকে পড়েছিল হাজার হাজার মানুষেরা। জাতিসংঘের মতে বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি লোক ভারতে ছুটবে পানির অভাবে।


উল্লেখ্য পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যকার ধনী ও দরিদ্রদের বৈষম্য সমাজে অস্থিরতা বয়ে নিয়ে আসবে। ২০৫০ সাল নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুই-শ্রেণীর সমাজে পরিণত হবে। ছোট অভিজাত শ্রেনী ভাল জীবন করবে সংখ্যাগরিষ্ঠরা ধুকতে থাকবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সব জায়গাতেই মানুষ অসন্তুষ্ট এবং ভীত হয়ে পড়বে।
তাদের ইন গ্রুপ আইডেন্টিটা প্রকট হয়ে উঠবে। প্রমাণ ভিত্তিক সত্যতা প্রত্যাখ্যান করা হবে। সমাজের সমস্যার জন্য দল বা গ্রুপের বাইরের সবাইকে দোষারোপ করবে। গণ সহিংসতার জন্য মানসিক এবং সামাজিক পূর্বশর্ত স্থাপন করা হবে এইভাবেই। যখন স্থানীয়ভাবে সহিংসতা শুরু হবে, অথবা অন্য দেশ বা গোষ্ঠী আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিবে, তখন পতন এড়াতে কঠিন হবে।

how western civilisation could collapse



অক্সফোর্ডের প্রফেসর Danny Dorling এর মতে পৃথিবীর ধনীরা পৃথিবীর সবচাইতে বেশি ক্ষতি করছে।


High economic inequality is extremely damaging to the environment, because the greedy do not know how to control themselves.
লোভীরা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে না।

Thomas Piketty, who is a brilliant economist from Paris, has done incredible detailed work recently, looking at the consumption and pollution patterns of the richest one percent, and he has shown that the richest one percent disproportionately contribute to greenhouse gasses and to carbon pollution which are damaging our planet.

প্যারিসের অর্থনীতিবিদ থমাস পাইকটি দেখিয়েছেন, কিভাবে পৃথিবীর ১% লোক পৃথিবীর প্রভূত ক্ষতি করছেন।

This is because they buy so many things they do not need, because money is not an issue for them.

এ কারণেই তারা এতগুলি জিনিস কিনে নেয় যা তাদের প্রয়োজন হয় না, কারণ তাদের জন্য অর্থ কোনও সমস্যা নয়।

It’s because they have so many homes that they travel between, is because when they travel they don’t travel in a sustainable way. At the extreme they’re flying in private jets; there isn’t a better way to heat up the planet and damage our environment than to fly in a private jet and they need to learn the importance of this.

Because climate change is the biggest threat that we’re facing, and we’re partly facing it because we’re allowing the greedy people to carry on being greedy, and we’re not controlling them for the good of everyone.

আমরা লোভী ব্যক্তিদের আটকানোর কোন চিন্তা করছি না।

oxford-professor-rich-people-fuel-climate-change-were-not-controlling-them/

তারা মিডিয়া আর সেলিব্রটিদের নিয়ন্ত্রণ করছে। সেলিব্রটিরা আপনাকে পণ্য কিনতে উতসাহ যোগাচ্ছে, যার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি তা কিনতে গিয়ে ব্যাকং থেকে লোন নিচ্ছেন আবার দেওলিয়াও হচ্ছেন। তারা আপনাকে গোটা অর্থনীতিে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু পরিণামে আমাদের গোটা সমাজের বিলোপ ঘটতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০১
৯টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×