২০০৯ সালে গ্লোবাল গ্যালাপ পোলের গবেষণায় ১০০ পয়েন্ট নিয়ে।বাংলাদেশ রয়েছে।প্রথম স্থানে। আফগানিস্তান চতুর্থ স্থানে। পাকিস্থান অস্টম স্থান আর ভারত দশম স্থানে। সিংগাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ৩০ এর কাছাকাছি।
Importance of religion by country
কিছু মানুষের উন্নতির চাকাতলে পিষে মরছে সিংহভাহ খেটে খাওয়া মানুষেরা (গার্মেন্টসের মেয়েরা এর সবচেয়ে বড় উদাহরন)। চার থেকে পাচ কোটি মানুষের ঘরে শুধুমাত্র কয়েকদিনের খাবার মজুদ আছে, উপার্জন না করলে, না খেয়ে দিন গুজারন করতে হবে। একটি বড় অংশের সরকারি আমলা কর্মচারিদের যোগসাজশে চলেছে দেশকে ছিলে ছোবড়ে খাওয়ার মহা উৎসব। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রাজনীতিবিদরা নয়, বিদেশে বেশি অর্থপাচার করেন সরকারি কর্মচারীরা। এদের অনেকেই আবার সংস্কৃতিমনা, বাংলাদেশকে সেক্যুলার বানাতে বেশি উতসাহী, তাদের সাথে সুর মেলান কিছু রাজনীতিবিদও।
রবীন্দ্র সংগীত শোনা শিক্ষিতরাই সবচাইতে বেশি দূর্নীতি আর অপকর্ম করে। মাশরাফি বিন মর্তুজার মতে, বেশিরভাগ শিক্ষিত মানুষই দুর্নীতির সাথে জড়িত। সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং ধার্মিকও। উপরের পরিসংখ্যানও তাই বলে। এই সিংহভাগ ধার্মিক মানুষদের দেশটাকে সেক্যুলার বানালে কাদের লাভ।
নিচের কিছু তথ্য প্রমান করে, সেক্যুলার হওয়াটা মানেই উন্নত হওয়া বা মানবিক হওয়া নয়।
আফ্রিকার ২১টি দেশ সেক্যুলার। (বুরুন্ডি , বেনিন, ইথোপিয়া, সোমালিয়া, চাদ, মালি...)
আমেরিকার ১৪ টি দেশ (হন্ডুরাস, চিলি, মেক্সিকো, কিউবা, এল সালভাদর.....) এশিয়ায় ২০টি দেশ (উত্তর কোরিয়া, কিরঘিস্তান, নেপাল, লাওস, ভারত, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, মন্গোলিয়া.........)
ইউরোপের সবচাইতে গরীব দেশটির একটি আলবেনিয়া সেক্যুলার। এরা সবাই অফিসিয়ালী সেক্যুলার। উইকির মতে সেক্যুলার দেশগুলি ধর্মীয় ব্যপারে সবচাইতে বেশি অত্যাচারী হয়ে উঠতে পারে। যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হওয়ার সুযোগ থাকে বেশি। এবং ধর্মের জায়গাটি নিয়ে নিতে পারে নাস্তিকতা।
Secular states run the risk of prefering nonreligion over religion or of establishing a religion of secularism
রাষ্ট্রের ধর্মের প্রতি বিরূপ কিংবা উগ্র আচরন স্পেন এবং মেক্সিকোতে গৃহযুদ্ধের সূচনা করেছিল।
কমিউনিস্ট দেশগুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে মরতে হয়েছিল এসব সেক্যুলার শাসকদের হাতে আর ধংস হয়েছিল প্রায় সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সবগুলো দেশেই অর্থনীতির বারটা বেজে গিয়েছিল (সোভিয়েত রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, মংগোলিয়া, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া)।
সেক্যুলারিজমের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের অনেক সরকারী ছুটি পালন করা হয় ধর্মীয় উতসবগুলোকে মাথায় রেখে, ক্যাথলিক স্কুলের শিক্ষকেরা বেতন পান রাষ্ট্র থেকে। আমি জানি না বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালিত মাদ্রাসা কয়টি আছে।
আমেরিকায় মুদ্রায় লেখা থাকে In God We Trust", যা কিনা যুক্তরাষ্টের অফিশিয়াল মোটো বা নীতিবাক্য। সংসদের শপথ নেয়া হয় হাতে বাইবেল রেখে।
ওমাবার পরিবারকে হাত জোড় করে আমেরিকার জনগনকে বোঝাতে হয়েছে যে ওমাবা কখনো মুলসমান ছিলেন না, কেননা বিরোধী পদপ্রাথ্রী সদম্ভে বলেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ড কেবল একজন খ্রিষ্টানই হতে পারবেন।
খ্রিস্টান রাষ্ট্র
খ্রিস্টান রাষ্ট্র হ'ল এমন একটি দেশ যা খ্রিস্টধর্মকে সরকারী ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয় [
আর্মেনিয়া, আকসুম, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা, কোস্টা রিকা, ডেনমার্ক ( গ্রিনল্যান্ড সহ), ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, এল সালভাদোর, ইংল্যান্ড, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ, জর্জিয়া, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, লিচটেনস্টাইন, মাল্টা, মোনাকো, নরওয়ে সামোয়া, টঙ্গা, টুভালু, ভ্যাটিকান সিটি, এবং জাম্বিয়া।
Christian state
ইংল্যান্ডের ২কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চ কক্ষের (হাউস অব লর্ডের) ২৬ জন সংসদ সদস্য আসেন চার্চ থেকে। এই ২৬ জন বিশপের আসন সংরক্ষিত। একবার ভাবুন ত বাংলাদেশের কথা আলেমদের জন্য সংসদে ২০টি আসন যদি সংরক্ষন করা হয়, কি রকম হৈ চৈ পড়ে যাবে।
শ্রীলংকা (Theravada Buddhism - The constitution accords Buddhism the "foremost place," but Buddhism is not recognized as the state religion.
থাইল্যান্ড (Theravada Buddhism)
এরপরও সেক্যুলার হওয়া নিয়ে যাদের মাথা ব্যাথা বেশি, তারা দেশের সিংহভাগ খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টে যে একটুও ব্যাথিত হয় না, সেটি আর অপ্রমানিত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮